প্রকাশ : ১৪ নভেম্বর ২০২৫, ২২:৩৮
চাঁদপুরে জামায়াতে ইসলামীর বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল
অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের পদক্ষেপ নিন
----------------এমপি পদপ্রার্থী অ্যাড. শাহজাহান মিয়া

গণভোটসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চাঁদপুর শহর ও সদর শাখার উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
|আরো খবর
শুক্রবার (১৪ নভেম্বর ২০২৫) বিকেলে বাইতুল আমিন জামে মসজিদ চত্বরে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে পৃথক পৃথক মিছিল এসে সমাবেশ শুরু হয়। পরে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নতুন বাজার গিয়ে শেষ হয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর-হাইমচর আসনের এমপি পদপ্রার্থী ও জেলা জামায়াতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান মিয়া। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনুস বৃহস্পতিবার জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে একই দিনে ভোট ও গণভোটের ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর এই ধরনের ঘোষণায় জাতি হতাশ ও বিস্মিত হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টা একটি দলের আনুকুল্য পেতে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোটের মতো জনগুরুত্বপূর্ণ দাবিকে উপেক্ষা করেছেন। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দেশ ফ্যাসিস্টমুক্ত হয়েছে। এই জাতিকে বোকা মনে করা ঠিক হবে না। অবিলম্বে জাতীয় নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজনের পদক্ষেপ নিন। অন্যথায় জনগণ উল্টোপথে হাঁটা শুরু করতে বাধ্য হবে, যা কারো জন্যে মঙ্গলজনক হবে না।
চাঁদপুর শহর জামায়াতের আমীর অ্যাড. মো. শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে ও সদর আমীর মাও. আফসার উদ্দিন মিয়াজীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন শহর শিবিরের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম ও জেলা সভাপতি ইব্রাহিম খলিল। উপস্থিত ছিলেন শহর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম সবুজ।
প্রধান অতিথি আরো বলেন, অধিকাংশ রাজনৈতিক দল ও জনগণ জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দেয়ার জন্যে দাবি জানিয়ে আসছেন, অন্তর্বর্তী সরকার যাতে এটার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন। অথচ জুলাই আন্দোলনে শহীদ ও আহত ভাইদের রক্তের দাগ শুকানোর আগেই অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও তার প্রধান উপদেষ্টার দেয়া গতকালের ভাষণ এ জাতিকে হতাশ করেছে। এ সিদ্ধান্ত তিনি কাদের পরামর্শে নিয়েছেন আমরা সেটা জানতে চাই। নির্বাচনের দিন রাজনৈতিক দলগুলো তাদের প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্যে ব্যস্ত থাকবে, সেদিন গণভোট হবে না কিংবা গণভোট ত্রুটিপূর্ণ হবে, গণভোটের আসল উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন হবে না। জনগণ রাজপথে নামার আগে আপনারা জনগণের চিন্তা ও চাহিদার প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা উচিত।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা, ইসলাম ও গণতন্ত্র রক্ষায় জামায়াতে ইসলামী সবসময় শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করছে এবং ভবিষ্যতেও সে ধারাবাহিকতা বজায় রাখবে।







