বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০

নিবর্তনমূলক আটক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন  প্রসঙ্গ
অধ্যাপক মোঃ হাছান আলী সিকদার

নিবারণমূলক বা নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত ক্ষমতা (চড়বিৎ ড়ভ চৎবাবহঃরাব উবঃবহঃরড়হ) ক্ষমতা অপব্যবহারের প্রয়োগ-সম্ভাবনা-হাতিয়ার হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। কারণ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে নিবর্তনমূলক আটক ক্ষমতার অপব্যবহার করা হচ্ছে এবং হয়েছে। জরুরি অবস্থা মোকাবেলা ও জাতীয় নিরাপত্তা রক্ষার অজুহাতে এরূপ আইনকে রাজনৈতিক প্রতিশোধ স্পৃহাকে কার্যকর করার মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং হয়েছে। পাকিস্তানের তেইশ বছরের শাসনামলে এরূপ প্রায় এক ডজনের মত ‘অপঃ ও ঙৎফরহধহপব’ জারি করা হয়েছিল, যার মাধ্যমে এমনকি বঙ্গবন্ধুসহ হাজার হাজার রাজনৈতিক নেতাদের বছরের পর বছর বিনা বিচারে কারাভোগ করতে হয়েছিলো। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে প্রায় ৪৯ বছরের মধ্যে যুদ্ধ বা বহিরাক্রমণের কোনো পরিস্থিতি উদ্ভব হয়নি, এমন কোনো অভ্যন্তরীণ গোলযোগও হয়নি, যা রাষ্ট্রের নিরাপত্তার প্রতি হুমকিস্বরূপ। অথচ ১৯৭৪ সালে বিশেষ ক্ষমতা আইন (ঝঢ়বপরধষ চড়বিৎং অপঃ ১৯৭৪) পাস করে এটাকে স্থায়ী আইন হিসেবে ক্ষমতায় টিকে থাকা এবং বিরোধীদলের আন্দোলন-সংগ্রাম এমনকি মুখ বন্ধ করার জন্য প্রত্যেক সরকার ব্যবহার করে আসছে। উদাহরণকল্পে বলা যায়, ১৯৯২ সালের জুলাই মাসে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করা হয় ৪৫০০ জন ব্যক্তিকে এবং দেশব্যাপী বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটকের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ হাজার। (ভোরের কাগজ ২৪ জুলাই ’৯২)। তবে বর্তমানেও এর স্বরূপ বাইরে নয়। এ ব্যাপারে সংসদের বাইরে থাকা বিরোধী দলগুলোর জোরালো অভিযোগ রয়েছে।

ব্রিটিশ-ভারত ও পরবর্তীতে পাকিস্তানের ২৩ বছরের তিক্ত অভিজ্ঞতার কারণে বাংলাদেশ সংবিধান প্রণেতাগণ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন যে, বাংলাদেশ সংবিধানে বিনা বিচারে আটক বা জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত কোনো বিধান রাখা হবে না। তৎকালীন সরকার এ জাতীয় অগণতান্ত্রিক বিধান সংবিধানে স্থান দেয়ার ঘোর বিরোধী ছিলো। কিন্তু সংবিধান প্রণয়নের পরবর্তী বছর যেতে না যেতেই সংবিধানের ২য় সংশোধনীর মাধ্যমে জরুরি অবস্থা ও বিনা বিচারে আটকের বিধান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সংবিধানের ৩৩নং অনুচ্ছেদে নিবর্তনমূলক আটক সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের ক্ষমতাবলে ১৯৭৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিশেষ ক্ষমতা আইন (ঝঢ়বপরধষ চড়বিৎ অপঃ ১৯৭৪) পাস করা হয়।

