প্রকাশ : ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০০:০০
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ধারাবাহিক তৎপরতা চাই
আমরা প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুমাস মেঘনা-পদ্মায় অভয়াশ্রম চলাকালে এবং অক্টোবর-নভেম্বরে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম চলাকালে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সাথে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের কম-বেশি তৎপরতা লক্ষ্য করি। এছাড়া পৃথকভাবেও এ দুটি বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায়। এর বাইরে বছরের অন্যান্য সময় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ দুটি বাহিনীর তৎপরতা খুব একটা লক্ষ্যণীয় ছিলো না। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোস্টগার্ড নদী তীরবর্তী পুরাণবাজারসহ অন্যান্য বাজারে শুধু নয়, দূরবর্তী হাজীগঞ্জ বাজারেও অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ আটক করে ধ্বংসের ব্যবস্থা করেছে। ভালো সোর্সের মাধ্যমে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা এমন অভিযান চালিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে।
|আরো খবর
সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশে পুলিশ সুপার হিসেবে মোঃ কামরুজ্জামানের যোগদানের পর এখানকার নৌথানা ও নৌ ফাঁড়িগুলোর তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। নৌপুলিশ মেঘনা, পদ্মা, ডাকাতিয়াসহ বিভিন্ন জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পূর্বের চেয়ে বেশি তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার কারেন্ট জাল, চায়না চাঁই উদ্ধার করে ধ্বংস করে ফেলছে। এর ফলে জনমনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রোববার চাঁদপুর কণ্ঠে নৌপুলিশের দুটি আভিযানিক সাফল্যের খবর ছাপা হয়েছে। একটির শিরোনাম হয়েছে ‘কোটি টাকার কারেন্টজালসহ যাত্রীবাহী ট্রলার জব্দ’ এবং আরেকটির শিরোনাম হয়েছে ‘মেঘনায় মালবাহী ট্রলার থেকে ৪ বস্তা চায়না চাঁই জব্দ’। প্রথমটিতে লিখা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করে। জব্দকৃত জালের মূল্য এক কোটি পনর লক্ষ টাকা। আটককৃত জালগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। দ্বিতীয় সংবাটিতে লিখা হয়েছে, নৌ পুলিশ মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ‘আল্লাহর দান’ নামক একটি ট্রলার থেকে চার বস্তা অবৈধ চায়না চাঁই জাল জব্দ করেছে। শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নদীতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঁই জালগুলো আটকে সক্ষম হন। নৌপুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মালবাহী ‘আল্লাহর দান’ নামক ট্রলারযোগে অন্যান্য মালামালের সাথে চায়না চাঁইগুলো বরিশালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নৌ পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অবৈধ চায়না চাঁইগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আমরা মনে করি, মেঘনা-পদ্মা-ডাকাতিয়াসহ বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দু মাসের অভয়াশ্রম ও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় তৎপরতার বাইরে সারা বছরই অবৈধ কারেন্ট জাল, চায়না চাঁইসহ সকল ধরনের ক্ষতিকর মাছ ধরার উপকরণের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিক তৎপরতা থাকতে হবে। এতে অসাধু ও মৌসুমী জেলেরা ভয় পাবে ও শায়েস্তা হবে। অন্যথায় এরা বেপরোয়া কার্যক্রম চালিয়ে মৎস্য সম্পদের বারোটা বাজাবে। আবদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছের চেয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছের স্বাদ বেশি। এ মাছ রক্ষায় সরকারের পক্ষে কঠোর অবস্থানে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের পাশাপাশি মৎস্য বিভাগকেও থাকতে হবে। এ জন্যে এ বিভাগকে ঢাল ও তলোয়ার বিশিষ্ট নিধিরাম সর্দার অর্থাৎ জনবল ও প্রয়োজনীয় উপকরণে পুষ্ট তথা শক্তিশালী করতে হবে।
মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ধারাবাহিক তৎপরতা চাই
