সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৬ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৬ এপ্রিল ২০২৩, ০০:০০

পিয়নের ঔদ্ধত্য!

পিয়নের ঔদ্ধত্য!
অনলাইন ডেস্ক

বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কোনো কোনো ছোট কর্মচারীও কারো আশ্রয়ে প্রশ্রয়ে থেকে কিংবা স্বভাবগত দুর্বিনীত থেকে অনেক ক্ষমতা দেখায়। কর্মস্থলের শীর্ষ কর্তার আদেশ-নির্দেশ অমান্য করায় উৎকট আনন্দ খুঁজে বেড়ায়। তবে প্রকাশ্য গায়ে হাত দেয়ার সাহস সাধারণত দেখায় না। অথচ এমন ঘটনাই ঘটেছে শাহরাস্তিতে।

বুধবার চাঁদপুর কণ্ঠে ‘পিয়নের হাতে প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত’ শিরোনামের সংবাদ থেকে এমন একটি ঘটনা সম্পর্কে জানা গেছে। এ সংবাদে লিখা হয়েছে, শাহরাস্তিতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়নের হাতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর যে অভিযোগ দিয়েছেন, তা থেকে জানা যায়, বাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন ইমাম হোসেন পার্শ্ববর্তী বাদিয়া মাহবুবুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হুদা পাটওয়ারীকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। কারণটা হচ্ছে, ২০১৮ সালে বাদিয়া মাহবুবুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ে একটি ল্যাপটপ চুরির অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলার সাক্ষী হিসাবে গত ৪ মাস পূর্বে আদালতে সাক্ষ্য দেন বাদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন ইমাম হোসেন। এই সাক্ষ্য দেওয়ার কারণে তিনি মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) বেলা পৌনে একটার দিকে প্রধান শিক্ষকের কাছে ১২হাজার টাকা চান। এ টাকা না পেয়ে তিনি তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষকের কাছে সাড়ে ৪ হাজার টাকা চান। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হুদা পাটওয়ারী টাকা না দিলে তাঁর প্রতি ক্ষিপ্ত হন ইমাম হোসেন। এ সময় তিনি প্রধান শিক্ষকের ওপর চড়াও হয়ে বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকদের উপস্থিতিতে তাকে মারধর ও টানা-হেচঁড়া করতে থাকেন। তার ডাক-চিৎকারে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষ থেকে বের হয়ে আসেন। পরবর্তীতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে ইমাম হোসেন প্রধান শিক্ষক মোঃ সামছুল হুদা পাটওয়ারীকে মারধর করতে করতে ও টেনে-হেঁচড়ে বিদ্যালয় মাঠে নিয়ে যান এবং তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেন। এছাড়াও তার এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক বাধা দিতে আসলে ইমাম হোসেন তাদেরকেও প্রাণনাশের হুমকি দেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়। যার ফলে প্রধান শিক্ষক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে জানান।

প্রধান শিক্ষক তাঁর অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা শিক্ষা অফিসার, শাহরাস্তি পৌরসভার মেয়র, শাহরাস্তি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে দিয়েছেন।

শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হুমায়ন রশিদ বলেছেন, তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমরা বিশ্বাস করি, এ তদন্ত অনেক দ্রুত হবে। প্রধান শিক্ষকের সাথে লেনদেন যদি ওই পিয়নের থেকে থাকেই, তাহলে পিয়ন অন্যভাবে প্রতিকার চাইতেই পারতেন। কিন্তু তা না করে প্রকাশ্য মারধর করার যে ঔদ্ধত্য দেখিয়েছেন, সেটা মেনে নিতে বিবেকবান মানুষ মাত্রেরই অনেক কষ্ট হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়