প্রকাশ : ০৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০

চাঁদপুর জেলার ফরিদগঞ্জ উপজেলা একটি আত্মহত্যাপ্রবণ এলাকা। এখানে প্রায়শই স্বামীর সাথে অভিমান করে প্রবাসীর স্ত্রী, প্রেমে ব্যর্থ নর/নারী, স্ত্রীর সাথে অভিমান করে স্বামী, বাবা-মার সাথে অভিমানা করে ছেলে/মেয়ের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। কিন্তু কোনো শিশুর আত্মহত্যার খবর সাধারণত পাওয়া যায় না। অবশেষে সে খবরও পাওয়া গেলো। খবরটি গতকাল ছাপা হয়েছে চাঁদপুর কণ্ঠে।
‘ফরিদগঞ্জে ১২বছর বয়সী মাদ্রাসা ছাত্রীর আত্মহত্যা’ শিরোনামের খবরটিতে লিখা হয়েছে, ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ সানজিদা আক্তার তিশা (১২) নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে। তিশা ফরিদগঞ্জ পৌর এলাকার চরবসন্ত গ্রামের জাকির হোসেনের মেয়ে এবং স্থানীয় গাজীপুর আহমদিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে পরিবারের সদস্যদের অগোচরে বসতঘরে আত্মহত্যা করে সে। সংবাদ পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ রাতেই মরদেহ উদ্ধার করে শুক্রবার সকালে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। ফরিদগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) প্রদীপ মণ্ডল বলেন, সংবাদ পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ফরিদগঞ্জে তিশা নামের ১২ বছর বয়সী শিশু মাদ্রাসা ছাত্রীটির আত্মহত্যার ঘটনাটি উদ্বেগজনকই বটে। নিতান্তই অপমৃত্যুর মামলা ও ময়না তদন্তের মধ্য দিয়ে এই আত্মহত্যার ঘটনাটি যদি কারণ উদ্ঘাটন ছাড়া অন্যান্য আত্মহত্যার ঘটনার মতো ধামাচাপা পড়ে যায়, তাহলে সেটি হবে অনুচিত। কারণ, তিশার মতো শিশুর আত্মহত্যার রহস্য যদি জানা না যায়, তাহলে শিশুদের আত্মহত্যা রোধে ন্যূনতম কিছু করার তাগিদ বা প্রয়োজনীয়তা অপূরণ থেকে যাবে।
তিশা আত্মহত্যায় প্ররোচিত হলো, না আত্মহত্যাতে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবনায় নিজেকে সমর্পণ করলো, তার আত্মহত্যার জন্যে দায়ী কে ইত্যাদি বিষয় জানা অতীব জরুরি। অন্যথায় ফরিদগঞ্জের অন্য শিশুদের মাঝে আত্মহত্যার প্রবণতা সঞ্চারিত হবার ঝুঁকি থেকে যাবে। এক্ষেত্রে পুলিশের পাশাপাশি পিআইবি বা অন্য কোনো সংস্থার ছায়া তদন্ত করা যায় কিনা সেটা ভেবে দেখতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ জানাচ্ছি।