প্রকাশ : ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
বাস্কেটবলে চাঁদপুরের মেয়েদের সুখ্যাতি ও স্বীকৃতি
সুষ্ঠুভাবে পাঠদানের পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের যদি তাদের নানামুখী প্রতিভা বিকাশে ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে প্রণোদনা দেয়া যায়, নিয়মিত ও গুরুত্বের সাথে চর্চা করা হয়, তাহলে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচিতি, সুনামণ্ডসুখ্যাতি কোন্ পর্যায়ে চলে যায়, তার অনন্য নজির স্থাপন করেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী গ্রামে অবস্থিত বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমি। এই একাডেমির তিন শিক্ষার্থী বাস্কেটবল প্রশিক্ষণে আমেরিকা যাচ্ছে বলে শুক্রবার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় বক্স আইটেমে শীর্ষ সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবাদটি পাঠকমাত্রেরই মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। এটা ওই প্রতিষ্ঠানের জন্যেই শুধু নয়, পুরো চাঁদপুর জেলার জন্যেই আনন্দ ও গৌরব বয়ে এনেছে বলে মনে হচ্ছে।
সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, বাস্কেটবল স্পোর্টস্ ভিজিটর প্রোগ্রাম-২০২৪-এর আওতায় দেশি বলার্স-এর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ হতে ৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী বাস্কেটবল খেলার উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণের জন্যে আমেরিকা (ইউএসএ) যাওয়ার জন্যে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এই ৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩ জনই চাঁদপুর জেলার স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা হচ্ছেন : একাদশ শ্রেণির সুমাইয়া আক্তার, এসএসসি ব্যাচণ্ড২০২৪-এর ইতি আক্তার এবং নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী ফারহানা আক্তার। সম্প্রতি তাদের ইউএস অ্যাম্বাসির ভিসা কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। উল্লেখ্য, বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমি পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক কার্যক্রমে উপজেলা, জেলা, কুমিল্লা উপ-অঞ্চল, সিলেট ও চট্টগ্রাম অঞ্চলে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আসছে।
বাংলাদেশের ফুটবলে আজ নারী ফুটবলারদের যে জয়জয়কার, সে সকল ফুটবলার দেশের অনেক প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে উঠে এসেছে। এক্ষেত্রে ময়মনসিংহের কলসিন্দুর গ্রামসহ দেশের আরো কিছু প্রত্যন্ত গ্রামের কথা তো বলতেই হয়। তেমনি বাস্কেটবলের কারণে চাঁদপুরের মৈশাদী গ্রামের নামও একদিন দেশব্যাপী ব্যাপক উচ্চারিত হবে। কারণ, চাঁদপুর শহরের উপকণ্ঠে অবস্থিত এই গ্রামে মুক্তিযুদ্ধকালীন আত্মঘাতী নৌকমান্ডো বীর মুক্তিযোদ্ধা মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী বীর প্রতীক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একাডেমির শিক্ষারীরা বাস্কেটবলে ইতোমধ্যে অর্জিত দক্ষতা ও সুনামের আলোকে আমেরিকার মতো দেশে প্রশিক্ষণের সুযোগ পেয়ে সাড়া জাগানো প্রাথমিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে। তারা উন্নত ও আধুনিক প্রশিক্ষণ পেয়ে দেশে ফিরে এসে যদি বাস্কেটবলে একের পর এক অসাধারণ নৈপুণ্য প্রদর্শন করতে থাকে, তাহলে আরো অর্জন ও স্বীকৃতি তাদের জন্যে অপেক্ষা করবে। আমরা বীর প্রতীক মমিন উল্লাহ পাটোয়ারী একাডেমির উপরোল্লিখিত তিন নারী বাস্কেটবল খেলোয়াড়ের জন্যে নিরন্তর শুভ কামনা করছি।