প্রকাশ : ২০ মে ২০২৩, ০০:০০

সত্যি কথা বলতে কি, কিছু অপরাধ সাময়িক নির্মূল করা গেলেও কোনো কোনো অপরাধ কোথাও কোথাও মোটেও নির্মূল করা যায় না। এক্ষেত্রে ওইসব স্থানে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের কার্যকর উদ্যোগই উত্তম পন্থা। তবে অপরাধ নির্মূল/ নিয়ন্ত্রণে সজাগ-সচেতন ও ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সহযোগিতার অনিবার্যতা রয়েছে। এমন একটি সহযোগিতা সংক্রান্ত সংবাদ গত বৃহস্পতিবার চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে, যার শিরোনাম দেয়া হয়েছে ‘সরকারি হাসপাতালে চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ ॥ আটক ১’। এ সংবাদে লিখা হয়েছে, চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চাকুরি দেয়ার নাম করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ প্রতারক চক্রের ১ সদস্যকে আটক করেছে। সরকারি চাকরি দেয়ার নামে ঘুষের টাকা নিতে আসলে হাতেনাতে কামরুল হাসান নামে এক প্রতারককে আটক করে মডেল থানা পুলিশ। গত বুধবার বিকেলে চাঁদপুর স্ট্র্যান্ড রোড থেকে ঘুষের ৩০ হাজার টাকা লেনদেন করার সময় পুলিশ তাকে আটক করে। জানা যায়, হিরো ইন্টারন্যাশনাল নামে এনজিওর সুপারভাইজার জান্নাতুল ফেরদৌস আরজু বেগম তার স্বামী কামরুল হাসানের মাধ্যমে অনেক মানুষের কাছ থেকে সরকারি চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় ভুক্তভোগী ফাতেমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানার এসআই শাহজাহান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে প্রতারক কামরুল হাসানকে আটক করে থানায় নিয়ে যান।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, হিরো ইন্টারন্যাশনাল (এনজিও) চাঁদপুর-এর সুপারভাইজার পরিচয় দিয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস আরজু বেগম সরকারি হাসপাতালে সরকারি চাকুরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অনেকের কাছ থেকে টাকা নেয়। কিন্তু চাকুরি দেয়ার নামে চাকুরি প্রার্থীদের সাথে প্রতারণা শুরু করে। এক পর্যায়ে চাকুরি প্রার্থীরা বিষয়টি ভুয়া বুঝতে পেরে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতা চায়। পরে ভুক্তভোগীরা কৌশল করে প্রতারক চক্রের সদস্য কামরুলকে টাকা দেয়ার চাঁদপুর প্রলোভন দেখিয়ে শহরের স্ট্র্যান্ড রোডে আনেন। সেখান থেকে কৌশলে পুলিশ দিয়ে উক্ত প্রতারককে আটক করান।
আমরা জান্নাতুল ফেরদৌস আরজু বেগমের প্রতারণার শিকার সরকারি চাকুরি প্রত্যাশী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। সাথে সাথে অন্যতম ক্ষতিগ্রস্ত ফাতেমা বেগমকে ধন্যবাদ জানাই এজন্যে যে, তিনি সাহসের ভরে কৌশল অবলম্বন করে মূল প্রতারকের স্বামী কামরুল হাসানকে পুলিশের হাতে ধরিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছেন এবং বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আশা করি, পুলিশ আন্তরিকভাবে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে পুরো প্রতারক চাক্রকে ধরতে সক্ষম হবে।