মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

বাজারের বর্জ্য নিয়ে কে ভাববে?
অনলাইন ডেস্ক

ইউরোপ-আমেরিকাসহ উন্নত দেশগুলোতে কোনো কমিউনিটি সেন্টার/পার্টি সেন্টার, পিকনিক স্পট ইত্যাদি ভাড়া প্রদানের সময় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ভাড়া গ্রহণকারীকে বর্জ্য অপসারণে কঠোর করণীয় সংক্রান্ত শর্তগুলোকে আগাম মেনে নেয়ার অঙ্গীকার করায়। অঙ্গীকার ভঙ্গ করলে কী পরিণতি বরণ করতে হবে সেটা জানিয়ে দেয়। জার্মানীর বিখ্যাত রাইন নদীর তীরে বসে কোনো পর্যটক যদি একটি চকলেটের খোসা নির্জন অবস্থাতেও ডাস্টবিনে না ফেলে নদীর পানির দিকে ছুড়ে মারে, তাতেও সিসি ক্যামেরার পর্যবেক্ষণে পুলিশ এসে পাকড়াও করে এবং অর্থদ-ে দ-িত করে।

এভাবে উন্নত দেশগুলো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও বর্জ্য পরিশোধনে কঠোরতার মধ্য দিয়ে দেশের প্রায় সকল স্থানকে পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যাপারে সচেষ্ট। তার বিপরীতে বাংলাদেশ, নেপাল, ভারতসহ কিছু দেশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় একেবারে উদাসীন। নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর প্রধান বাজার ও গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থাপনায় বর্জ্যরে ভাগাড় ও দুর্গন্ধে পর্যটকরা নাকে হাত/রুমাল/টিস্যু ব্যবহারেও রেহাই পায় না। ভারতের কিছু কিছু স্থানেও অনুরূপ অবস্থা। আর আমাদের বাংলাদেশের অবস্থা যে তারচে’ বেশি ভালো, সেটি বলার সুযোগ নেই। আমাদের দেশের বাজারগুলোর অধিকাংশেরই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা খুবই খারাপ। পৌরসভার মধ্যে যেসব বাজারের অবস্থান, সেগুলোর বর্জ্য গাড়িযোগে অপসারিত হলেও ইউনিয়ন পর্যায়ে অবস্থিত বাজারগুলোর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত খারাপ। ফরিদগঞ্জের চান্দ্রা বাজারের বর্জ্যে ডাকাতিয়া নদীর ঘাট ব্যবহার অনুপযোগী হবার উপক্রম সংক্রান্ত খবর ক’মাস আগে ছাপা হয়েছে চাঁদপুর কণ্ঠে। ১৬ নভেম্বর ছাপা হয়েছে মতলবের নারায়ণপুর বাজারের বর্জ্যে বোয়ালজুরি খালের নৌকাঘাট ভাগাড়ে পরিণত হবার খবর। সচিত্র এ সংবাদটি পড়ে পাঠক মাত্রকেই শিহরিত হতে হয়েছে, ব্যথিত হতে হয়েছে।

চাঁদপুর শহরের প্রসিদ্ধ পালবাজারের বর্জ্যে কখনো কখনো চৌধুরী জামে মসজিদে মুসল্লিদের নামাজ আদায়ে বিঘ্ন ঘটে। পৌর ঈদগাহ ও পার্কের কোণায় নির্দিষ্ট ডাস্টবিনে পালবাজারের ব্যবসায়ীরা বর্জ্য না ফেলে সেতুর আন্ডার পাসে ফেলার কারণে এমন বিঘ্ন ঘটে। পৌরসভার গাড়ি এসে সে বর্জ্য অপসারণ করে মুসুল্লিদের নিষ্কৃতি দেয়।

কথা হলো, যে কোনো বাজারের বর্জ্য নিয়ে কে ভাববে?-সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, ইউনিয়ন পরিষদ কিংবা অন্য কোনো কর্তৃপক্ষ? আমরা এমনটি মনে করি না। বাজারের সার্বিক ব্যবস্থাপনা সহ সব কিছু নিয়ে ভাবতে হয় নির্বাচিত/মনোনীত বাজার কমিটিকেই। সেহেতু বর্জ্য নিয়ে তাদেরকেই ভাবতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে গ্রহণ করতে হবে চ্যালেঞ্জ হিসেবে। চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজিসহ প্রভাব-প্রতিপত্তি সৃষ্টি করাই বাজার কমিটির নেতৃবৃন্দের প্রকাশ্য-অপ্রকাশ্য কাজ হওয়া উচিত নয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়