রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৫ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২০ মার্চ ২০২৪, ০০:০০

তাহলে সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেমন?

অনলাইন ডেস্ক
তাহলে সেখানে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেমন?

চাঁদপুর জেলাকে দেশের অন্যতম শান্তিপূর্ণ জনপদ হিসেবে আখ্যায়িত করতে এবং স্বাচ্ছন্দ্যে কাজ করার মোক্ষম কর্মস্থল হিসেবে ভাবতে প্রশাসনিক কর্মকর্তারা স্বস্তি প্রকাশ করেন। কিন্তু সেই চাঁদপুরের চিহ্নিত ৩-৪টি উপজেলায় মাঝেমধ্যে রাজনৈতিক নেতা-কর্মীকেন্দ্রিক এমন কিছু অঘটন ঘটে, যাতে চাঁদপুরকে শান্তিপূর্ণ জনপদের তকমাদানকারীরা বিব্রতবোধ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন ঘটনা একটি উপজেলায় বারবার ঘটলেও যে উপজেলাটি ছিলো এমন ঘটনামুক্ত, সেই মতলব দক্ষিণে ঘটলো তেমন ঘটনা। মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ওপর ঘটেছে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা।

চাঁদপুর কণ্ঠের ব্যুরো ইনচার্জ রেদওয়ান আহমেদ জাকির এই ঘটনা সম্পর্কে লিখেছেন, মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিএইচএম কবির আহমেদের ওপর সন্ত্রাসীরা অতর্কিতভাবে হামলা করেছে। এ হামলায় তিনি গুরুতর আহত হন। ১৮ মার্চ বেলা আনুমানিক সকাল সাড়ে ১০টায় কলাদীস্থ ঘোষপাড়ার বাসা থেকে উপজেলা পরিষদের যাওয়ার পথে ঘোষপাড়া নামক স্থানে ১০/১২ জন অজ্ঞাতনামা স্কুল ড্রেস পরিহিত কিশোর/যুবক (সন্ত্রাসী) উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতরভাবে বাম হাত ও হাঁটুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে তাকে মতলব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মহিবুল্লাহ সৌরভের নেতৃত্বে একটি চিকিৎসক দল তাকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করেন। আহত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিএইচএম কবির আহমেদ জানান, আমি বাসা থেকে অফিসে যাওয়ার পথে ১০/১২ জন সন্ত্রাসী আমার ওপর অতর্কিতভাবে হামলা চালায়। আমি জীবন রক্ষার জন্যে ডাক-চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন দৌড়ে আসে এবং তখন তারা পালিয়ে যায়। তবে কাউকে চিনতে পারিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং দেখতে যান সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি)। ওসি রিপন বালা জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত চলমান। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে খবর পেয়ে আহত উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানকে দেখতে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা, মতলব পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন লিটন, উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ ও দলীয় নেতৃবৃন্দ। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।

একটি উপজেলার সর্বোচ্চ নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হচ্ছেন জাতীয় সংসদ সদস্য কিংবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান। এঁরা যদি নিরাপত্তাহীনতা তথা নিরাপত্তা-ঝুঁকিতে থাকেন, তাহলে অন্যদের নিরাপত্তা বিশেষ করে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা কেমন সেটা নিয়ে প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক। মতলব দক্ষিণে বিএইচ কবির আহমেদের মতো শাসকদলীয় অন্যতম শীর্ষ নেতা এবং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের মতো জনপ্রতিনিধি দিনেদুপুরে আক্রান্ত হওয়াটা অনেক বেশি উদ্বেগের। তদন্ত করে পুলিশ যদি এর কারণ ও সন্ত্রাসীদের চিহ্নিত করতে না পারে, তাহলে সন্ত্রাসীদের হাত লম্বা হবার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হবে। আর এই লম্বা হাত যদি দুর্দমনীয়ই হয়ে যায়, তাহলে মতলব দক্ষিণ দুর্ভাগ্যজনকভাবে সন্ত্রাসের জনপদ হিসেবে একদিন অভিহিত হলে অবাক হবার কিছুই থাকবে না।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়