প্রকাশ : ১৯ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে চাঁদপুর জেলার ৯নং বালিয়া ইউনিয়নের কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (সপ্রাবি)। মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম এম. এ. আজিজ স্টেডিয়ামে এই বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। ফাইনালে অংশ নেয় কুমিল্লা জেলার বরুড়া উপজেলার ঝলম সপ্রাবি ও চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নের কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সপ্রাবি। ফাইনালে চাঁদপুর দলের নুরনবী সাকিবের হ্যাটট্রিকে ঝলম সপ্রাবিকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নেয়। খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণ করেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার মোঃ তোফায়েল ইসলাম।
২০১৪ সালে প্রতিষ্ঠিত কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার মাত্র নয় বছরের মাথায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জাতীয় গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে চট্টগ্রাম বিভাগীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। গত জুলাই মাসে ইউনিয়ন পর্যায়ে শুরু হয় এই টুর্নামেন্ট। বালিয়া ইউনিয়নের ১১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে বিদ্যালয়টি চ্যাম্পয়ন হয়। তারপর সদর উপজেলার ১৬টি দলের মধ্যে চ্যাম্পিয়ন হয়ে অংশ নেয় জেলা পর্যায়ে। জেলার ৮টি উপজেলার মধ্যেও হয় চ্যাম্পিয়ন। তারপর যায় বিভাগীয় পর্যায়ে এবং ১১টি জেলার মধ্যে দাপুটে জয়ে হয় চ্যাম্পিয়ন। এখন অপেক্ষা জাতীয় পর্যায়ে খেলার।
জানা যায়, প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মধ্যে যারা ভালো ফুটবলার, স্থানীয়ভাবে যারা দক্ষ ফুটবলার, তারাই কুমুরুয়া সূর্য রায় নন্দী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ভালো প্রশিক্ষণ দেন। এই প্রশিক্ষণে শিক্ষার্থীরা ২০১৯ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্টে জেলা পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন এবং বিভাগীয় পর্যায়ে রানার্সআপ হয়। চার বছর পর সেই চ্যাম্পিয়নশিপ আর অধরা থাকলো না। নিঃসন্দেহে এটি বিদ্যালয়টির শুধু নয়, পুরো জেলাবাসীর জন্যে অনেক বড় গৌরবের। অবশেষে জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন হলে সেটা হবে অশেষ গৌরবের। আমরা তার আগেই বিদ্যালয়টিকে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে জানাতে চাই প্রাণঢালা অভিনন্দন। আমরা মনে করি, জেলা ক্রীড়া সংস্থা, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ অথবা অন্য কেউ বিদ্যালয়টিকে জাতীয় পর্যায়ে খেলতে যাওয়ার আগেই সংবর্ধনা জ্ঞাপন করুক। এতে খুদে খেলোয়াড়েরা অনেক উৎসাহিত হবে এবং জাতীয় পর্যায়ে নিজেদের উজাড় করে দিয়ে খেলার তাগিদ অনুভব করবে। আমরা এসব খেলোয়াড়ের উত্তরোত্তর সাফল্যের জন্যে অনেক শুভ কামনা করছি।