প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২১, ২৩:১৮
'চাকরিজীবী লীগ' নিয়ে ফেসবুকে তোলপাড়
‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে নতুন একটি সংঠনের পোস্টারে ছেয়ে গেছে ফেসবুক। আলোচনা-সমালোচনা কেন্দ্রবিন্দু সংগঠনটি নেটিজেনদের কাছে নতুন হলেও সংগঠনের কর্তা ব্যাক্তিদের দাবী সংগঠনটির বয়স ৩ বছরেরও বেশী।
সম্প্রতি সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে পোস্টার লাগিয়ে সংগঠনটির জেলা, উপজেলা ও বিদেশি শাখায় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নিয়োগ দেয়া হবে বলে বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। যদিও এ ধরনের নামসর্বস্ব সংগঠনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো সম্পর্ক নেই বলে জানিয়েছেন দলটির শীর্ষ নেতারা।
'চাকরিজীবী লীগ'-এর কেন্দ্রীয় কমিটির বর্তমান সভাপতি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটির নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীর ও সাধারণ সম্পাদক মাহবুব মনির। সারাদেশে দেয়ালে টানানো ও ফেসবুকে ভাইরাল হওয়া পোস্টারে সভাপতি, সেক্রেটারি হতে ইচ্ছুক ব্যক্তিদের যোগাযোগ করতে বলা হয়। পোস্টারে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক হিসেবে সাইফুল ইসলাম ইমনের ফোন নম্বর দিয়ে তাতে পদ প্রত্যাশীদের যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
যদিও 'চাকরিজীবী লীগ' গঠন করে ইতোমধ্যেই আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় উপ কমিটির পদ হারিয়েছেন হেলেনা জাগাঙ্গীর। সাবেক সংসদ সদস্য মেহের আফরোজ চুমকি বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
ফেসবুকের নিজের ফেরিফায়েড আইডিতে হেলেনা জাহাঙ্গীর জানিয়েছেন, দুর্নীতি মুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় আর সরকারের হাতকে শক্তিশালী করার প্রত্যাশায় বাংলাদেশের আওয়ামী চাকুরীজীবী লীগ নামটি অনেকের কাছে নতুন মনে হলেও এটি বেশ অনেকদিন ধরে কাজ করা একটি সংগঠন। এটির বয়স প্রায় ৩ থেকে ৪ বছর। অনেক দিন ধরে কাজ করে যাচ্ছে সারা বাংলাদেশ ব্যাপী। বাংলাদেশের ৬৪টি জেলার মধ্যে ৩২টি জেলায় অফিসসহ কমিটি দেওয়া হয়েছে। এই মুহুর্তে এই সংগঠনটির সদস্য লক্ষাধিক।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের পোস্টকে কেন্দ্র করে স্যোসাল মিডিয়ায় ঝর উঠছে সমালোচনার। কেউ বলছেন এ সংগঠনটি দেশের বেকার তরুণ-তরুণীদের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সংগঠন রূপে কাজ করবে। আবার কারো দাবী মুক্তিযদ্ধের নেতৃত্ব দেওয়া দল 'আওয়ামীলীগ' নামটিকে বিতর্কিত করতেই এ ধরণের দোকান খুলে বসা।
সাজ্জাদ হোসেন নামক এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, দেশে চাকরিজীবী লীগ গঠন হলে বেকার লীগ কেন গঠিত হবে না? তার দাবী এই মূহুর্তে চাকরিজীবী লীগের চাইতে 'বেকার লীগ' খুব বেশি প্রয়োজন। রিফাত শরীফ লিখেছেন, 'লীগ' শব্দটি কী এতটাই সস্তা? যে কেউ চাইলেই কি এটি ব্যবহার করতে পারেন? এমন অসংখ্য মন্তব্যে বর্তমানের হট টপিক হেলেনা জাহাঙ্গীরের 'চাকরিজীবী লীগ'।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে নাম সর্বস্ব সংগঠন দিন দিন বেড়েই চলছে। এসব নাম সর্বস্ব সংগঠনের পেছনে ‘লীগ’ শব্দ ব্যবহার ছাড়াও বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা, শেখ রাসেল ও বঙ্গবন্ধু পরিবারের বিভিন্ন সদস্যদের নামও ব্যবহার করছেন উদ্যোক্তারা। যদিও কারা নামের শেষে লীগ শব্দটি ব্যবহার করতে পারবেন আর কারা পারবেন না তা নিয়ে একটি সুস্পষ্ট নীতিমালা থাকা প্রয়োজন বলে মনে করেন আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীবৃন্দ।