প্রকাশ : ১১ জুলাই ২০২১, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার কচুয়া-রঘুনাথপুর সড়কের কাদলা গাজী বাড়ি সংলগ্ন রাস্তার ৭টি গাছ নাম মাত্র মূল্যে (২৩ হাজার টাকা) বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে ওই গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান গাজীর বিরুদ্ধে।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, স্থানীয় গাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম সরকারি রাস্তার পাশে থাকা ৫টি চাম্বল ও ২টি রেইনট্রি গাছ ২৩ হাজার টাকার বিনিময়ে মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান গাজীর কাছ থেকে ক্রয় করেন। গত বৃহস্পতিবার গাছগুলোকে কেটে ফালি করে কাদলা বাজারস্থ তাপুর স’মিলে চিরাই করতে নিয়ে যায়।
গাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম জানান, কাদলা গাজী বাড়ির লন্ডন প্রবাসী মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান গাজী গাছগুলো বিক্রি করেছেন তার ভাতিজা শাহ আলমের মাধ্যমে। লন্ডনে থাকায় গাছগুলোর দর-দামের বিষয়ে ওনার সাথে মোবাইল ফোনে কথা হয়েছে।
চাঁদপুর বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা মোঃ তাজুল ইসলাম জানান, গাছ কাটার বিষয়টি অবগত হয়ে শুক্রবার সরেজমিনে অফিসের লোক পাঠিয়েছি। তারা মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান গাজী কর্তৃক গাছ বিক্রির সত্যতা পেয়েছে। আমি তাৎক্ষণিক গাছের ক্রেতা আব্দুর রহিমকে গাছগুলো না চিরিয়ে স’মিলে স্থিতিশীল অবস্থায় রাখার নির্দেশ দিয়েছি। এ ব্যাপারে বন অধিদপ্তরের বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এই প্রতিবেদককে।
ভাতিজা শাহ আলম গাছগুলো বিক্রি করেনি দাবি করে জানান, মুক্তিযোদ্ধা সোলেমান গাজী নিজেই মোবাইল ফোনে গাছ ব্যবসায়ী আব্দুর রহিমের সাথে কথা বলে গাছগুলোকে কাটিয়েছেন। অভিযুক্ত সোলেমান গাজী সপরিবারে প্রবাসে থাকায় তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপায়ন দাস শুভ জানান, রাস্তার পাশে থাকা সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি আমি অবগত হয়ে সরেজমিনে তদন্ত করার জন্যে বন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি। অভিযোগের সত্যতা পেলে যথাযথ আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।