শুক্রবার, ২২ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারের পুত্রবধূ মাদকসহ যৌথ বাহিনীর হাতে আটক।
  •   মহাখালীতে ট্রেন থামিয়ে শিক্ষার্থীদের হামলা, শিশুসহ কয়েকজন রক্তাক্ত
  •   কমিটি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে শিক্ষক লাঞ্ছনা ও ভাংচুরের ঘটনা গৃদকালিন্দিয়া কলেজে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ॥ পাঠদান স্থগিত
  •   চট্টগ্রামে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল থেকে অর্থদাতাসহ দুজন গ্রেপ্তার।
  •   রাষ্ট্রীয় পদে আসীন হচ্ছেন খবরে আসামিপক্ষে শুনানি করলেন না সমাজী।

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২২, ১২:৪৯

জাদুবিস্তারী বাগ্মিতায় রুমিনকে ‘কুপোকাত’ করলেন দীপু মনি, প্রশংসা পেলো সংসদে

অনলাইন ডেস্ক
জাদুবিস্তারী বাগ্মিতায় রুমিনকে ‘কুপোকাত’ করলেন দীপু মনি, প্রশংসা পেলো সংসদে

রাজনৈতিক প্রজ্ঞার আলোকেই কথা বলেন। তথ্য ও যুক্তিনির্ভর তাত্ত্বিক আলোচনাতেও জুড়ি নেই শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি এমপি’র। দেশের সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিজেকে এক করে দেখেন। নিজ সরকারের বিপরীতে অযৌক্তিক ও মনগড়া সমালোচনায় টু দ্য পয়েন্টে কঠোর জবাব দিতেও পারঙ্গম তিনি। নিজের জাদুবিস্তারী এমন বাগ্মিতার আরও একবার প্রমাণ মিললো জাতীয় সংসদে।

বাঙালি জাতির আত্মমর্যাদার প্রতীক পদ্মা সেতু হয়ে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে সংসদে তোলা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় দাঁড়িয়ে নিজের বিরূপ অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হওয়ার কথা যেমন অকপটে উচ্চারণ করলেন তেমনি অবিনশ্বর আলোকশিখা হয়েই কুপোকাত করলেন বিএনপির সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানাকে।

বুধবার (৮ জুন) একাদশ জাতীয় সংসদের অষ্টাদশ অধিবেশনে পুরনো এমন চেহারায় ফের আবির্ভূত হলেন দেশের প্রথম এই নারী শিক্ষামন্ত্রী।

নিজের অনন্য বাগ্মিতায় ডাঃ দীপু মনি যেন গ্রথিত করলেন বাঙালি জাতির আবেগ, স্বপ্ন আর আকাক্সক্ষার প্রতীক শেখ হাসিনার দেশপ্রেমের অনবদ্যতার অম্লান বাণীতে। নিজের ছন্দবদ্ধ উচ্চারণে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সততা, দৃঢ়তা, সাহস, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতার কাছে পদ্মাসেতুকে ঘিরে সব ষড়যন্ত্র পরাজিত হয়েছে বলেও মনে করেন। ফলত এই পদ্মা সেতুকে বাঙালির আত্মবিশ্বাস, আত্মমর্যাদা সাহস আর দৃঢ়তার প্রতীক হিসেবেই উপস্থাপন করেন।

ডাঃ দীপু মনির বক্তব্যে টেবিল চাপড়ে, মাথা নেড়ে সমর্থন জানাচ্ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য, সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম থেকে শুরু করে সরকারের মন্ত্রী-এমপিদের অব্যাহত সমর্থনে দুর্দান্ত অনুপ্রাণিত মনে হচ্ছিল ওয়ান ইলেভেনে শেখ হাসিনা মুক্তি আন্দোলনে প্রতিবাদী মিছিলের মুখ ডাঃ দীপু মনিকে। আবেগ-বাস্তবতার বিচ্ছুরণে তাঁর দীর্ঘ সময়কার বক্তব্য হয়ে উঠলো আরও বলিষ্ঠ এবং সুদৃঢ়। গোটা সংসদেই যেন উচ্চারিত হলো তাঁর প্রশংসা ধ্বনি।

সংসদে কী বলেছেন ডাঃ দীপু মনি?

