রবিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ২৭ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০

বড্ড মর্মভেদী যে শিশুটির মৃত্যু সংবাদ!
অনলাইন ডেস্ক

পানিতে ডুবে শিশুদের মৃত্যুজনিত সংবাদের হৃদয়স্পর্শী শিরোনাম দিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠের হাজীগঞ্জ ব্যুরো ইনচার্জ কামরুজ্জামান টুটুল অতি সম্প্রতি বেশ আলোচিত। শুক্রবার তার প্রকাশিত এমন একটি সংবাদের শিরোনাম হয়েছে ‘১০ টাকা চাওয়ার পরের দিন লাশ পাওয়া গেলো ইকরামের’। এই শিরোনামটিতেই পাঠকমাত্রকে থমকে দাঁড়াতে হয় এবং পুরো সংবাদটি তাৎক্ষণিক পড়ার তাড়নায় ভুগতে হয়। ‘টু হোল্ড দ্যা রিডার অ্যান্ড টু হল্ট দ্যা রিডার’ কৌশল অবলম্বনে টুটুলের এই পারঙ্গমতার প্রশংসা করতেই হয়।

সংবাদটিতে তিনি লিখেছেন, ৪ বছরের ছোট্ট শিশু ইকরাম নানার বাড়িতে বেড়াতে এসেছে মায়ের সাথে। বাড়ির পাশের দোকান থেকে কিছু কিনে খাবে বলে মায়ের কাছে ১০ টাকা চায়। গত বুধবার দুপুরে মা ইয়াসমিন ছেলেকে সেই টাকা দিতে পারেননি। মায়ের কাছে টাকা না পেয়ে ঘর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বেরিয়ে যায় ইকরাম। তারপর থেকে নিখোঁজ। খুঁজতে খুঁজতে দিন গড়িয়ে রাত হয়, রাত গড়িয়ে বৃহস্পতিবার দিন পার হয়। অবশেষে বৃহস্পতিবার বিকেলে নানার বাড়ির পাশের খালে পাওয়া গেলো মৃত ইকরামের ভেসে থাকা দেহ। ঘটনাটি হাজীগঞ্জের ৯নং গন্ধর্ব্যপুর উত্তর ইউনিয়নের কাকৈরতলা ভূঁইয়া বাড়ির। স্থানীয় ইউপি সদস্য ফিরোজ আহমেদ হীরা জানান, গন্ধর্ব্যপুর গ্রামের জমদ্দার বাড়ির শাহ আলমের ছেলে ইকরাম (৪)। সে মায়ের সাথে পাশের গ্রাম কাঁকৈরতলা ভূঁইয়া বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে শুনি তার মৃতদেহ পাওয়া গেছে।

ইকরামের মা ইয়াছমিন জানান, বুধবার দুপুরে আমার কাছে বায়না ধরে ১০ টাকার জন্যে। দশ টাকা না দিয়ে বকুনি দেই। পরে ইকরাম রাগ করে ঘরের পাশে বসে ছিল। কিন্তু প্রায় এক ঘন্টা পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিলো না। এমতাবস্থায় মাইকিংসহ সকল মাধ্যমে সন্ধান করি। সারারাত সারাদিনে খোঁজ মিলেনি ছেলের। এদিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে নানার বাড়ি গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের কাঁকৈরতলা ভূঁইয়া বাড়ির পাশের খালে শিশুটির মৃতদেহ ভাসতে দেখে এলাকাবাসী। হাজীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর দিলে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।

চার বছরের শিশু ইকরামকে কেউ খুন করেছে, না সে পানিতে ডুবে মারা গেছে--সেটা তদন্তের বিষয়। সে নির্মমতার শিকার হয়ে মারা যাবার আলামত প্রাথমিকভাবে অনুমিত হয়নি। তবে সে মায়ের কাছে পূর্বদিন ১০ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় রাগ-অভিমানের পর নিখোঁজ হলো এবং লাশ হিসেবে পরদিন পানিতে ভেসে উঠলো--এমন সংবাদে মর্ম যার আছে, তার মর্মভেদ না হওয়া ছাড়া উপায় নেই। আমরা শিশু ইকরামের মৃত্যুরহস্য উদ্ঘাটনে পুলিশের আন্তরিকতা চাই--সেটা নিতান্তই পানিতে ডুবে হোক বা অন্য কারণে হোক।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়