মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৮:২১

চাঁদপুরে ধানের শীষের পালে হাওয়া: দুঃসময়ের কান্ডারি মানিকের মনোনয়ন উত্তোলনে উজ্জীবিত তৃণমূল

মো. জাকির হোসেন
চাঁদপুরে ধানের শীষের পালে হাওয়া: দুঃসময়ের কান্ডারি মানিকের মনোনয়ন উত্তোলনে উজ্জীবিত তৃণমূল
ছবি : শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের মনোনয়নপত্র উত্তোলন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেবল একটি সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা নয়; এটি জনমতের প্রতিফলন ঘটিয়ে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র প্রমাণের শেষ সুযোগ। চাঁদপুর-৩ (সদর–হাইমচর) আসনে বিএনপি মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের মনোনয়নপত্র উত্তোলন নিছক কোনো নির্বাচনী আনুষ্ঠানিকতা নয়। বরং এটি গত ১৬ বছরের হারানো ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের এক সাহসী রাজনৈতিক ঘোষণা।

বিগত এক মাসের রাজনৈতিক কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় বিজয় দিবসে মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়টি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। চাঁদপুর শহরের প্রতিটি অলিগলিতে এখন প্রধান আলোচনা—জনগণের প্রার্থী বনাম ব্যবস্থার লড়াই। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে, বিএনপি কেবল নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আসেনি, বরং একটি অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে মানুষের জয় নিশ্চিত করতে মাঠে নেমেছে।

বিগত এক মাস ধরে রাজনৈতিক অঙ্গনে গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছিল যে, আইনি জটিলতা বা মামলার কারণে প্রার্থী সংকটে পড়বে দল। তবে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে দিয়ে আইনি তথ্যে এটি স্পষ্ট হয়েছে যে, মানিকের বিরুদ্ধে বর্তমানে কোনো চলমান মামলা নেই। তাঁর মনোনয়নপত্র উত্তোলন প্রক্রিয়া নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হওয়া প্রমাণ করে—তাঁর ক্লিন ইমেজ ও রাজনৈতিক স্বচ্ছতা বিরোধীদের অপপ্রচারের মুখে বড় এক জবাব।

বিগত এক মাসে চাঁদপুর সদর ও হাইমচরের প্রতিটি ইউনিয়নে বিএনপির নেতা-কর্মীরা সুসংগঠিত হয়েছেন। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে যে সাংগঠনিক শক্তি প্রদর্শিত হয়েছে, তা বিগত দশকের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী। দলীয় দুঃসময়ে যারা মাঠ ছেড়ে যাননি, সেই সব ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সমন্বয়ে একটি ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে উঠেছে যা সাধারণ মানুষের মধ্যে প্রত্যাশার আলো দেখা দিচ্ছে।

চাঁদপুর-৩ আসনের রাজনীতি কেবল আদর্শিক নয়, এটি মানুষের টিকে থাকার লড়াই। হাইমচরের নদীভাঙন কবলিত মানুষ এবং সদরের কর্মসংস্থানহীন যুবসমাজ গত এক দশকে কেবল প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি শুনেছে। শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর ধাপেই জনজীবনের এই মৌলিক সমস্যাগুলোকে সামনে এনেছেন। তাঁর রাজনীতি কেবল ক্ষমতার জন্য নয়, বরং চাঁদপুরের অধিকার রক্ষার জন্য

বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সাধারণ ভোটারের নিরাপত্তা ও নিরপেক্ষ পরিবেশ। মনোনয়নপত্র উত্তোলনের এই ঘটনাটি সেই বৃহত্তর প্রশ্নের সঙ্গেও যুক্ত। একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনই পারে রাজনৈতিক আস্থা ফিরিয়ে আনতে। ধানের শীষের এই যাত্রায় চাঁদপুর-৩ এর রাজনীতিতে এক নতুন ভোরের ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, যেখানে ভোটারই হবে চূড়ান্ত নির্ণায়ক।

ডিসিকে/এমজেডএইচ

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়