পদ্মা সেতুতে বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধে নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস যখন পুরোমাত্রায় অপতৎপরতা শুরু করেছেন তখন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন ডাঃ দীপু মনি এমপি। এখন স্বপ্নের পদ্মাসেতু বাস্তবতা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু তৈরির মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছেন বাঙালির সক্ষমতা। আগামী ২৫ জুন উদ্বোধন হতে যাচ্ছে পদ্মা সেতুর।

পদ্মা সেতু বাস্তব হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানাতে সংসদে তোলা প্রস্তাবের উপর আলোচনায় দাঁড়িয়ে পদ্মা সেতুর অভ্যুদয়ের ইতিহাস, নানা ষড়যন্ত্রকে পায়ে মাড়িয়ে এগিয়ে চলার গল্পই বলে গেলেন শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি।

গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইউনূসের নাম না নিয়ে দীপু মনি বলেন, “আইনের কাছে তিনি বেআইনি কাজ করায় হেরে গিয়ে এতোটাই ক্ষুব্ধ হন যে শেখ হাসিনার সরকার, ব্যক্তি শেখ হাসিনা, তাঁর পরিবার, তাঁর বোন শেখ রেহানা এমনকি সরকার পক্ষের যিনি আইনজীবী ছিলেন, তাঁর প্রতিও প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে ওঠেন।

‘দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, কিছু মহলের প্রতিহিংসাপরায়ণতা এখনও প্রশমিত হয়নি। সেই আইনজীবীর স্ত্রী হিসেবে তাদের প্রতিহিংসার আগুনে আমাকে এখনো পুড়তে হয়।’ গ্রামীণ ব্যাংকের পদে থাকতে ইউনূস যে আইনি লড়াই চালিয়েছিলেন, সেই মামলায় তার বিপক্ষে দাঁড়িয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন দীপু মনির স্বামী তৌফিক নেওয়াজ।

সাবেক এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘যারা আমাদের মতো উন্নয়নের জন্য সংগ্রামরত দেশগুলোকে প্রতিনিয়ত স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার ছবক দেন, তাদের নেতৃস্থানীয় একটি রাষ্ট্রের ঢাকাস্থ রাষ্ট্রদূত এবং তাদের পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রায় উচ্চপর্যায়ের একজন কর্মকর্তা আমাদের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে আসেন’।

‘স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করবার জন্য নয়, আসেন স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে অনুসন্ধানের যে কাজ আমরা হাতে নিয়েছিলাম তাকে বন্ধ করে দিতে। দুর্নীতির অনুসন্ধানকে উৎসাহিত করতে নয়। দুর্নীতির অনুসন্ধানকে বরং বন্ধ করে দিতে তারা চাপ প্রয়োগ করতে আসেন। স্বাভাবিকভাবেই এ রকমের কোনো অযাচিত অন্যায় চাপের কাছে শেখ হাসিনা সরকার নতি স্বীকার করেনি, করতে পারে না।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সেই রাষ্ট্রদূতসহ সেই দেশের অ্যাসিসটেন্ট সেক্রেটারি অব স্টেট আমার সাথে দেখা করে। আমি তখন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলাম এবং ফোন করে তারা বারবার চাপ প্রয়োগ করতে থাকে এবং কখনও প্রচ্ছন্নভাবে, কখনওবা স্পষ্টভাবে বলে যে, গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার ব্যবস্থাপনা পরিচালকের বিষয়ে অনুসন্ধান বন্ধ করা না হলে পদ্মা সেতুর জন্য বিশ্ব ব্যাংক যে অর্থায়ন করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তা বন্ধ করে দেওয়া হবে’।

‘এরপরই সব বায়বীয় অভিযোগ উত্থাপন করা হতে থাকে সরকারের বিরুদ্ধে এবং দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়। তারা তাদের কথা রেখেছিলেন, কোনো প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে, কোনো দাতা সহযোগীকে না জানিয়ে আকস্মিক পদ্মা সেতুর অর্থায়ন করার যে সিদ্ধান্ত বিশ্ব ব্যাংক নিয়েছিল, সেটিকে তারা বন্ধ করে দেন।’

ক্লিনটন ফাউন্ডেশনে ইউনূসের অনুদান দেওয়ার অর্থের উৎস নিয়েও প্রশ্ন তোলেন দীপু মনি। বিশ্ব ব্যাংকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের পর তাদের বাদ দিয়ে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করেছে সরকার। ডাঃ দীপু মনি বলেন, ‘আজ সমস্ত প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করে, সকল অসত্য আর ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে আমাদের পদ্মা সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। স্বপ্ন আজ সত্যি।

