রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৬ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০

পিবিআই’র সাফল্যটি আশাব্যঞ্জক
অনলাইন ডেস্ক

‘লঞ্চের কেবিনে নারীকে ধর্ষণের পর হত্যার রহস্য উন্মোচন’ শিরোনামের সংবাদটি সচেতন পাঠকমাত্রকেই আশান্বিত করেছে। চাঁদপুর কণ্ঠে ছাপা হয়েছে এই সংবাদ। এতে লিখা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৭ জুন ঢাকা-চাঁদপুর নৌপথে চলাচলকারী এমভি মিতালী-৭ লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হন নিলুফা ইয়াসমিন (৫৫)। এই হত্যার রহস্য উন্মোচন করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। দীর্ঘ ৪ বছরেরও বেশি সময় পর ওই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটন হলো। এ ঘটনায় দেলোয়ার নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পিবিআই। পিবিআই জানায়, ২০১৯ সালের ১৭ জুন হত্যার আগে নিলুফা ইয়াসমিনকে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণ করা হয়। তার গ্রামের বাড়ি হাজীগঞ্জে। হত্যার কয়েক বছর আগেই নিহত ওই নারীর স্বামী মারা যান। তার একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। এর মধ্যেই দেলোয়ারের সঙ্গে পরিচয় হয় নিলুফার। যার শেষ পরিণতি ধর্ষণ ও হত্যা। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তারকৃত দেলোয়ার তার প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীরকে ফাঁসাতে নিলুফারকে সঙ্গে নিয়ে লঞ্চের কেবিন বুকিংয়ে নিজের নাম জাহাঙ্গীর বলে উল্লেখ করেন। এছাড়া নিজ মোবাইল নম্বরের স্থলে ভুক্তভোগীর নম্বর উল্লেখ করেন। যা পুলিশের দীর্ঘ তদন্তে বেরিয়ে এসেছে। এটি ছিলো একটি পূর্ব পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এ বিষয়ে পিবিআই সদর দপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানিয়েছেন তদন্ত সংস্থাটির প্রধান ও অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক বনজ কুমার মজুমদার। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৭ জুন দুপুরে সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে নোঙ্গর করা এমভি মিতালী-৭ লঞ্চ থেকে নিলুফারের লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে সেটির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মিটফোর্ড)-এ পাঠানো হয়েছিলো।

চাঁদপুর-ঢাকা নৌরূটে লঞ্চের কেবিনে ধর্ষণ এবং প্রেমিক-প্রেমিকার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে অতি সাধারণ ঘটনা বললে অত্যুক্তি হবে না। নৌপুলিশ ও বিআইডব্লিউটিএ’র ঔদাসিন্যে লঞ্চের স্টাফকে ম্যানেজ করতে পারলেই কেবিনে খুনসহ সব ধরনের অপকর্ম করা যায় বলে সাধারণ্যে ধারণা প্রচলিত আছে। লঞ্চের কেবিনে খুনের ঘটনা নূতন কোনো ঘটনা নয়, বড়-ছোট সময়ের ব্যবধানে বারবার এমন ঘটনা ঘটে। কিন্তু ঘটনার রহস্য উন্মোচন বা বিচার হয়ে থাকে কমই। এমন অপ্রিয় বাস্তবতার মধ্যেও ৪ বছর পর লঞ্চের কেবিনে খুন হওয়া নিলুফার খুনের রহস্য উন্মোচনে পিবিআই'র সাফল্য সত্যিই অনেক আশাব্যঞ্জক। এজন্যে তারা ধন্যবাদ ও প্রশংসা পাওয়ার দাবি রাখে। আমরা নিলুফার হত্যার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের ফাঁসি দাবি করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়