সোমবার, ০২ ডিসেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ডাকাতিয়া নদী ও সিআইপি অভ্যন্তরস্থ খাল খননসহ ৫ দফা দাবিতে সংগ্রাম কমিটির সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ : ০১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩২

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

অনলাইন ডেস্ক
চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিগত এক বছর ধরে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। নিজস্ব ক্যাম্পাস না থাকায় শিক্ষার্থীদের নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির ঘনিষ্ঠজনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর বাতিল হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রস্তাবিত ভূমি অধিগ্রহণ। এই ঘটনায় জড়িতদের বিচারের আওতায় এনে, দ্রুত নিজস্ব ক্যাম্পাসের জন্য ভূমি অধিগ্রহণের দাবি শিক্ষার্থীদের। জাতীয় সংসদে ২০২০ সালে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল পাস হয়। অনুমোদনের পর ভূমি অধিগ্রহণের নামে শত কোটি টাকা লোপাটের অভিযোগ ওঠে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি’র কয়েকজন ঘনিষ্ঠজনের বিরুদ্ধে। যাদের নেতৃত্বে ছিলেন- ১০নং লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম খান। ভূমি অধিগ্রহণের আগেই সেখানকার ৬২ একর জমি মৌজা রেইটের চেয়ে ২০ গুণ বেশি দাম দেখিয়ে চক্রটি সরকারের কাছ থেকে বাড়তি ৩শ’ ৫৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি নিয়ে তখন ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়। পরে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রস্তাবিত ওই স্থানটি বাতিল করে জেলা প্রশাসন। স্থানীয়দের দাবি, মানুষদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে নামমাত্র মূল্যে জমি নিজেদের করে নেয় চেয়ারম্যান সেলিম খান। প্রস্তাবিত ভূমি বাতিল হওয়ায় জোরপূর্বক কেড়ে নেওয়া জমি ফেরত চান এলাকার নিরীহ মানুষরা। লেকচারার বায়েজিদ আহমেদ বলেন, চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শুরুটা আরও আগে হলে হয়তো শিক্ষক সংখ্যা বেশি থাকতো। নানা প্রতিকুলতার পর আমরা যে শিক্ষক পেয়েছি তা খুবই কম। নতুন ব্যাচ যখন শুরু হবে তখনই, প্রতিটি বিভাগে তিনজন শিক্ষকের স্থলে ছয়জন লাগবে। বেশ কিছু শিক্ষকের পদ অনুমোদিত আছে। ভিসি মহোদয় চাইলে দ্রুত সময়ের মধ্যে তা পূরণ করা সম্ভব। শিক্ষার্থী ছোঁয়া বলেন, আমরা চাই দ্রুত গতিতে সরকার একটি জমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে পর্যাপ্ত ভবন নির্মাণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশটা নিশ্চিত করা। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ভাড়াকৃত ক্যাম্পাস পর্যাপ্ত নয়। এখানে ক্লাস রুম, গবেষণাগার, পাঠ্যপুস্তকের বাইরে বিভিন্ন বই সম্বলিত লাইব্রেরির সংকট রয়েছে। এমনকি বিভিন্ন স্থান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য হোস্টেল, খেলার মাঠ খুবই প্রয়োজন। এককথায় একটি পুর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের যে সুযোগ সুবিধাগুলো থাকা দরকার। ২০২৩ সালে চাঁদপুর শহরের ওয়াপদা গেট এলাকায় অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয়টির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তবে অস্থায়ী ক্যাম্পাসে নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে পার করতে হচ্ছে শিক্ষা কার্যক্রম। তাই দ্রুত স্থায়ী ক্যাম্পাসের দাবি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। ২০২৩ সালে ৯০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে যাত্রা শুরু করলেও বর্তমানে তিন বিভাগে দুই ব্যাচে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৮০ জন। চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর পেয়ার আহমেদ জানান, দ্রুত অনুমোদন পাওয়ার জন্য এটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল বলে আমি মনে করছি, এর বাইরে আর কিছু না। একটি বিশ্ববিদ্যালয় নিজস্ব ক্যাম্পাসে গড়ে উঠবে এটিই স্বাভাবিক। যদি তাই হয় সেখানে প্রশাসনিক ভবন, ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারারসহ অনেক দফতর। ছাত্র-ছাত্রীদের হল, লাইব্রেরি, ক্যান্টিন, কমন রুম, খেলার মাঠসহ বিভিন্ন অবকাঠামো করতে হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে আমি শুধু বাংলাদেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে চাই না। আমরা বলে দিয়েছি (আইপিএসি) ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি এশিউরেন্স সেল গঠন করে কীভাবে এই বিশ্ববিদ্যালয়কে র‌্যাংকিংয়ে ১ নম্বরে উঠানো যায়। এ জন্য যা কিছু করার দরকার তাই করব। চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের জমি অধিগ্রহণের জন্য ভিসি মহোদয়ের সাথে কথা হয়েছে। উনি খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিগ্রহণের জন্য একটি প্রস্তাব পাঠাবেন। প্রস্তাব পাওয়ার পরই আমরা স্থান নির্বাচনের জন্য কাজ শুরু করব। আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য উপযুক্ত জায়গা আমরা খুঁজে বের করতে পারব। পূর্বের অধিগ্রহণ বিষয়ে যে আলোচনা ছিল, তা ২০২৩ সালে প্রস্তাবটি গ্যাজেট আকারে বাতিল করা হয়েছে। কারণ সেখানে জায়গাটা সুবিধাজনক ছিল না এবং আরও অনেক কারণেই অধিগ্রহণটি বাতিল হয়। সূত্র : বাংলাদেশ প্রতিদিন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়