শেখ হাসিনাকে, তার পরিবারকে, তার সহকর্মীদেরকে হেয় করা সকল প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে। কিন্তু শেখ হাসিনার সততা, দেশপ্রেম দৃঢ়তা, সাহস, প্রজ্ঞা আর দূরদর্শিতার কাছে পরাজিত হয়েছে সকল ষড়যন্ত্র। এই পদ্মা সেতু বাঙালির আত্মবিশ্বাস ও আত্মমর্যাদার প্রতীক। বাঙালির সাহস আর দৃঢ়তার প্রতীক’ যোগ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

যেভাবে ‘কুপোকাত’ করলেন রুমিন ফারহানাকে

পদ্মা সেতু দুর্নীতির ‘টেক্সটবুক এক্সাম্পল’ হয়ে থাকবে বিএনপি দলীয় সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানার এই বক্তব্যের পর নিজের দীর্ঘ বক্তব্যে রীতিমতো তাকে ‘কুপোকাত’ করেন শিক্ষামন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের চারবারের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডাঃ দীপু মনি এমপি।

তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার একটু আগেই আমরা একজন রাজনৈতিক দলের একজন একজন সংসদ সদস্যের কিছু বক্তব্য শুনলাম। সমালোচনা সব সময় ভালো, আর স্বাস্থ্যের পক্ষে অবশ্যই ভালো। তিনি মিষ্টির কথা বলেছেন, অতিরিক্ত মিষ্টি স্বাস্থ্যের পক্ষে কোথাও কোথাও ক্ষতিকর। তেতো কিন্তু স্বাস্থ্যের পক্ষে সবসময় ভালো, তবে তা যদি হয় সত্য তেতো।’

‘আমরা করোলা খাই, আমরা ডিম খাই, সেগুলো স্বাস্থ্যের পক্ষে ভালো। কারণ তার মধ্যে অসত্য নেই। কিন্তু যে তেতো ষোল আনাই অসত্যে মোড়া তা কোনদিন কারো স্বাস্থ্যের পক্ষে কোনদিন লাভজনক হয়নি, হতে পারেও না’ বলছিলেন দীপু মনি।

তিনি বলেন, ‘প্রদীপের নিচে অন্ধকার। সত্যি কথাই, প্রদীপের নিচে অন্ধকার। কারণ তাদের আমলে (বিএনপি শাসনামল) আমরা প্রদীপের নিচে অন্ধকার কাকে বলে দেখেছি। একজন প্রধানমন্ত্রী, দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতা যার হাতে থাকে, যিনি দেশের রক্ষক, তিনি রক্ষক হয়ে এতিমের অর্থ আত্মসাৎ করেছিলেন। একে বলে প্রদীপের নিচে অন্ধকার।’

‘মাননীয় স্পিকার, ওনি বলেছেন টাকা নয় ছয় এর কথা। এই শব্দগুলো আসলে তাদেরকেই মানায় যারা নয় ছয়ে বিশেষজ্ঞ। এবং তারা এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলেই এবং সেগুলোর ভুরি ভুরি প্রমাণ জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আছে বলেই এ নিয়ে আর বলছি না।

তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাংক ফিরে এসেছিল, আমরা কেনো তাদের ঋণ নিলাম না। আত্মসম্মান ও আত্মমর্যাদা এ বিষয়গুলো বিএনপি-জামাত বুঝবে, এ প্রত্যাশা আমরা করি না। করি না, তার কারণ আছে। যারা দেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না, যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, যারা উন্নয়নে বিশ্বাস করে না, যারা যুদ্ধাপরাধীদের দোসর, তাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে জাতিকে অপমান করে।

