শনিবার, ০৩ মে, ২০২৫  |   ২৪ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০

জুয়ার নিরাপদ আস্তানায় হানা নেই কেন?
অনলাইন ডেস্ক

দিনরাত নিরাপদ কিছু স্থানে জুয়ার আসর বসেই। যেসব স্থানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সচেতন ও প্রতিবাদী মানুষ সহজে যাতায়াত করতে পারে না, সেসব স্থানকে জুয়াড়িরা নিরাপদ ভেবে নেয়। আবার কিছুস্থানকে পুলিশসহ অন্যান্য সংস্থার লোকজনের সাথে জুয়াড়িদের যোগসাজশে নিরাপদ বানানো হয়। রাতের আঁধারেও কিছু স্থানকে জুয়াড়িরা নিরাপদ ভেবে নেয় এবং করে নেয়। যেমন--চার দেয়াল বেষ্টিত যেসব স্থানে নৈশ প্রহরী নেই, সেখানে রাতে দেয়াল টপকিয়ে ভেতরে ঢুকে জুয়াড়িরা তাদের আস্তানা গাঁড়েই। সচেতন পর্যবেক্ষক ও গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন জুয়ার আস্তানা সংক্রান্ত এমন তথ্য জানলেও এবং গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলেও যারা প্রতিক্রিয়া দেখানোর কথা তারা সেটি দেখায় না। সেজন্যে লোকমুখে নানা কথা রটে, যার কিছু কিছু বটেই। কিছু কিছু ক্লাবে, ক্রীড়া সংগঠনের কার্যালয়ে এমনভাবে ওপেন সিক্রেট পদ্ধতিতে নির্বিঘ্নে জুয়া খেলা ও মাদক সেবন হয় যে, মনে হয় তারা যেন লাইসেন্সধারী।

শনিবার চাঁদপুর কণ্ঠে এমন সংবাদ শিরোনাম হয় যে, ‘চরমেয়াশা গ্রামে জুয়ার আসর জমজমাট’। এ সংবাদে সোহাঈদ খান জিয়া লিখেছেন, চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের চরমেয়াশা গ্রামে জুয়ার আসর জমজমাট আকার ধারণ করেছে। প্রতিদিন বিকেল হতে গভীর রাত পর্যন্ত এ জুয়ার আসর চলে। চরমেয়াশা গ্রামে বসবাসকারী মিজান পাটোয়ারীর নেতৃত্বে এ জুয়ার আসর বসে বলে জানা যায়। চরমেয়াশা গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন বসবাস করায় তারা ভয়ে মুখ খুলে কথা বলতে সাহস পায় না। এ জুয়ার আসরে প্রতিদিন লাখ লাখ টাকার খেলা হয়ে থাকে। নদীবেষ্টিত চরমেয়াশা গ্রামটি নিরাপদ বিধায় বিভিন্ন স্থান থেকে পেশাদার জুয়াড়িরা জুয়া খেলতে আসে। আর এ জুয়া খেলে এলাকার নিরীহ মানুষ নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। এ ব্যাপারে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় ক’ব্যক্তি জানান, প্রতিদিন এ গ্রামের পূর্ব পাশে নদীর পাড়ে জুয়ার আসর বসে। এরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমরা ভয়ে কথা বলতে সাহস পাই না। এরা আমাদের ওপর হামলা করতে পারে। এ ব্যাপারে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

সংবাদটিতে উল্লেখিত মিজান পাটোয়ারীর মতো আমাদের সমাজে আরো কিছু এমন লোক রয়েছে, যাদের কেউ কেউ থানার দালালি করে বলে কথিত আছে। এদের বিরুদ্ধে হরহামেশাই নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। এদের নির্দিষ্ট পেশা সম্পর্কে জানা না গেলেও স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আরাম আয়েশে জীবন কাটাতে দেখা যায়। এরা সমাজে দাপটও দেখায়। এদেরকে নিরীহ সাধারণ মানুষ ভয়ও করে। কারণ হলো, এদেরকে বিশেষ পোশাকধারীদের কারো কারো সাথে সখ্য বজায় রাখতে দেখা যায়। কাজেই সরষের ভেতরে যে ভূত আছে, সেটা নিয়ে সন্দেহ দূর হয় না এবং সে কারণে সমাজ থেকে জুয়া-মাদকও দূর হয় না বলে সুধীজন মনে করেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়