রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ৩০ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০০:০০

মসজিদে চোরাই ফ্যান! কাজেই--

মসজিদে চোরাই ফ্যান! কাজেই--
অনলাইন ডেস্ক

‘কচুয়ায় বসতঘর থেকে আসবাবপত্রের রহস্যজনক চুরি ॥ মসজিদে লাগানো হয়েছে চোরাই ফ্যান!’ এটি বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত একটি সংবাদের শিরোনাম। সংবাদটিতে লিখা হয়েছে, কচুয়া উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের বলরা গ্রামে রহস্যজনকভাবে বসতঘরের আসবাবপত্র চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বোরহান উদ্দিনের ছেলে আরমান বাঁধন বাদী হয়ে গত বুধবার দুপুরে কচুয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, আরমান তার পরিবার নিয়ে ব্যবসার সুবাদে কুমিল্লা বসবাস করে আসছেন। গত ১৫ আগস্ট বাড়ির টিনশেড বিল্ডিংয়ের দরজা, জালানা বন্ধ করে কুমিল্লা চলে যান। পরবর্তীতে ২৫ আগস্ট শুক্রবার দুপুরে বাড়িতে এসে দেখেন ওই ঘরের দরজায় নতুন তালা। তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে দেখেন ফ্রিজ, কাঠের আলমিরা, পানির মোটর, গ্যাস সিলিন্ডার ও চুলা, ৫টি সিলিং ফ্যানসহ ঘরের বিভিন্ন মূল্যবান আসবাবপত্র চুরি করে কে বা কারা নিয়ে গেছে।

বাদী আরমানের বাবা বোরহান উদ্দিন জানান, শুক্রবার বাড়িতে এসে নতুন তালা ভেঙ্গে ঢুকে ঘরের সব কিছু এলোমেলো দেখতে পাই। ঘরের সকল আসবাবপত্রসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। পরে বাড়ির পাশে মসজিদে আমার বসত ঘরের ৫টি সিলিং ফ্যান লাগানো অবস্থায় দেখতে পাই। মসজিদ পরিচালনা কমিটি ও মুসল্লিদের নিকট সিলিং ফ্যানের বিষয় জানতে চাইলে তারা রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ফ্যানগুলো মসজিদে লাগিয়েছে তা জানেন না বলে জানান। তিনি বলেন, মসজিদের পাশে মাছের কয়েকটি খামার রয়েছে। খামারগুলো দেখাশোনা করেন ওই গ্রামের মৃত সুলতানের ছেলে মানিক। চুরির ঘটনা কারা ঘটিয়েছে মানিক বিষয়টি জেনেও মুখ খুলছে না। মসজিদ পরিচালনা কমিটির সদস্য ও মুসুল্লি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জানান, মসজিদের পুরাতন ৩টি সিলিং ফ্যান খুলে রাতের অন্ধকারে কে বা কারা ৫টি ফ্যান লাগিয়ে রেখেছে। এ বিষয়ে মসজিদের অন্যান্য মুসল্লির কাছ থেকে শুনতে পাই, সুজন ও জিলানী নামে দুই যুবক রাতের অন্ধকারে এ ফ্যানগুলো লাগিয়ে পুরাতন ৩টি খুলে নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইব্রাহিম খলিল জানান, বলরার চুরির বিষয়টি নিয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে।

কোনো বিবেকবান, এমনকি সাধারণ মানুষও কোনো মসজিদসহ অন্য কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে চোরাই ফ্যানসহ অবৈধ কোনো কিছু লাগানো বা ব্যবহারের বিষয়টিকে মোটেও স্বাভাবিকভাবে নিতে পারে না। কেননা এতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে চরম অমর্যাদাই করা হয়। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে ভক্ত-অনুরাগীদের বৈধ আয় থেকে দান-অনুদান দেয়াটাই উচিত, অবৈধ আয় থেকে বা অবৈধ প্রক্রিয়ায় কোনো কিছু করা চরম পাপের কাজ। এমন উপলব্ধিতে আমরা কচুয়ার ঘটনাটিকে গুরুত্বের সাথে তদন্তের আওতায় নেয়ার জন্যে পুলিশের প্রতি জোর অনুরোধ জানাচ্ছি। এ ব্যাপারে পুলিশের হালকা করে দেখার মানসিকতা কোনো না কোনো নেতিবাচকতার জন্ম দিতে পারে বলে পর্যবেক্ষক মহলের আশঙ্কা। কাজেই সাবধান থাকাটা বাঞ্ছনীয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়