যারা দুর্নীতিতে দেশকে বার বার চ্যাম্পিয়ন করে, যারা গ্রেনেড মেরে, বোমা মেরে বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে চায়, যারা দেশকে পরমুখাপেক্ষী রাখাকেই শ্রেয় মনে করে, যারা বিদেশের কাছে-বিদেশিদের কাছে ধরণা দেয়াকেই শ্রেয় মনে করে। দেশের মানুষের ওপর যাদের কোনো আস্থা নেই, তাদের জীবনে তাদের কোন ধরনের কোন বইয়ের মধ্যে জীবনচারিতার কোথাও অন্ততপক্ষে আত্মমর্যাদা বা আত্মবিশ্বাস এই শব্দগুলোর অস্তিত্ব থাকতে পারে না এবং নেই। সে কারণেই তারা বুঝে না শেখ হাসিনা কোন আত্মবিশ্বাস আর আত্মসম্মানের জন্য এই সেতু নিজ অর্থে করেছেন’ একদমেই যেন উচ্চারণ করেন শিক্ষামন্ত্রী।

ভূপেন হাজারিকা সেতুর সঙ্গে রুমিনের পদ্মা সেতুর তুলনার কঠোর সমালোচনা করে শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি দু’টি সেতুর মাঝে যে বিস্তর ফারাক তাঁর সঠিক পরিসংখ্যানও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘ভূপেন হাজারিকা সেতু আর এই সেতুর মধ্যে আকাশ-পাতাল তফাৎ। ভূপেন হাজারিকা সেতুর পাইল লোড মাত্র ৬০ টন, পদ্মা সেতুর পাইল লোড ৮ হাজার ২০০ টন। ভারতের ওই সেতুর এক একটি পিলার ১২০ টনের, পদ্মা সেতুর একেকটি পিলার ৫০ হাজার টনের। সেই হিসেবে ওই সেতুর ১৩৩ গুণ বেশি শক্তিশালী এই সেতু। বিশ্বের আর কোথাও সেতু তৈরিতে পদ্মা নদী মত এত তলদেশে গিয়ে পাইল গাঁথতে হয়নি। পদ্মা সেতুর মতো এতো স্রোতস্বিনী নদীর উপর বিশ্বে সেতু হয়েছে মাত্র একটি। এই অনন্য বৈশিষ্ট্যের কারণেই এটি এটি বিশ্বের অন্যতম ব্যতিক্রমী সেতু এবং আমাজন নদীর পরেই বিশ্বে বাংলাদেশের পদ্মা নদীর অবস্থান খরস্রোতার দিক থেকে, তার উপর দিয়েই সেতুটি করা হয়েছে। পানি প্রবাহের বিবেচনায়ও বিশ্বে আমাজন নদীর পরেই এই প্রমত্তা পদ্মা।

৪০০ মিটার গভীরে পাইল নিয়ে যেতে হয়েছে। পৃথিবীর সেতু নির্মাণের একটি বিরল ঘটনা। একটু আগেই বলেছি একেকটি পাইলের ওজন ৮ হাজার ২শ টন এবং পাইল এতো গভীরে যাচ্ছে যে ভেতরে এটি ৪০ তলা ভবনের সমান হবে।

পদ্মা সেতুর পাইল তলদেশে নিতে যে হ্যামারটি ব্যবহার করা হয়েছে। সেই হ্যামারটি বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী হাইড্রোলিক হ্যামার। পৃথিবীর আর কোথাও কোনো সেতুতে এমন শক্তিশালী হ্যামার ব্যবহৃত হয়নি, এই হ্যামারটি জার্মানি থেকে বিশেষ অর্ডারে তৈরি করে আনা হয়েছে। পদ্মা সেতুতে যে পাথরগুলো ব্যবহার করা হয়েছে, তার একেকটির ওজন প্রায় এক টন, বিশাল বড় ট্রাকে ১৫টি পাথর দিলে সেই বড় ট্রাক ভর্তি হয়ে যায়।

এই বিরাট যে কারখানাটি তৈরি হয়েছে, একদিনে পদ্মা সেতুর পাইল এবং স্প্যানের বিশাল কারখানা, বিশাল এক কর্মযজ্ঞ। একদিন হয়তো বা তাদের আগ্রহ থাকলে দেখে আসতেন, দেখলে তারা নিজেরাই হয়তো তাদের ভুল বুঝতে পারতেন। কিন্তু তারা কেউ সেটা মনে করেননি, প্রয়োজন আছে বলে যখন আমরা বলবো, কোন কিছু সম্পর্কে প্রশ্ন তুলতেই পারি। একটু জেনে শুনে কথা বলাই ভালো’ যোগ করেন ডাঃ দীপু মনি এমপি।

তথ্য সূত্র : কালের আলো

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়