মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   মিশরে ঈদে মিলাদুন্নবীর ঐতিহ্য ‘আরুসাত-আল-মোলিদ’ : জন্মদিনের পুতুল
  •   'বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চেতনার রাজনৈতিক শক্তির বিকাশ অপরিহার্য'
  •   চাঁদপুরের ২৪তম পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব
  •   ফরিদগঞ্জে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে শোভাযাত্রা
  •   ওয়াইফাই সংযোগ দিতে গিয়ে প্রাণ গেল যুবকের

প্রকাশ : ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০

ত্রাণ দিতে এসেও হামলার শিকার!

অনলাইন ডেস্ক
ত্রাণ দিতে এসেও হামলার শিকার!

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জে ত্রাণ দিতে আসায় এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হামলা-ভাংচুরসহ ককটেল হামলার ঘটনা ঘটেছে। গত শনিবার (৩১ আগস্ট) রাতে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী বেগমগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে শুক্রবার (৩০ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের জাহানাবাদ মৃধা বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মো. দাউদ উল্যাহ হিল মজিদ (৪৫) বলেন, আমি ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। এলাকার বন্যা দুর্গত মানুষের অনুরোধে ত্রাণ দিতে গত ২৮ আগস্ট রাতে গ্রামের বাড়িতে আসি। এরপর গত ২৯ ও ৩০ আগস্ট উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের জাহানাবাদ, নানুপুর, তৈয়বপুর, জায়েদপুর, রফিকপুর গ্রামের ৬ শতাধিক পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করি। এতে ছয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিনের যোগসাজশে একই এলাকার সাদ্দাম হোসেন, সাবেক মেম্বার আবু তালেব, রাকিব, বোমা মানিক, কামাল হোসেনের নেতৃত্বে আমার বসসঘরে হামলা চালানো হয়। ওই সময় হামলাকারীরা বসতঘরে ব্যাপক ভাংচুর চালায়। ভাংচুর শেষে যাওয়ার পথে বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বানভাসি মানুষের জন্যে এলাকায় মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করি। কিন্তু অস্ত্রধারীদের হুমকিতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প স্থগিত করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ছয়ানী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জামাল উদ্দিন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, হামলাকারীরা আমার অনুসারী নয়। তাদের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। দাউদের ভাই সাবেক ইউপি সদস্য এগুলো নিয়ে একটু সমস্যা করেছে। বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অনুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নোয়াখালীতে ছাত্ররা ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এসে হামলা ও লুটপাটের শিকার হবার পর এবার এক ব্যবসায়ী হলেন হামলা ও ভাংচুরের শিকার। তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে এ ব্যাপারে থানায় যে অভিযোগ করেছেন, সেটা যদি প্রাথমিকভাবে সত্য বলে অনুমিত হয়, তাহলে তার বিরুদ্ধে বিএনপির ঊর্ধ্বতন মহল থেকে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিয়ে সেটি গণমাধ্যমে তুলে ধরে অন্যান্য এলাকার বিপথগামী নেতা-কর্মীদের সতর্ক করা হোক। আর পুলিশি তদন্তে যদি হামলা ও ভাংচুরের বিষয়টি প্রমাণিত হয়, তাহলে দ্রুত ওই বিএনপি নেতাসহ হামলাকারীদের গ্রেফতারের ব্যবস্থা করে বিচারের সম্মুখীন করা হোক।

উদ্বেগের বিষয় হলো, পুলিশ আগের ন্যায় পুরোপুরি তাদের সার্ভিসে অ্যাকটিভ হয় নি। দৃশ্যমান কারণ এবং অদৃশ্য জড়তা থেকে তারা বেরিয়ে এসে সাবলীল হতে পারছে না। এজন্যে সুযোগসন্ধানী কিছু লোক শত্রুতা উদ্ধার, প্রতিশোধ গ্রহণ এবং ব্যক্তিগত আক্রোশ ও ঈর্ষা বশত যাচ্ছেতাই করে চলছে। এটা শান্তিপ্রিয় ও স্থিতিশীলতা প্রত্যাশী মানুষের জন্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বুধবার থেকে সেনাবাহিনী সহ অন্যান্য বাহিনীর যৌথ অভিযানে পরিস্থিতির উন্নতি হয় কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়