প্রকাশ : ০৪ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা সামলে ওঠার আগেই জানা গেলো ভয়ঙ্কর ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের সংক্রমণের দুঃসংবাদ। একই সাথে ডেঙ্গুর অসময়ের প্রকোপও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ষার বিদায়ের পর শীতের আগমনে ডেঙ্গুর প্রকোপ কমে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু না, গেল নভেম্বরের অতিবৃষ্টি ডেঙ্গুর প্রকোপকে দীর্ঘায়িত করেছে। মশার উপদ্রবও বেড়েছে অনেক। কিন্তু মশা নিধনে চাঁদপুর পৌরসভাসহ অন্যান্য পৌরসভায় উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। সম্ভবত ডেঙ্গু প্রতিরোধে ব্যক্তিগত সতর্কতাকে গুরুত্ব দিতে গিয়ে মেয়রসহ পৌর পরিষদের অন্য সকলে মশক নিধনের ব্যাপারে আগ্রহী নয়। কিন্তু নাগরিকদের মাঝে ব্যক্তিগত সচেতনতা সৃষ্টিতে পৌরসভার পক্ষ থেকে প্রচার চালানোর বিষয়টিতো এড়ানো যায় না।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে যে শারীরিক ধকল পোহাতে হয়, চিকিৎসায় যে ব্যয় হয়, ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে তারচে’ বেশি শারীরিক ধকল ও ব্যয়ের প্রশ্ন এসে যায়। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত হয়ে সেটার প্রয়োগ হওয়ায় ওমিক্রনের আগমনী বার্তার মধ্যেও জনমনে ভীতি অনেক হ্রাস পেয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গুর কোনো ভ্যাকসিন আবিষ্কৃত না হওয়ায় জনমনে ডেঙ্গু ভীতি বেড়েছে। দেশের প্রখ্যাত চিকিৎসক প্রফেসর ডাঃ এবিএম আব্দুল্লার মতে, ডেঙ্গু জ¦র প্রতিরোধের মূলমন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যাতে কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। তিনি বলেন, এডিস একটি ভদ্র মশা, অভিজাত এলাকায় বড় বড় সুন্দর দালান কোঠায় এরা বাস করে। স্বচ্ছ পরিষ্কার পানিতে এই মশা ডিম পাড়ে। ময়লা দুর্গন্ধযুক্ত ড্রেনের পানি এদের পছন্দসই নয়। তাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার ডিম পাড়ার উপযোগী স্থানগুলোকে পরিষ্কার রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে মশক নিধনের জন্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো ব্যক্তিগত সতর্কতা এবং এডিস মশা প্রতিরোধ। মনে রাখতে হবে, এডিস মশা মূলত দিনের বেলা, সকাল ও সন্ধ্যায় কামড়ায়, তবে রাতে উজ্জ্বল আলোতেও কামড়াতে পারে।
ডেঙ্গু জ¦র প্রতিরোধে ব্যক্তিগত করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে চাঁদপুর পৌরসভাসহ অন্যান্য পৌরসভাকে অতীতে ব্যাপক মাইকিং ও লিফলেট বিতরণের কর্মসূচি পালন করতে দেখা যায়। এবারো সেটা করা দরকার বলে সচেতন ও সুধী মহল মনে করেন। সাথে সাথে এডিস মশা ছাড়া অন্যান্য মশার উপদ্রব নিয়ন্ত্রণে মশক নিধন স্প্রে করা জরুরি বলে আমরা মনে করি।