রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০

দুঃসাহসই বটে!
অনলাইন ডেস্ক

‘জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সরকারি জলাশয় অবৈধভাবে দখলের প্রক্রিয়া’। এটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত একটি সংবাদ শিরোনাম। সংবাদটি পড়লে যে কোনো পাঠকই দখলকারীদের উদ্দেশ্যে অবলীলায় বলে ফেলেন, দুঃসাহসই বটে।

সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক সংলগ্ন সরকারি জলাশয় অবৈধভাবে দখলের প্রক্রিয়া চলছে। এ নিয়ে জলাশয়ের মালিক চাঁদপুর সড়ক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বাধা দিলেও দখলকারীরা সেই বাধা উপেক্ষা করে সেখানে অবৈধ স্থাপনার নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। স্থানীয়রা জানায়, গত ক’দিন ধরে চাঁদপুর শহরের ষোলঘর এলাকায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে চাঁদপুর-কুমিল্লা সড়ক লাগোয়া সড়ক ও জনপথ বিভাগের সরকারি জলাশয়ের উপর বাঁশ গেঁড়ে অবৈধভাবে সেখানে স্থাপনা নির্মাণের কাজ শুরু করে স্থানীয় কিছু লোক। বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণে বাধা প্রদান করেন। কিন্তু তারা বাধা মানেনি। বরং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে।

খোদ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সরকারি জলাশয়ে এভাবে প্রকাশ্যে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ তথা সরকারি সম্পত্তি জোরপূর্বক দখল হওয়ার ঘটনায় সচেতন মহল বিস্ময় প্রকাশ করেছে। অবিলম্বে এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের দাবি জানিয়েছেন তারা। এ ব্যাপারে চাঁদপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিকভাবে বাধা দেয়ার পরও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ অব্যাহত থাকায় এ বিষয়ে তারা আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে যাচ্ছেন। একই সাথে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে উদ্যোগ নিবেন তারা।

আমাদের দেশে অবৈধভাবে জলাশয় সহ যে কোনো সরকারি জায়গা দখলে দখলদাররা যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে, চাঁদপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয় সম্মুখে একই প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সড়ক ও জনপথ বিভাগ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া বাধা দিয়েছে, যাকে পাত্তা না দিয়ে দখলদাররা তাদের দখলদারিত্ব জোরদার করে কার্যত বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করেছে। এটা আইন অমান্যতার ক্ষেত্রে অনেক বেশি দুঃসাহস বলে বিবেচিত হয়েছে, যেহেতু দখলের উপজীব্য জায়গাটির অবস্থান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ চাঁদপুরের সকল বিচারালয়ের সম্মুখে। এমন দখলদারিত্বকে কেউ কোনোভাবে প্রশ্রয় দিক, সেটা কোনো সচেতন মানুষই প্রত্যাশা করে না। আমরা বিশ্বাস রাখি, উপরোল্লিখিত জায়গাটি থেকে দখলদারদের উচ্ছেদে আইনি প্রক্রিয়া গ্রহণের ক্ষেত্রে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে জেলা প্রশাসক তথা জেলা প্রশাসন ও বিচার বিভাগ সম্ভাব্য সকল সহযোগিতা করবে। এই আইনি প্রক্রিয়া যাতে কোনো ধরনের দীর্ঘসূত্রিতায় আক্রান্ত না হয়, সেটিই সচেতন মহলের জোর চাওয়া। এই চাওয়া পূরণ হোক--আমরা সে প্রত্যাশা করি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়