আমরা প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিল দুমাস মেঘনা-পদ্মায় অভয়াশ্রম চলাকালে এবং অক্টোবর-নভেম্বরে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রম চলাকালে জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সাথে কোস্টগার্ড ও নৌপুলিশের কম-বেশি তৎপরতা লক্ষ্য করি। এছাড়া পৃথকভাবেও এ দুটি বাহিনীর তৎপরতা দেখা যায়। এর বাইরে বছরের অন্যান্য সময় মৎস্য সম্পদ রক্ষায় এ দুটি বাহিনীর তৎপরতা খুব একটা লক্ষ্যণীয় ছিলো না। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সে তৎপরতাও লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কোস্টগার্ড নদী তীরবর্তী পুরাণবাজারসহ অন্যান্য বাজারে শুধু নয়, দূরবর্তী হাজীগঞ্জ বাজারেও অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জালসহ মাছ ধরার ক্ষতিকর বিভিন্ন উপকরণ আটক করে ধ্বংসের ব্যবস্থা করেছে। ভালো সোর্সের মাধ্যমে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তারা এমন অভিযান চালিয়ে সাফল্য অর্জন করেছে।
সাম্প্রতিক সময়ে, বিশেষ করে চাঁদপুর অঞ্চলের নৌপুলিশে পুলিশ সুপার হিসেবে মোঃ কামরুজ্জামানের যোগদানের পর এখানকার নৌথানা ও নৌ ফাঁড়িগুলোর তৎপরতা অনেক বেড়ে গেছে। নৌপুলিশ মেঘনা, পদ্মা, ডাকাতিয়াসহ বিভিন্ন জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় পূর্বের চেয়ে বেশি তৎপরতা চালাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। কোটি কোটি টাকার কারেন্ট জাল, চায়না চাঁই উদ্ধার করে ধ্বংস করে ফেলছে। এর ফলে জনমনে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রোববার চাঁদপুর কণ্ঠে নৌপুলিশের দুটি আভিযানিক সাফল্যের খবর ছাপা হয়েছে। একটির শিরোনাম হয়েছে ‘কোটি টাকার কারেন্টজালসহ যাত্রীবাহী ট্রলার জব্দ’ এবং আরেকটির শিরোনাম হয়েছে ‘মেঘনায় মালবাহী ট্রলার থেকে ৪ বস্তা চায়না চাঁই জব্দ’। প্রথমটিতে লিখা হয়েছে, গত ১৮ সেপ্টেম্বর শনিবার সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত চাঁদপুর নৌ-থানার পুলিশ পরিদর্শক মোঃ মুজাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশ সদস্যরা মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে সাড়ে ৬ লক্ষ মিটার কারেন্ট জাল পরিত্যক্ত অবস্থায় জব্দ করে। জব্দকৃত জালের মূল্য এক কোটি পনর লক্ষ টাকা। আটককৃত জালগুলো জনসম্মুখে পুড়িয়ে ফেলা হয়। দ্বিতীয় সংবাটিতে লিখা হয়েছে, নৌ পুলিশ মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে ‘আল্লাহর দান’ নামক একটি ট্রলার থেকে চার বস্তা অবৈধ চায়না চাঁই জাল জব্দ করেছে। শনিবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নরসিংহপুর নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জহিরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে নদীতে অভিযান পরিচালনা করে উক্ত চাঁই জালগুলো আটকে সক্ষম হন। নৌপুলিশ জানায়, ঢাকা থেকে মালবাহী ‘আল্লাহর দান’ নামক ট্রলারযোগে অন্যান্য মালামালের সাথে চায়না চাঁইগুলো বরিশালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। নৌ পুলিশ সুপারের নির্দেশে ও মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে অবৈধ চায়না চাঁইগুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।
আমরা মনে করি, মেঘনা-পদ্মা-ডাকাতিয়াসহ বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় দু মাসের অভয়াশ্রম ও মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমে সংশ্লিষ্ট সকলের সক্রিয় তৎপরতার বাইরে সারা বছরই অবৈধ কারেন্ট জাল, চায়না চাঁইসহ সকল ধরনের ক্ষতিকর মাছ ধরার উপকরণের বিরুদ্ধেও ধারাবাহিক তৎপরতা থাকতে হবে। এতে অসাধু ও মৌসুমী জেলেরা ভয় পাবে ও শায়েস্তা হবে। অন্যথায় এরা বেপরোয়া কার্যক্রম চালিয়ে মৎস্য সম্পদের বারোটা বাজাবে। আবদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছের চেয়ে উন্মুক্ত জলাশয়ের মাছের স্বাদ বেশি। এ মাছ রক্ষায় সরকারের পক্ষে কঠোর অবস্থানে নৌপুলিশ ও কোস্টগার্ডের পাশাপাশি মৎস্য বিভাগকেও থাকতে হবে। এ জন্যে এ বিভাগকে ঢাল ও তলোয়ার বিশিষ্ট নিধিরাম সর্দার অর্থাৎ জনবল ও প্রয়োজনীয় উপকরণে পুষ্ট তথা শক্তিশালী করতে হবে।