প্রকাশ : ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০
শহরের প্রধান বাজারে যখন দুর্ধর্ষ চুরি-

‘পালবাজারের মেসার্স খান ট্রেডার্সে চুরি’ শিরোনামে গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে একটি সংবাদ পড়ে নিশ্চয় চাঁদপুর শহরবাসী উদ্বিগ্ন না হয়ে পারেনি। সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর শহরের প্রধান কাঁচাবাজার পালবাজারের সবচেয়ে বড় মুদি দোকান হাজী মোঃ ছালামত খানের মেসার্স খান ট্রেডার্সে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। গভীর রাতে চোর দোকানের পেছনে টিনের চালা কেটে দোকানে ঢুকে। দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ও সিন্দুক থেকে নগদ প্রায় ৭ লাখ টাকা চুরি করে নিয়ে যায়। ১৬ এপ্রিল মঙ্গলবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে এই চুরির ঘটনা ঘটে। দোকানে থাকা সিসি ক্যামেরায় চুরির ঘটনা রেকর্ড রয়েছে। তাতে দেখা যায়, একজন মুখোশপরা লোক দোকানের টিনের চালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। দোকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে ও সিন্দুক খুলে নগদ টাকা নিয়ে যায় চোর।
ভুক্তভোগী দোকানী সোহেল খান জানান, বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় তিনি দোকান খুলে ক্যাশ বাক্স ভাঙ্গা এবং সিন্দুক খোলা দেখতে পান। এরপর পেছনে গিয়ে দেখেন উপরের চালার একটি টিন কাটা। এখান দিয়ে চোর দোকানে ঢুকেছে এবং ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে সেখান থেকে সিন্দুকের চাবি নিয়ে সিন্ধুকও খোলে। সেখানে মালামাল বিক্রির টাকা ছিল প্রায় ৭ লাখ টাকার মতো। সব টাকা নিয়ে যায় চোর। সোহেল বলেন, দোকানের অন্য কোনো জিনিসপত্র চোর নেয়নি। শুধু টাকাগুলো নিয়ে গেছে। স্থানীয়রা জানায়, বাজারে ৩ জন নৈশপ্রহরী ডিউটিরত ছিলো। তাদের চোখ ফাঁকি দিয়ে চুরির ঘটনায় তারা হতবাক। এ ঘটনা থানা পুলিশ ও বাজার কমিটির লোকজনকে অবগত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সোহেল খান। এ ব্যাপারে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলম জানান, চুরির ঘটনা জানার পর আমাদের পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে এবং তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নিজস্ব নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সিসি ক্যামেরা, বাজারে নৈশপ্রহরী এবং বাজারের বাইরে কমিউনিটি পুলিশিং কার্যক্রম থাকার পরও চাঁদপুর শহরের প্রধান বাজার পালবাজারে টিনের চাল কেটে কোনো দোকানে চুরি নিশ্চয়ই উদ্বেগজনক। কিছুদিন আগেও বাজার সম্মুখস্থ শহরের প্রধান সড়কের পার্শ্ববর্তী এক ফার্মেসিতে সিসি ক্যামেরা ও কমিউনিটি পুলিশিংয়ের টহল সত্ত্বেও তালা ভেঙ্গে দুর্ধর্ষ চুরি হয়েছে। ক’বছর আগে কালীবাড়ি মোড়ে টিনের চালা কেটে ও তালা ভেঙ্গে একই কায়দায় একের পর এক ফার্মেসি এবং মোবাইলের দোকানে চুরি হয়েছে। পরবর্তীতে পুলিশের নিবিড় তদন্তে সেসব চোরের ক'জনকে শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হয়েছে। পাল বাজার ও সংলগ্ন এলাকার সাম্প্রতিক চুরির ব্যাপারেও পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ, পর্যবেক্ষণ ও তদন্ত বাঞ্ছনীয়।