১৯৭১ সালে ভারতে প্রণীত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা আইন ‘গধরহঃবহধহপব ড়ভ ওহঃবৎহধষ ঝবপঁৎরঃু অপঃ. (গওঝঅ)’ এবং ১৯৫২ সালের ‘ঊধংঃ চধশরংঃধহ চঁনষরপ ঝধভবঃু ঙৎফরহধহপব’-কে অনুসরণ করে বিশেষ ক্ষমতা আইন তৈরি করা হয়। কিন্তু এই দুটি আইনের চেয়েও বিশেষ ক্ষমতা আইনকে অধিকতর কঠোর করা হয়েছে।

কোনো অপরাধ সংঘটন বা আইন লংঘনের পর যখন কোনো ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয় তখন এরূপ আটককে শাস্তিমূলক আটক (চঁহরঃরাব উবঃবহঃরড়হ) বলে। এক্ষেত্রে আটককৃত ব্যক্তি কোনো না কোনো অপরাধ করেছে যা সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ প্রমাণ করা হয় এবং আটকাদেশ দান করে আদালত। অপরদিকে, একজন ব্যক্তিকে আইন লংঘন বা অপরাধ সংঘটনের পূর্বেই আটক করা হলে ঐ আটককে নিবারণমূলক বা নিবর্তনমূলক আটক (চৎবাবহঃরাব উবঃবহঃরড়হ) বলে। অর্থাৎ একটি লোক কোনো অপরাধ করেনি, রাষ্ট্রের কোনো অনিষ্টকর কাজে লিপ্ত হয়নি কিন্তু সে মুক্ত অবস্থায় থাকলে অপরাধ করতে পারে বা রাষ্ট্রের অনিষ্টকর কাজে লিপ্ত হতে পারে-এই আশঙ্কায় কোনো ব্যক্তিকে আটক করাকে নিবর্তনমূলক আটক বলা হয়। এক্ষেত্রে আটকাদেশ প্রদান করে প্রশাসন। তবে আটককৃত ব্যক্তি কোনো অপরাধ করেনি এমনকি কোনো চার্জ আনা হয় না, আদালতের সামনে সাক্ষ্য প্রমাণাদি উপস্থিত করতে হয় না এবং বিচার ছাড়াই আটক করে রাখা হয়।

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা যখন বিপন্ন অথবা রাষ্ট্র যখন যুদ্ধরত অথবা রাষ্ট্রে যখন প্রচ- অর্থনৈতিক সংকট চলছে তখন কোনো নাগরিক বা বিদেশী হয়তো রাষ্ট্রের নিরাপত্তার পরিপন্থী কাজে লিপ্ত হতে পারে। এরূপ আশঙ্কায় ব্যক্তি বিশেষকে আটক রাখার বিধান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রসমূহে অনেক ক্ষেত্রে স্বীকৃত। কিন্তু সেটা শুধু জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময় সীমাবদ্ধ। শান্তির সময় কখনো ব্যক্তিস্বাধীনতা হরণকারী আইন থাকতে পারে না। প্রথম বিশ^যুদ্ধের সময় ১৯১৪ সালে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট নিবর্তনমূলক আইন পাস করে। জ ঠ ঐড়ষষরফধু মামলায় হাউজ অব লর্ডস এই আইনের বৈধতা বিচার করতে গিয়ে বলেছিলো যে, যুদ্ধ বা জরুরি অবস্থায় জাতীয় স্বার্থে নিবর্তনমূলক আইন বৈধ, যদিও ইহা কিছু সময়ের জন্যে নাগরিকদের ব্যক্তিস্বাধীনতায় আঘাত হেনে থাকে। এরপরে দ্বিতীয় বিশ^যুদ্ধের সময়ও বৃটিশ পার্লামেন্ট ঊসবৎমবহপু চড়বিৎ (উবভবহপব) অপঃ ১৯৩৯ পাস করে, যা নিবর্তনমূলক আটকের আইন ছিলো, তবে অহফবৎংড়হ (১৯৪২) মামলায় হাউজ অব লর্ডস একই অভিমত ব্যক্ত করেছিলেন। আরও উল্লেখ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জরুরি অবস্থা মোকাবেলা করার জন্য এ ধরনের বিধান আছে। কিন্তু এ সকল দেশে যুদ্ধকালীন সময় ব্যতীত শান্তির সময়ে কখনো নিবর্তনমূলক আটকের কোনো বিধান থাকে না। বিশ^যুদ্ধ শেষ হওয়ার সাথে সাথে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কর্তৃক পাসকৃত উক্ত আইন দুটিও বিলুপ্ত হয়ে গেছে।

