প্রকাশ : ১১ আগস্ট ২০২২, ২০:৫০
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চান অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত জেলার একটি পরিবারের নাম ভূঁইয়া পরিবার। শুধু তা-ই নয়, মহান স্বাধীনতা সংগ্রামেও এই পরিবারের সদস্যদের রয়েছে অবদান ও সরাসরি অংশগ্রহণ। একেবারেই তৃণমূল থেকে ধীরে ধীরে উঠে আসা পরিবারের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম সদস্য সাবেক ছাত্রনেতা অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া। যিনি দ্বিতীয়বারের মতো চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
|আরো খবর
আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে চাঁদপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন চেয়ে দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া তার একান্ত আলাপচারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
অ্যাডঃ মজিবুর রহমান ভূঁইয়া বলেন, আমার পরিবারের মতো এ জেলায় এমন সাচ্চা আওয়ামী লীগ পরিবার খুঁজে পাওয়া দুস্কর। পরিবারের পূর্বসূরিদের পথ অনুসরণ করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে ছাত্রজীবন থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মধ্য দিয়ে এ দলের রাজনীতি করছি। তিনি বলেন, ১৯৮৭ সালে ডিএন উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত হই। ঐ বছরই তৎকালীন স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের রোষানলে পড়ে ডিটেনশনে জেল খাটতে হয়েছে। পরবর্তীতে ১৯৮৮ সালে চাঁদপুর সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হই। পরের বছর ১৯৮৯ সালের ২৩ মে জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক ও ১৯৯১ সালের ২৭ নভেম্বর জেলা ছাত্রলীগের সম্মেলনে সভাপতি নির্বাচিত হই। ১৯৯০ সালের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্যের সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করি। ১৯৯৪ সালে ও ২০০১ সালে জামাত-বিএনপি সরকারের শাসনামলে জেল খাটতে হয়েছে।
তিনি বলেন, ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন সময়ে কারাভোগ, বিভিন্ন মামলার আসামী অর্থাৎ শত নির্যাতন ও নিপীড়ন সহ্য করে এই দলের রাজনীতি করে আসছি। কোনো লোভ-লালসাকে জীবনে প্রাধান্য দেইনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর আদর্শকে লালন করে আজো আছি, আমৃত্যু থাকবো।তিনি আরো বলেন, ১৯৯৭ সালে আইনজীবী হিসেবে চাঁদপুর বারে যোগদান করি। ২০১৭ সালে চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন প্যানেল থেকে সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করে বিজয়ী হই। আমাদের একমাত্র আস্থার ঠিকানা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতায় ছাত্র রাজনীতি সমাপ্তির দীর্ঘ ১ যুগ পর ২০০৫ সালে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে প্রথমবারের মতো সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত হই। একইভাবে ২০১৯ সালে জেলা সম্মেলনে আমাকে একই পদে নির্বাচিত করা হয়। ছাত্রজীবন থেকে অদ্যাবধি জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকারের সকল নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে জোরালো ভূমিকা পালন করি।
তিনি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা, ছাত্রজীবন থেকে অদ্যাবধি দলের প্রতি আমার শ্রম-ত্যাগ ও বির্সজন সকল কিছু বিবেচনায় নিয়ে দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ আসন্ন জেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাকে দলের মনোনয়ন দিবেন এবং ইনশাআল্লাহ দলীয় মনোনয়ন নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বিজয়ী হয়ে সুনাম অক্ষুণ্ন রাখবো। আমি এ বিষয়ে দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সমর্থক সর্বোপরি চাঁদপুর জেলাবাসীর দোয়া ও সহযোগিতা চাই।