মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ৩০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

এটা কেনো হলো?

এটা কেনো হলো?
অনলাইন ডেস্ক

১৯৭১ সালের ৮ ডিসেম্বর চাঁদপুর মুক্ত হয়েছে। ফরিদগঞ্জ ও মতলব সহ দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা তারও আগে মুক্ত হয়েছে কিংবা পরে হয়েছে। তবে সারাদেশ শত্রুমুক্ত হতে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লেগেছে। ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পণের পরই মূলত চূড়ান্ত বিজয়ের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম দেশটির অভ্যুদয় হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বরের অনেক পূর্বে যেসব স্থান শত্রুমুক্ত হয়েছে, সেসব স্থানে এক শ্রেণীর মুক্তিযোদ্ধা এলাকার যুবকসহ নিজেদের আত্মীয়স্বজনকে শারীরিক কসরৎ ও অস্ত্র চালনা শিখায়। যুদ্ধোত্তর গ্রামের বাগানে কিংবা নাড়া ক্ষেতে এমন ট্রেনিং পেয়ে কিছু যুবক মুক্তিযোদ্ধার সনদ বাগিয়ে নেয়। এই সনদ নিয়ে এরা সবাই প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় ঢালাওভাবে অন্তর্ভুক্ত হতে পেরেছে-এটা হলফ করে বলা যাবে না। তবে কেউ কেউ হতে পেরেছে এটা কিন্তু বলা যায়। এরা বর্তমানে মুক্তিযোদ্ধার ভাতা পাচ্ছে, তাদের সন্তান সন্তুতি ভোগ করছে রাষ্ট্র প্রদত্ত নানা সুযোগ-সুবিধা। আবার মুক্তিযুদ্ধ করেও কেউ কেউ উদাসীনতাবশত, অভিমান করে কিংবা অন্য কোনো কারণে মুক্তিযোদ্ধা সনদ গ্রহণ করেন নি এবং ভাতাসহ কোনো সুযোগ-সুবিধাই নেয়ার প্রত্যাশা করেন নি। অথচ সহযোদ্ধাসহ প্রত্যক্ষদর্শী ও এলাকাবাসী তাকে মুক্তিযোদ্ধা বলেই জানে, চিনে ও ডাকে।

এমন বাস্তবতায় গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যে, যুদ্ধের সব প্রমাণপত্র আছে তবুও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে নাম নেই হাসমত উল্যার। এতে বিস্মিত হতে হয় বৈ কি। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা হাসমত উল্যা সাউদ ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন নোয়াগাঁও গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৯৭১ সালে সিদ্ধিরগঞ্জ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকুরির সময় ভারতের মেলাঘরে প্রশিক্ষণ নিয়ে এফএফ বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত হয়ে ২নং সেক্টরে মেজর হায়দারের নেতৃত্বে যুদ্ধ করেন। এজন্যে তিনি মুক্তিবাহিনী ও সেনাবাহিনীর প্রধান মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানী এবং আঞ্চলিক অধিনায়ক (২নং সেক্টর) কর্নেল খালেদ মোশাররফের স্বাক্ষরযুক্ত দেশরক্ষা বিভাগ কর্তৃক স্বাধীনতা সংগ্রামের সনদপত্র লাভ করেন। তাঁর রয়েছে মুক্তিযুদ্ধোত্তর অস্ত্র জমাদানের রসিদ (১২৮৯)। সাপ্তাহিক মুক্তিবার্তায় মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে ছাপা হয়েছে তাঁর নাম (নং ০২০৫০৫০৬১৮)। এছাড়া তাঁর বহু সনদ ও স্বীকৃতি স্মারক রয়েছে। আশ্চর্যের বিষয় হলো, এতো কিছু থাকার পরও মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে ঠাঁই হয়নি হাসমত উল্যা সাউদের।

স্বীকৃত ও খাঁটি মুক্তিযোদ্ধা হাসমত উল্যা সাউদের জন্যে মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে স্থান না পাওয়া অনেক কষ্ট, বেদনা ও অপমানের বিষয়। নিতান্তই ভাতা প্রাপ্তি এবং উত্তর প্রজন্মের নানা সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্যেই বর্তমানে অশীতিপর হাসমত উল্যা মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে তাঁর স্থান চান না, চান ন্যায্য স্বীকৃতি ও সম্মান। আমরা মনে করি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কারো অনিচ্ছাকৃত ভুলে (!) মুক্তিযোদ্ধা গেজেটে হাসমত উল্যার নাম ছাপা হয়নি। আমরা এ ভুল সংশোধনের জন্যে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাই।

 

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়