প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২১, ০০:০০
গ্রামীণ সড়কোন্নয়ন বৈষম্যমুক্ত হোক
আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানদের মধ্যে অনেকে নানা কারণে নিজ এলাকার অবকাঠামোগত উন্নয়নমূলক কাজে বৈষম্যমূলক আচরণ করেন। এক্ষেত্রে নির্বাচনে কোন্ বাড়ির ও এলাকার লোকজন তাকে ভোট দিলো কি দিলো না এটা বিবেচনায় রাখেন। আর নিজ বাড়ি ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা তো পাকা করেনই, আর তার খয়ের খাঁ প্রকৃতির লোকজনের জন্যেও তা-ই করেন। অথচ নির্দিষ্ট কোনো বাড়িতে যাতায়াত নয়, সর্বসাধারণের যাতায়াতের জন্যে বিদ্যমান রাস্তা মেরামত, সংস্কার কিংবা পুনর্নির্মাণে এমন মানসিকতার চেয়ারম্যানরা গড়িমসি করেন, ঔদাসীন্য প্রদর্শন করেন এবং কোনো আবেদন থাকলে সেটি ধামাচাপা দেন। দেশের অনেক ইউনিয়নে এমন চেয়ারম্যানদের অস্তিত্ব রয়েছে, তন্মধ্যে চাঁদপুর জেলার কিছু চেয়ারম্যানও রয়েছে।
|আরো খবর
সোমবার চাঁদপুর কণ্ঠের শেষ পৃষ্ঠায় গ্রামীণ সড়ক সংক্রান্ত একটি সংবাদ পাঠক মাত্রেরই নজর কেড়েছে। এ সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘দুর্দশাগ্রস্ত ১ কিলোমিটার সড়ক : ৫ গ্রামের মানুষের দুর্ভোগ’। এ সংবাদে লিখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জ উপজেলাধীন পাইকপাড়া উত্তর ইউনিয়নের বেশ ক’টি সড়ক পাকা করা হলেও নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে সাইসাঙ্গা পর্যন্ত ১ কিলোমিটার সড়ক বছরের পর বছর ধরে সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেয়নি কেউ। ফলে সড়কটির বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত হওয়ায় যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। অথচ এ সড়কটি দিয়ে চলাচল করছে বেশ ক’টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ পাঁচ গ্রামের হাজার হাজার মানুষ। এ গ্রামগুলো হচ্ছে : নোয়াপাড়া, সাইসাঙ্গা, আস্টা, সুবিদপুর ও ষোলদানা।
শতবর্ষী আঃ খালেক জানান, নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে সাইসাঙ্গা পর্যন্ত সড়কটি আমরা নিজ হাতে মাটি কেটে নির্মাণ করেছি। অথচ দীর্ঘ সময়েও এ সড়কটিতে কোনো উন্নয়ন কর্মকা- সম্পাদিত হয়নি। ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বাররা এসে প্রতিশ্রুতি দিয়ে চলে যান, কিন্তু পরে প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেন না। ক’জন বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়ির সামনে এবং আশেপাশে উন্নয়ন করেছেন, কিন্তু দুর্দশাগ্রস্ত এক কিলোমিটার সড়কটির উন্নয়নের জন্যে উপর্যুপরি আবেদন-নিবেদন সত্ত্বেও কিছু করেননি।
আমরা ফরিদগঞ্জের পাকইপাড়া উত্তর ইউনিয়নের নোয়াপাড়া দাখিল মাদ্রাসা থেকে সাইসাঙ্গা পর্যন্ত দুর্দশাগ্রস্ত কাঁচা সড়কটি পাকা করার জন্যে মাননীয় এমপি, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউএনওসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকলের প্রতি আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এতে ইউপি চেয়ারম্যান বৈষম্যপূর্ণ আচরণের অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পাবেন, সর্বোপরি পাঁচটি গ্রামের অধিবাসীরা দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ থেকে রেহাই পাবেন।