ভারতে নিবর্তনমূলক আইনের অধীনে এককালীন ৩ মাসের বেশি সময় কোনো ব্যক্তিকে আটক রাখা যায় না। অথচ বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী নিবর্তনমূলক আইনে কোনো ব্যক্তিকে এককালীন ৬ মাস বিনা বিচারে আটক রাখা যায়। বিশে^র কোনো দেশেই এককালীন এত বেশি সময়ের জন্যে আটকের বিধান নেই। প্রত্যেক দেশের আইনে নিবর্তনমূলক আটকের একটি সর্বোচ্চ মেয়াদ থাকে। ভারতে সর্বোচ্চ মেয়াদ ২ বছর (ভারত সংবিধান, অনুঃ ২২)। কিন্তু বাংলাদেশ সংবিধানে এমন কোনো বিধান করা হয়নি। অর্থাৎ বাংলাদেশে উক্ত আইনে একজন ব্যক্তিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য তথা যতবছর ইচ্ছা (প্রতি ৬ মাস পর উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন নিয়ে) বিনা বিচারে আটক রাখা যায়।

বিশে^র গণতান্ত্রিক দেশসমূহে নিবর্তনমূলক আটকের বিধান থাকলেও সংবিধানে বলে দেয়া থাকে, কোন্ সময় সরকার এ ধরনের আইন প্রয়োগ করতে পারবে। যুদ্ধের মত জরুরি অবস্থা চলাকালীন সময়ে এ ধরনের আইনের প্রয়োগ করা হয় এবং যুদ্ধ বা জরুরি অবস্থা শেষ হয়ে গেলে এ ধরনের আইনেরও বিলুপ্তি ঘটে। কিন্তু বাংলাদেশ সংবিধানে বলে দেয়া হয়নি যে, কোন্ সময় এ ধরনের আইন প্রয়োগ করা যাবে। আর এ কারণেই বাংলাদেশে উক্ত আইন চিরস্থায়ী আইন ও সংবিধানের অংশ হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। তাই এ কারণেই শাসকগণ বিশেষ ক্ষমতা আইনে যখন খুশি কোনো ব্যক্তি বা বিরোধীদলের ব্যক্তিবর্গকে ইচ্ছামত বছরের পর বছর আটক রাখতে পারছে, যা উন্নত গণতান্ত্রিক বিশে^ কল্পনায়ও আনতে পারছে না।

আরো উল্লেখ্য, ৪৪তম সংশোধনীর মাধ্যমে ভারতের সংবিধানে নিবর্তনমূলক আটকের বিধানকে অনেকটা গণতান্ত্রিক করা হয়েছে। স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তি হলো, কিন্তু বাংলাদেশের অগণতান্ত্রিক ও মৌলিক অধিকার খর্বকারী বিধানকে আজও পরিবর্তন করা হলো না। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১৬টি সংবিধান সংশোধনী পাস হয়েছে। কিন্তু নিবর্তনমূলক আইনের সাংবিধানিক কালো আইনকে দূর করা হয়নি। আরও বললে বলতে হয়, দ্বাদশ সংশোধনীতে সংসদীয় সরকার ব্যবস্থা, গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বলে আমাদের জ্ঞাত। অথচ নিবর্তনমূলক আটক এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন প্রয়োগের ব্যাপারে অগণতান্ত্রিক বিধানগুলো গণতান্ত্রিক সরকারকে অসম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক সরকারে পরিণত করেছে এবং করছে বললে অত্যুক্তি হবে না। কারণ এই বাংলাদেশে প্রত্যেকটি সরকারের আমলেই দেখা গেছে, যখনই বিরোধীদল বা অন্য কেউ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেমেছে বা সরকারের কার্যকলাপের ত্রুটি-বিচ্যুতির ঘোর বিরোধিতা কিংবা সমালোচনা করেছে (যা গণতন্ত্রের বিকাশের জন্য আবশ্যক) তাদেরকেই বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধরে নিয়ে বছরের পর বছর বন্দী করে রাখা হয়েছে। উল্লেখ্য, কোনো জরুরি অবস্থা নয়, যুদ্ধ নয়, সম্পূর্ণ শান্তির সময়ে ব্যক্তিস্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করা হয়েছে এবং হচ্ছে।

