প্রকাশ : ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০
মেজর (অবঃ) রফিকের নির্মোহ সময়োপযোগী পদক্ষেপ

সড়কে চাঁদাবাজি হয় না এমন এলাকা দেশে বিরল। তবে মাত্রা কম/বেশি আছে। চাঁদপুর জেলার মধ্যে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায় এই চাঁদাবাজির মাত্রা বা পরিমাণ অনেক বেশি বলে দীর্ঘদিন বিভিন্ন মহল থেকে উচ্চারিত হচ্ছিল। কিন্তু অর্থপূর্ণ, রহস্যজনকসহ নানা কারণে এই বিষয়টি কেউ আমলে নিচ্ছিল না, নীরবতাই যেন সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছিল। অবশেষে হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার এমপি মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম সরব হলেন, সোচ্চার হলেন। তাতে নড়েচড়ে বসলো স্থানীয় প্রশাসন, সক্রিয় হলো পুলিশ। তবে এই চাঁদাবাজি পুরোপুরি বন্ধ হয়নি, সেজন্যে চাঁদপুর কণ্ঠে গত বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হয়েছে সংবাদ।
সংবাদটিতে চাঁদপুর কণ্ঠের হাজীগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জ কামরুজ্জামান টুটুল লিখেছেন, গত দুদিন হাজীগঞ্জ থানা পুলিশের অভিযানে চাঁদাবাজির অভিযোগে ৪ জনকে আটক করেছে পুলিশ। চাঁদপুর-৫ (হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি) নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নির্দেশনার আলোকে হাজীগঞ্জে বিভিন্ন সিএনজি স্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। পুলিশের অভিযানের মধ্যেও বাকিলা, বলাখাল, দেবপুর, পালিশারা, রামপুর, কাশিমপুর ও রামপুরে চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। গত বুধবার আটককৃতদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত তাদের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ। তারা হলো : সুমন, টিটু, মোস্তফা ও সুজন। আটককৃতরা সবাই হাজীগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরে হাজীগঞ্জ বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সিএনজি স্ট্যান্ডে নামে-বেনামে ড্রাইভারদের কাছ থেকে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করে বছরে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশনা দেন সংসদ সদস্য মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তম। তিনি গত ১ ফেব্রুয়ারি পৃথকভাবে হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তিতে অনুষ্ঠিত উপজেলা উন্নয়ন পরিকল্পনা সভায় চাঁদা আদায়কারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশনা দেন তিনি। ওই নির্দেশনার আলোকে হাজীগঞ্জে অভিযান পরিচালনা করে হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ এবং এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রশিদ জানান, আমাদের এ অভিযান চলমান থাকবে।
আমরা সড়কে চাঁদাবাজি বিশেষ করে সিএনজি অটোরিকশা থেকে চাঁদাবাজি বন্ধে মেজর (অবঃ) রফিকুল ইসলাম বীর উত্তমের নির্দেশনাকে নির্মোহ, সময়োপযোগী, কার্যকর ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ হিসেবে আখ্যায়িত করতে চাই। সাথে সাথে তাঁকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। তিক্ত হলেও সত্য যে, আমাদের নির্বাচিত কিছু জনপ্রতিনিধি, প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ, প্রশাসনে ঘাপটি মেরে থাকা শোষক শ্রেণীর কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে, যোগসাজশে সড়কে চাঁদাবাজি যে কোনো এলাকার জন্যে একটি ওপেন সিক্রেট বিষয়। এটি বন্ধে বা নিয়ন্ত্রণে নীরবতা অবলম্বনটা যে উদ্দেশ্যমূলক সেটা বলার প্রয়োজন পড়ে না। মেজর (অবঃ) রফিক সেই নীরবতা ভাঙ্গার ক্ষেত্রে পথিকৃতের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। আমরা সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধে সবসময় তাঁর অনড় অবস্থান প্রত্যাশা করছি।