মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৪ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০

আধুনিক ডাকাতদের রোখার উপায় কী?

আধুনিক ডাকাতদের রোখার উপায় কী?
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন ৮নং বাগাদী ইউনিয়ন হচ্ছে চাঁদপুর পৌরসভা সংলগ্ন একটি ইউনিয়ন। এ ইউনিয়নের পাশ দিয়ে ও মধ্য দিয়ে ডাকাতিয়া নদী যেমন বয়ে গেছে, তেমনি চাঁদপুর সেচ প্রকল্প (সিআইপি) বেড়িবাঁধও নির্মিত হয়েছে। সেজন্যে নৌ ও সড়ক যোগাযোগে এই ইউনিয়নটি অনেক সমৃদ্ধ। এ সমৃদ্ধির মাশুলও যেনো গুণতে হচ্ছে এই ইউনিয়নবাসীকে। একের পর এক লোকজন গরু ডাকাতির উদ্দেশ্যে আগত আধুনিক ডাকাতদের উপদ্রবে নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে।

সর্বশেষ গত ৭ নভেম্বর গভীর রাতে বাগাদী ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ সাখুয়া গ্রামের গাজী বাড়িতে একদল ডাকাত সাইরেন বাজিয়ে একটি পিকআপ ভ্যানযোগে আসে। সাইরেনের শব্দ শুনে অনেকেই মনে করেছেন, হয়তো অ্যাম্বুলেন্সে করে রোগী আনা হয়েছে। সেজন্যে ঘুম থেকে জেগে কেউ ঘর থেকে বের হয়ে আসেনি। এমতাবস্থায় ডাকাতরা ওই বাড়ির মিজান গাজীর গরুর খামারে হানা দেয়। প্রথমে ৩ জন মুখোশ পরা ডাকাত দড়ি এবং লুঙ্গি দিয়ে মিজান গাজীর হাত-পা বেঁধে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। তারপর তালা ভেঙ্গে খামারে থাকা ৪টি গরু ও ২টি বাছুর নিয়ে যায়, যার আনুমানিক মূল্য সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা। কিছুদিন পূর্বে বাগাদী ইউনিয়নের গাছতলা এবং পাশর্^বর্তী বালিয়া ইউনিয়নের ফরক্কাবাদেও ১১টি গরু চুরি-ডাকাতির শিকার হয়েছে।

ভুক্তভোগী মিজান গাজীর বোন হালিমা বেগম কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে গণমাধ্যমকে জানান, জীবন-জীবিকার তাগিদে আমরা ভাই-বোনরা মিলে সরকারি বিভিন্ন ব্যাংক ও সমিতি থেকে লোন নিয়ে এবং বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে অনেক কষ্ট করে একটি গরু খামার দিয়েছি। ডাকাতরা আমাদের সব ক’টি (৬টি) গরু নিয়ে আমাদেরকে শুধু নিঃস্ব করেনি, স্বপ্নও ভেঙ্গে দিয়ে গেছে। আমাদের গরুগুলো ফেরত পেতে আমরা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

ডাকাতির শিকার খামারী মিজান গাজী (৫০) সোমবার সকালে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি তার গরুগুলো ফেরত পেতে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দ্রুত হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন। আমরাও এ দাবির সাথে একাত্ম।

হাজীগঞ্জ ও কচুয়া থানার পুলিশ এবং পিবিআই সংঘবদ্ধ গরু-ডাকাতদের কয়েকজনকে ধরতে সক্ষম হয়েছে, যারা পিকআপ ভ্যান যোগেই ডাকাতি করে আসছিলো। এ দুটি থানা ও পিবিআই থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলার অনুরূপ ডাকাতদের ধরে ফেলা খুব কঠিন কাজ হবে বলে মনে হয় না। তবে আধুনিক ডাকাতদের ধরতে আধুনিক কৌশল রপ্ত করা ও প্রয়োগ করার আবশ্যকতা যে রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এই আবশ্যকতা বোধ না করলে সাধারণ মানুষের মাঝে নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতি বাড়বে বৈ কমবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়