উল্লেখ না করলেই নয়, বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ উভয় দলেরই দলীয় ইস্তেহারে (চধৎঃু গধহরভবংঃড়) ছিল যে, তারা ক্ষমতায় গেলে বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করবে। কিন্তু বিএনপি ক্ষমতায় যাওয়ার পর বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন যে, বিশেষ ক্ষমতা আইন বাতিল করা যাবে না, বাতিল করলে দেশ চালানো মুশকিল হবে। তিনি সভায়, সাক্ষাৎকারে আরো বলেছেন, এই আইনতো আমরা করি নাই। তেমনিভাবে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রী একই সুরে বলতে চেষ্টা করেছেন, যার সারমর্ম হলো, দেশ চালাতে হলে এবং অপরাধ দমন করতে হলে এ আইন চালু রাখতে হবে। কিন্তু অতীত ও বর্তমান সরকারগুলোর এই যুক্তি কি যুক্তিযুক্ত?-আসলে ভিত্তিহীন। এতে কি প্রতীয়মান হয় না যে, বিএনপি-আওয়ামী লীগ এ বড় দুদলেরই যেমনি শাসনকাল বেশি, তেমনি শাসন-দমন-পীড়ন করতে তৈরি পাওয়া হাতিয়ার হিসেবে বিশেষ ক্ষমতা আইনটি ব্যবহারের সুযোগ লুফে নিচ্ছে।

কোনো ব্যক্তি অপরাধে লিপ্ত হলে কিংবা লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলে তাকে পুলিশ সাধারণ আইনে তথা ফৌজদারি কার্যবিধির অধীনে আটক করতে পারে। সত্যিকারভাবে সে যদি অপরাধ করে কিংবা অপরাধে জড়িত থাকার সম্ভাবনা থাকে তবে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে জেল দিতে পারেন। কিন্তু সাধারণ আইনে আটক করলে আটককারীকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট উপস্থিত করতে হবে। এই ২৪ ঘন্টার মধ্যে উপস্থিত যাতে না করতে হয় তার জন্য বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করা হয়। বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক করলে মাসের পর মাস কারণ ছাড়া, কোনো ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থিত করা ছাড়াই আটক রাখতে পারে। কিন্তু এরূপ আটক করা হলে একজন ব্যক্তির ব্যক্তিস্বাধীনতা যে কতখানি খর্ব হয় তা আটককৃত ব্যক্তি ব্যতীত অন্য কেউ সহজে বুঝতে পারে না। তাই অবস্থাদৃষ্টে বলতে হয়, সংবিধানে এরূপ বিধান থাকার কিংবা করার অর্থ হচ্ছে আইনের শাসন ও ব্যক্তি স্বাধীনতাকে জ্যান্ত কবর দেয়া। আর বাংলাদেশের মানুষ এর থেকে কবে মুক্ত হবে সচেতন মানুষের এটাই বড় জিজ্ঞাসা।

লেখক পরিচিতি : অধ্যাপক মোঃ হাছান আলী সিকদার, সভাপতি, চাঁদপুর জেলা জাসদ; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রনেতা, চাঁদপুর জেলা শিক্ষক নেতা ও রাজনীতি বিশ্লেষক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়