শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস আজ
  •   চাঁদপুর সদরের শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের মান্দারি লোহাগড় গ্রামে দুটি পুকুরে বিষ দিয়ে ১৫ লাখ টাকার মাছ নিধন
  •   গৃহবধূ আসমার খুনিদের বিচারের দাবিতে ফরিদগঞ্জে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন
  •   কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অভিযোগ
  •   হাজীগঞ্জের সন্তান অতিরিক্ত ডিআইজি জোবায়েদুর রহমানের ইন্তেকাল

প্রকাশ : ২৬ মার্চ ২০২৩, ১৫:৩৫

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস আজ

২৫ মার্চের মধ্যরাত থেকে শুরু হওয়া ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকে উঠে দাঁড়িয়ে বাঙালি এই দিন থেকে মুক্তিযুদ্ধ ও দেশ স্বাধীন করার শপথ গ্রহণ করে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ঢাকা ছাড়া সারা দেশে ওড়ে স্বাধীন বাংলার পতাকা। সবুজের জমিনে রক্তিম সূর্য খচিত মানচিত্রের বাংলাদেশের আজ মহান স্বাধীনতা দিবস এবং ৫৩তম জাতীয় দিবস।

বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন

১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোটে জয় পেলেও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ক্ষমতা হস্তান্তর না করে একাত্তরের ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বাঙালিদের ওপর অতর্কিত গণহত্যা অভিযান ‘অপারেশন সার্চলাইট’ শুরু করে। সেনা অভিযানের শুরুতেই হানাদার বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে তার ধানমন্ডির বাসভবন থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের আগে বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং যে কোনো মূল্যে শত্রুর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান। মুহূর্তের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুর এ ঘোষণা ওয়ারলেসের মাধ্যমে দেশে-বিদেশে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তৎকালীন ইপিআরের ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে সারা দেশে তা ছড়িয়ে পড়ে। বঙ্গবন্ধুর ঘোষণাটি ছিল এমন—‘ইহাই হয়তো আমাদের শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছে, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। শেখ মুজিবুর রহমান। ২৬ মার্চ, ১৯৭১।’

বন্দর নগরী চট্টগ্রামকে সশস্ত্র যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করে দেশের সর্বত্র চলে সশস্ত্র প্রতিরোধ। বঙ্গবন্ধু ঘোষিত বাংলাদেশের স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হ্যান্ডবিল আকারে ইংরেজি ও বাংলায় ছাপিয়ে চট্টগ্রামে বিলি করা হয়। আওয়ামী লীগের শ্রম সম্পাদক জহুর আহমেদ চৌধুরী বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা চট্টগ্রামের ইপিআর সদর দপ্তর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে ওয়ারলেস মারফত প্রেরণের ব্যবস্থা করেন। চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হান্নান দুপুর ২টা ১০ মিনিটে এবং ২টা ৩০ মিনিটে চট্টগ্রাম বেতার থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।

বাংলাদেশের মানুষের কাছে মুক্তির মন্ত্রে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার দিন আজ। বেদনাকে প্রতিজ্ঞায় পরিণত করে যুদ্ধের শপথ নেওয়ার দিন এই স্বাধীনতা দিবস। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন।

জাতীয় দিবসটি উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসনসহ চাঁদপুর জেলা আওয়ামীলীগ, বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন নানান কর্মসূচি পালন করবে। চাঁদপুর জেলা প্রশাসনের স্বাধীনতা দিবস উদযাপন কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি। ২৬ মার্চ দিবসের দিন সকালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন,চাঁদপুর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান থাকবেন তিনি।মন্ত্রীর সফর সূচি থেকে এ তথ্য জানা যায়।

জেলা প্রশাসকের গৃহীত কর্মসূচীঃ

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে চাঁদপুর জেলা প্রশাসন ব্যাপক কর্মসূচী গ্রহন করেছেন। কর্মসূচীর মধ্যে রয়েছে

২৬ মার্চ সূর্যোদয়ের সাথে সাথে শহরের অঙ্গীকারের পাদদেশে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের শুভ সূচনা, একই স্থানে ভোর ৫,৫৭ মিনিটের পর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরনে পুস্পস্তবক অর্পন, সূর্যোদয়ের সাথে সাথে সকল সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্টান ও ভবনসমূহে যথাযথ মর্যদার সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, সকাল ৮ টায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসক কতৃক আনুষ্টানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি, ফায়ার সার্ভিস, ও সিভিল ডিফেন্স এবং বিএনসিসি সমন্বয়ে কুচকাওয়াজ অনুষ্টান ও ছাত্র- ছাত্রী সমাবেশ। সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১ টা পর্যন্ত চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌ- বাহিনী ও কোষ্টগার্ডের জাহাজসমূহ জনসাধারনের দর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। সকাল ১০ টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা ও আলোচনা অনুষ্টান, বিকেল ৫ টায় চাঁদপুর সার্কিট হাউজে বীর মুক্তিযোদ্ধাগনের সাথে ইফতার ও দোয়ার মাহফিল এবং সুবিধাজনক সময়ে জাতির শান্তি, অগ্রগতি ও শহিদদের আত্মার শান্তি কামনা করে মসজিদ, মন্দির এবং গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা ও হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশু সদন এবং মূক ও বধির স্কুলে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন, চাঁদপুর সরকারি মহিলা কলেজ মাঠে মহিলাদের আলোচনা সভা, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরন অনুষ্টান।

সন্ধ্যায় জেলার গুরুত্বপূর্ণ সরকারি, আধা- সরকারি, স্বায়ত্বশাসিত এবং বেসরকারি ভবন ও স্থাপনাসমূহে আলোকসজ্জার কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়