প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ১৭:৪৬
তারেক রহমানের নির্দেশে বিএনপির তরুণ ব্রিগেড মাঠে!
বিএনপির তিন সংগঠনের নতুন কর্মসূচি: 'তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ'

বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন—জাতীয়তাবাদী যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদল—আগামী ৯ মে থেকে ২৮ মে পর্যন্ত বিভাগীয় পর্যায়ে যৌথভাবে আয়োজন করতে যাচ্ছে ‘তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনার এবং ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’।
|আরো খবর
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
মোনায়েম মুন্না বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের জনসম্পৃক্ত নির্দেশনায় তিনটি সংগঠন সম্মিলিতভাবে দেশের ১০টি সাংগঠনিক বিভাগকে ৪টি বৃহত্তর অঞ্চলে ভাগ করে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে তরুণদের ক্ষমতায়ন, রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারণে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা এবং আধুনিক, মানবিক ও নিরাপদ বাংলাদেশের জন্য একটি বাস্তবসম্মত কর্মপথ রচনা করা।”
কর্মসূচির মূল কাঠামো
কর্মসূচির প্রতিটি অঞ্চলে দুই দিনব্যাপী আয়োজন থাকবে।
প্রথম দিন: 'তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা, ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ' শীর্ষক সেমিনার।
দ্বিতীয় দিন: 'তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ'।
সেমিনারে রাজনৈতিক পরিচয়ের ঊর্ধ্বে উঠে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার তরুণ প্রতিনিধি, শিক্ষার্থী, উদীয়মান চিন্তাবিদ, বক্তা ও উদ্যোক্তারা অংশগ্রহণ করবেন। আলোচনায় উঠে আসবে কর্মসংস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, প্রযুক্তি, পরিবেশ, নগরায়ন এবং রাজনৈতিক অধিকার ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মোনায়েম মুন্না জানান, “এই প্ল্যাটফর্ম হবে যুক্তিনির্ভর সংলাপের ক্ষেত্র। আলোচনা হবে গঠনমূলক, পর্যালোচনামূলক এবং ভবিষ্যত্মুখী। সংলাপের ভিত্তি হবে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা রূপরেখা এবং যুগপৎ আন্দোলনের আদর্শ।”
সমাবেশের উদ্দেশ্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “তারুণ্যের ঐক্য, প্রত্যয় ও আকাঙ্ক্ষার বহিঃপ্রকাশ ঘটানোই আমাদের অভীষ্ট। আমরা চাই, বাংলাদেশে আর কখনো কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে।”
নির্ধারিত কর্মসূচি সূচি:
১. চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা বিভাগ
৯ মে: কর্মসংস্থান ও বহুমাত্রিক শিল্পায়ন বিষয়ক সেমিনার।
১০ মে: তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
২. খুলনা ও বরিশাল বিভাগ
১৬ মে: শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে সেমিনার।
১৭ মে: রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
৩. রাজশাহী ও রংপুর বিভাগ (বগুড়া)
২৩ মে: কৃষি উন্নয়ন, পরিবেশ রক্ষা ও নাগরিক সমস্যা নিয়ে সেমিনার।
২৪ মে: রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
৪. ঢাকা, ফরিদপুর, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগ
২৭ মে: অর্থনৈতিক মুক্তি ও রাজনৈতিক ভাবনা নিয়ে সেমিনার।
২৮ মে: রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ।
তরুণদের সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্ব
যুবদল সভাপতি বলেন, “এই কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা তরুণদের চিন্তা, মতামত ও চাহিদা সংগ্রহ করবো। এসব তথ্য বিশ্লেষণ করে আগামী দিনে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনগুলোর রাজনৈতিক ও সামাজিক নীতিতে জনসম্পৃক্ততা আরও বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “এই কর্মসূচি কেবল রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়, এটি একটি প্রজন্মের সঙ্গে বাস্তব সংলাপের সেতুবন্ধন। তরুণদের সরাসরি সম্পৃক্ততা আমাদের রাজনৈতিক কাঠামোকে আরও শক্তিশালী ও দায়বদ্ধ করবে।”
ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা
বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন এই বিভাগীয় কর্মসূচির মাধ্যমে সারাদেশে তরুণদের নতুন নেতৃত্ব গড়ে তোলারও পরিকল্পনা করছে। দলের অভ্যন্তরে তরুণ নেতৃত্বের বিকাশের পাশাপাশি গণতান্ত্রিক চেতনায় উজ্জীবিত একটি প্রজন্ম তৈরি করাই তাদের প্রধান লক্ষ্য।
ডিসিকে/এমজেডএইচ