মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২২ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

অবশেষে বাঁশি উৎসব!

অবশেষে বাঁশি উৎসব!
অনলাইন ডেস্ক

গত শুক্রবার (১৯ নভেম্বর ২০২১) বিকেল ৩টায় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে জনসমাদৃত চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেডে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাঁশি উৎসব। জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নামে দেড় যুগ বয়সী চাঁদপুরের একটি সংগঠন বাঁশি উৎসবের উদ্যোক্তা ও আয়োজক। তাদের মতে এমন উৎসব প্রথমই হয়েছে। অভিজ্ঞ ও প্রবীণদের একই মতামত বলে জানা গেছে।

আমাদের সংস্কৃতি ও ক্রীড়া ক্ষেত্রে বাঁশি বাজানো, কাবাডি খেলা, সাঁতার কাটাসহ আরো কিছু বিষয়ে চর্চা করা ব্যয়বহুল কিছু নয়। এগুলো বাঙালির সহজাত প্রবৃত্তিও বলা চলে। এগুলো নিয়ে কিছু আয়োজন করা মানে বাঙালির বাঙালিত্বকে তুলে ধরার আন্তরিক প্রয়াস চালানো। জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তাদের দেড় যুগ তথা ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে প্রথম বাঁশি উৎসবের আয়োজন করে প্রাগুক্ত আন্তরিক প্রয়াসের উজ্জল বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে বলে অনেকেরই অভিমত।

সন্নিকটে ডাকাতিয়া ও মেঘনা এবং কিছুটা দূরবর্তী স্থানে পদ্মা এসে মিলিত হওয়ায় চাঁদপুর বড় স্টেশন মোলহেড নদীকেন্দ্রিক প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের এক মোক্ষম স্থান। এমন স্থান বাংলাদেশে দ্বিতীয়টি তো নেই-ই, এমনকি বিশ্বের অন্য কোথাও বিরল। এ স্থানে পর্যটনকেন্দ্রিক উল্লেখযোগ্য আয়োজন ও স্থাপনা না থাকলেও প্রতিদিন দেশের বিভিন্ন স্থানের অসংখ্য পর্যটক ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক সমাগম ঘটে। এমন জনাকীর্ণ স্থানে জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের বাঁশি উৎসব আয়োজনের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা নিঃসন্দেহে যথার্থ হয়েছে। এজন্যে সংশ্লিষ্ট সকলে অবশ্যই ধন্যবাদার্হ।

চাঁদপুরে ২০০৯ সালে প্রথম ইলিশ উৎসব আয়োজন শুরু করে চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠন। এই উৎসবের রূপকার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক সংগঠক হারুন আল রশীদ। তিনি বিজয় মেলা, সাংস্কৃতিক উৎসবসহ বড় ধরনের আয়োজনে দীর্ঘদিন সংশ্লিষ্ট থাকায় শুরু থেকেই স্পন্সর নিয়ে ইলিশ উৎসব আয়োজনে সক্ষমতার পরিচয় দিয়ে ১৩ বছর পার করেছেন। গত পাঁচ বছর ধরে চাঁদপুর ড্রামার নেপথ্য সহযোগিতায় কৃষ্ণ গোপাল, মানিক পোদ্দার, শঙ্কর রায়সহ আরো ক’জনের উদ্যোগে চলছে মুড়ি উৎসব। এ জাতীয় উৎসবের প্রথম উদ্যোক্তা তারাই-এমন জোর দাবি তাদের। এবারও ষষ্ঠবারের মতো এই উৎসব শুরু হবে ২৭ নভেম্বর থেকে। স্থান হচ্ছে চাঁদপুর সংস্কৃতিক চর্চা কেন্দ্র। আয়োজকরা এটি এক সপ্তাহব্যাপী করার চিন্তাভাবনা করছেন। এরই মধ্যেই জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র বাঁশি উৎসবের আয়োজন করে চাঁদপুরের সংস্কৃতি অঙ্গনে নূতন কিছু সংযোজন করলো বলে আমরা মনে করি।

নদী তীরবর্তী চাঁদপুর হচ্ছে সংস্কৃতি চর্চার উর্বর ভূমি। এখানকার অধিকাংশ মানুষের হৃদয় নদীর মতোই বিশাল, তারা ভাষা সংস্কৃতিপ্রেমী। এখানে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়াই প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বহুবিধ সাংস্কৃতিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। উদ্যোগ মহৎ হলে স্থানীয়ভাবে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকরাই শুধু নয়, অন্যান্য স্থানের পৃষ্ঠপোষকরাও এসব কার্যক্রমে তাদের অকৃপণ সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন। জাগরণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নিশ্চয়ই বেসরকারি সহযোগিতা নিয়েই সম্পন্ন করেছে প্রথম বাঁশি উৎসবের। আমরা এজন্যে তাদের অভিনন্দন জানাই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়