বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   প্রাইভেটকারের ধাক্কায় বুয়েট শিক্ষার্থী নিহত: ডোপ টেস্টে ধরা পড়ল মাদকাসক্তি
  •   সাতক্ষীরায় ব্যবসায়ীর ২৩ লাখ টাকা ছিনতাই: স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ
  •   চাকা পাংচার হওয়ায় এনজিও কর্মকর্তার মৃত্যু
  •   বরগুনায় টিকটক নিয়ে পারিবারিক কলহ: স্ত্রীকে হত্যা, স্বামী আত্মহত্যার চেষ্টা
  •   মানব পাচারের চক্রের বিরুদ্ধে বিজিবির সফল অভিযান: কিশোরী উদ্ধার, তিন আটক

প্রকাশ : ১২ জুলাই ২০২১, ০০:০০

‘এটা মেয়র লিপনের সম্পত্তি নয়, পৌরবাসীর সম্পত্তি’
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

চাঁদপুর থেকে প্রকাশিত কয়েকটি দৈনিকের একটি সংবাদ নিয়ে হাজীগঞ্জ পৌরসভা কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভা করেছেন। মূলত প্রকাশিত সংবাটিতে যে সকল তথ্য উঠিয়ে আনা হয়েছে তা মনগড়া ছাড়া আর কিছু নয় বলে দাবি করেন পৌর কর্তৃপক্ষ। রোববার দুপুরে পৌরসভার হলরুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় পৌরসভার পক্ষে এমন বক্তব্য তুলে ধরেন মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম মাহবুব উল আলম লিপন। পৌর সম্পত্তি নিয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন কর নির্ধারক আবু ইফসুফ, প্যানেল মেয়র জাহিদুল আজহার, পৌর কাউন্সিলর মহসিন ফারুক বাদল। এ সময় পৌর সকল ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরগণসহ সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলরগণ উপস্থিত ছিলেন। সভা সঞ্চালনা করেন পৌর সচিব নূর আজম শরীফ।

সভায় পৌর মেয়র বলেন, হাজীগঞ্জ বাজারের অভ্যন্তরে পৌরসভার নিজস্ব সম্পতিতে জমে থাকা ময়লার ভাগাড় পরিষ্কার করা হয়েছে। সেটি পরিষ্কার করাকে কেন্দ্র আর একটি পক্ষ ঐ সম্পত্তি তাদের তথা মসজিদের দাবি করে চাঁদপুরের বিভিন্ন সংবাদেপত্রে যে সংবাদ প্রকাশ করেছে তা মনগড়া আর বানোয়াট। আমরা পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হকার্স মার্কেটের ঐ সম্পত্তিতে বেলা আড়াইটার সময় কাজ শুরু করি। কিন্তু বলা হয়েছে আমরা রাতের আঁধারে কাজ করেছি। যে অংশে কাজ হয়েছে সেই এলাকার ব্যবসায়ীরা জানে, আমরা দিনের বেলায় কাজ শুরু করেছি। একটি পক্ষ পৌরসভার নিজস্ব সম্পত্তিকে তাদের সম্পত্তি বলে দাবি করছে। তারা বলেছে, তাদের সম্পত্তি ২০০৪ সালে রেজিস্ট্রি হয়েছে। অথচ ঐ স্থানে পৌরসভার ময়লার দুটি টাংকি ১৯৯৮ সালে স্থাপন করেছে পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান তথা সর্বজন শ্রদ্ধেয় বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ মরহুম তাফাজ্জল হায়দার নসু চৌধুরী। সেদিন বেলা আড়াইটা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত আমাদেরকে একটানা ময়লা পরিষ্কার করতে হয়েছে। এ সময় আমরা ১২৪ ট্রাক ময়লা অপসারণ করেছি। সেদিন আপনার ৭/৮ জন ছেলে যে আচরণ করেছে তা ঠিক নয়।

সম্পত্তির দাবিদার ব্যক্তির নাম উল্লেখ না করে পৌর মেয়র আরো বলেন, যে সম্পত্তি নিয়ে আমাকে হেয় করা হচ্ছে সেই সম্পত্তি আমার ব্যক্তিগত নয়। এটি পৌরসভার সম্পত্তি তথা সোয়া লাখ পৌরবাসীর সম্পত্তি। পাবলিক সেন্টিমেন্ট গ্রো করার জন্যে মসজিদের নাম ভাঙ্গানোর চেষ্টা করবেন না। আমরা আমাদের সম্পত্তিতে রয়েছি।

মেয়র লিপন আরো বলেন, আপনি বলছেন সমন্বয় করতে। কিসের সমন্বয় করবো ? জায়গা হলো পৌরসভার, আপনার সাথে কিসের সমন্বয় করবো ? আপনার তো এখানে কিছু নেই। আপনি ভুলে যাবেন না, হাজীগঞ্জ মডেল কলেজে ৯৯ শতাংশ জমি আমার পরিবার দান করেছে। সেদিন কলেজের স্বার্থে আমরা আপনার সাথে আপোষ করেছি। এজন্যে আপনি আমাদেরকে বলেছেন, কলেজ ক্যাম্পাসে একটি লাইব্রেরীতে পৌর পরিষদের ঐ কার্যকাল মেয়াদের সদস্যদের নামের তালিকা একটি বোর্ডে সংরক্ষণ করবেন। সেদিনও আপনি পৌর পরিষদের সাথে কথা রাখেননি।

এ সময় পৌর প্যানেল মেয়র মোঃ জাহিদুর আজহার বলেন, মসজিদের নাম ব্যবহার করে মিথ্যা কথা বলবেন না। হাজীগঞ্জে কারা ভূমিদস্যু তা হাজীগঞ্জের সবাই জানে। মিথ্যে কথা ছড়িয়ে বাহবা নিতে পারবেন না । আমরা যেখান থেকে ময়লা অপসারণ করেছি, তার পাশে পৌরসভার আরো ভাড়াটিয়া ব্যবসায়ী রয়েছে। ঐ সকল ব্যবসায়ী ময়লার গন্ধে ব্যবসা করতে পারেন না। পৌরসভার পক্ষে ভাড়ার জন্যে গেলেই ময়লার গন্ধের অজুহাতে ভাড়া পরিশোধ করছেন না ব্যবসায়ীরা।

হাজীগঞ্জ পৌর পরিষদের কর নির্ধারক আবু ইউসুফ পৌরসভার সকল মামলা দেখাশুনা করেন। তিনি বলেন, ঐ জায়গা নিয়ে পৌরসভার সাথে মামলা চলে সরকারের। বরং আমরা দাগ সংশোধনের জন্যে আবেদন করেছি। সাবেক মেয়র আব্দুল মান্নান খান বাচ্চু সাহেবের কার্যকালে আমরা ৩০ ধারার মামলার রায় পেয়েছি। বড় মসজিদ কর্তৃপক্ষের সাথে আমাদের কোনো মামলা নেই। তারা গায়ে পড়ে এটা করছে। ১৩৮-এর অন্দরে পৌরসভার সম্পত্তি। কেউ যদি ১৩৮-এর অন্দরে জমি ক্রয় দেখিয়ে পৌরসভার জমি নিজেদের জমি বলে দাবি করে তাহলে আমরা আইনগতভাবেই লড়বো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়