প্রকাশ : ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৭:৪৩
অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়: রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা
![অন্তর্বর্তী সরকারের দ্বিতীয় অধ্যায়: রাজনৈতিক সংলাপের সূচনা](/assets/news_photos/2025/02/15/image-58939-1739620394.jpg)
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ঘোষণা করেছেন যে, সরকারের প্রথম ছয় মাসের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে এবং আজ থেকে রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।
|আরো খবর
বৈঠকটি ঢাকার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বিকেল ৩টার পর শুরু হয়, যেখানে ২৬টি দল ও জোটের প্রায় ১০০ জন প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করছেন। বৈঠকের মাঝে আসরের নামাজের বিরতির সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম সাংবাদিকদের জানান, "আজ একটি ঐতিহাসিক দিন। আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলের সংলাপ শুরু হয়েছে। বলা যায়, এটা প্রস্তুতিমূলক সভা।"
উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, এলডিপির চেয়ারম্যান কর্নেল অব. অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, জাতীয় পার্টির (জাফর) মোস্তফা জামাল হালদার, বিজেপির চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোহাম্মদ মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানি, এবি পার্টির চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান মঞ্জু, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর, গণফোরামের প্রেসিডিয়াম সদস্য সুব্রত চৌধুরী এবং জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট ও বাংলাদেশ লেবার পার্টির নেতারা।
উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৈঠকে তার বক্তব্যে বলেন, "প্রথম ইনিংস শেষ হয়েছে; আজ রাজনৈতিক সংলাপের মাধ্যমে দ্বিতীয় অধ্যায় শুরু হলো।" তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, সরকারের প্রথম ছয় মাসে বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে এবং এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের মাধ্যমে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা চলছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তার নেতৃত্বে সরকার বিভিন্ন সংস্কারমূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে ছয়টি কমিশন গঠন উল্লেখযোগ্য। এসব কমিশনের মাধ্যমে নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ প্রশাসন, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন, জনপ্রশাসন এবং সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আজকের বৈঠকটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পথে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশগ্রহণ করছেন এবং দেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা নিয়ে আলোচনা করছেন।
ডিসিকে/এমজেডএইচ