প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২২, ২০:৪৭
চাঁদুপর জেলা পরিষদের আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান অনুষ্ঠানে
বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে এদেশকে পাকিস্থান বানাতে চায়- মায়া
সাবেক মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধকালীন ক্র্যাকপ্লাটুন কমান্ডার ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীর বিক্রম বলেছেন বিএনপি ইতিহাস বিকৃত করে এ দেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়। তারা একসময় বলেছে খালেদা জিয়া প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও তারেক জিয়া শিশু মুক্তিযোদ্ধা। তারা স্বাধীনতা বিরোধীদের গাড়িতে বাংলাদেশের রক্তে রঞ্জিত পতাকা তুলে দিয়েছিলো।
|আরো খবর
চাঁদুপর জেলা পরিষদের আয়োজনে মুক্তিযুদ্ধকালীন চাঁদপুর জেলার ৪শ' কমান্ডার ও খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা প্রদান এবং মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথাগুলো বলেন। ২৯ ডিসেম্বর বুধবার সকাল থেকে জেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে এ আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের এই প্রবীণ নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা ও প্রেসিডেন্ট সদস্য এ কথাগুলো বলেন ।
তিনি বলেন, বিএনপি বলেছিলেন গত ১০ তারিখ আওয়ামী লীগের খেলা নাকি শেষ হয়ে যাবে। তারা ব্যর্থ হয়ে শুধু দফা আর দফা দেয়। আবার বলে ৩০ তারিখ মাঠে থাকবে। ইনশাআল্লাহ আমরাও মাঠে থাকবো। এদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাবে। ভোট হবে শেখ হাসিনা সরকার অধিনে থেকে। জোর করে ক্ষমতা যাওয়া যাবে না। নৌকাকে জয়লাভ করতে পারলে আমাদের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান অক্ষুন্ন থাকবে।
মায়া চৌধুরি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের কারণেই আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পেরেছি। আজকে চাঁদপুরে মুক্তিযোদ্ধাদের মিলনমেলার আয়োজন করা হয়েছে এখানে আমরা যারা আছি, তারা সবাই বীর। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসাতেই জাতীর বীর সন্তানরা সর্বোচ্চ সম্মান পাচ্ছে। আজকে বঙ্গবন্ধুর কন্যার কারণে আমরা সবাই বার বার মিলিত হতে পারছি। তিনি ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন এবং দেশকে সম্মানিত করে যাচ্ছেন। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের না চেয়েও ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে।
মায়া চৌধুরী বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরের আগে কেউ আমাদের খোঁজও নেয়নি। একটা সময় স্বাধীনতা দিবসও ঠিকমত পালন করা হতো না। আর এখন মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে বলেই আমরা সম্মান পাচ্ছি। চাঁদপুর জেলা পরিষদ আজ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান জানিয়ে তারাও সম্মানিত হয়েছে। এই সম্মান জানানোর আয়োজনটি তারা আগামীতেও করবে বলে, আমার বিশ্বাস।
তিনি আরো বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের সময় আমার সৌভাগ্য হয়েছিলো বঙ্গবন্ধুর কন্যার সাথে থাকার। তিনি তখন বলেছিলেন, মেট্টোরেলে চড়তে আমার মুক্তিযোদ্ধাদের কোন ভাড়া লাগবে না। এটি একটি বিরল সম্মান। একসময় এদেশে প্রতিনিয়ত অসম্মান করতো মুক্তিযোদ্ধাদের। বুক ফুটে কান্না আসলেও কিছু করতে পারি নাই। লড়াই সংগ্রামের মধ্য দিয়ে এদেশে আওয়ামী লীগ সরকার আসছে। এখন দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে উন্নয়ন।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা একটি গৌরবের বিষয়। আজকে আমি জেলা প্রশাসক হিসেবে এখানে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, এটির কৃতিত্ব আপনাদের। আপনারা যদি সেদিন জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে না যেতেন, তাহলে আজ আমরা এই স্বাধীন বাংলাদেশ দেখতে পেতাম না। আজ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা দিতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করছি।