প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

বাংলাদেশের ইতিহাসে কম্পিউটারের মাধ্যমে যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশে হাতে গোণা যে ক’জন মানুষের নাম এক নিঃশ্বাসে নেয়া যায় নিঃসন্দেহে তাঁদের মধ্যে চাঁদপুরের কৃতি সন্তান মোঃ সবুর খান অন্যতম। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় আইটি ব্যক্তিত্ব হিসেবে বহুল পরিচিত। তাঁর ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ড্যাফোডিল কম্পিউটার ৯০ দশক থেকে যোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তির বিকাশ ও উৎকর্ষতা সাধনে অসামান্য অবদান রাখায় বর্তমান সরকার কর্তৃক ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে প্রয়াস সেটা বাস্তবায়নে অন্যতম সহায়ক হয়েছে। তিনি এজন্য নিজ দেশে যতটুকু সম্মান ও মর্যাদা পেয়েছেন, তার চেয়ে বেশি বৈশ্বিক পরিমণ্ডলে পেয়ে চলেছেন।
সবুর খান নব্বইর দশক থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষার প্রসারে নিজ দেশে একে একে গড়ে তুলেছেন বাংলা ও ইংরেজি মাধ্যমে অনেক স্কুল ও কলেজ। একবিংশ শতাব্দীর শুরুতে অর্থাৎ ২০০২ সালে তিনি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি নামে একটি মানসম্পন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ার সাহসিক উদ্যোগ নেন। পাশাপাশি ড্যাফোডিল পরিবারে তিনি একের পর এক এমন সব প্রতিষ্ঠানের সংযোজন ঘটান, যা তার বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রযাত্রা এবং দেশকে ডিজিটালাইজেশনের পথে এগিয়ে যেতে সহায়ক শক্তি হিসেবে বিরাট ভূমিকা রেখেছে। ২০২০ সালে বৈশ্বিক মহামারী করোনার কবলে পড়ে ক্রমশ বাংলাদেশের প্রায় সকল স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি বন্ধ হয়ে গেলেও বন্ধ হয়নি ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। অনলাইন ক্লাসে অভ্যস্ত এই ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষা কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় সক্ষম হন।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির রাজধানীতে যেমন ইট-পাথরে গড়া কিছু ভবনের দৃষ্টিনন্দন ক্যাম্পাস রয়েছে, তেমনি রয়েছে সবুজে সমৃদ্ধ বৃহৎ ক্যাম্পাস, যা বাংলাদেশের অন্য কোনো প্রাইভেট ইউনিভার্সিটি তথা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নেই। সম্প্রতি প্রকাশিত কিউএস ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটি র্যাংকিং এশিয়া ২০২৩-এ মর্যাদাপূর্ণ অবস্থান অর্জন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। এটি বাংলাদেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পঞ্চম স্থান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থান এবং দক্ষিণ এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে ৭৮তম স্থানে রয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান এবং উদ্যোগের জন্য এশিয়ার ৭৬০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে শীর্ষ ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় অবস্থান করছে।
একটি নবীন বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি কিউএস ডড়ৎষফ টহরাবৎংরঃু জধহশরহমণ্ডএর এশিয়া পর্যায়ে শীর্ষ ৪৭%-এর মধ্যে পারফর্ম করছে। এটি শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই নয় দেশের জন্যেও একটি বড় অর্জন। এই বিশ্ব র্যাংকিংটি মূলত র্যাংক করা হয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার সম্ভাবনা বিবেচনা করে। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে এই যে, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি একটি ‘উচ্চ গবেষণা সমৃদ্ধ বিশ্ববিদ্যালয়’ হিসেবে কিউএস দ্বারা স্বীকৃত। এছাড়া ইউনিভার্সিটিটি ইন্টারন্যাশনাল টাইম্স হায়ার এডুকেশন ইম্প্যাক্ট র্যাংকিং ২০২২-এ শীর্ষ ৪০০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে স্থান পেয়েছে এবং শিক্ষার মান, গবেষণার আন্তর্জাতিক মান (প্রকাশনা এবং উদ্ধৃতি), স্নাতকদের কর্মসংস্থান, বিশ্বমানের শিক্ষাদান, শিক্ষার পরিবেশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে দেশে ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে স্বীকৃতি অর্জন করছে।
আমাদের পর্যবেক্ষণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সামগ্রিক কার্যক্রমে সুষ্ঠু, সুন্দরভাবে সুদূরপ্রসারী চিন্তা-চেতনায় এগুচ্ছে। সমকালীন চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে টেকসই মানসম্পন্ন অবস্থান নির্ণয়ের জন্য এ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিশেষ করে এর প্রতিষ্ঠান ও চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ সবুর খানের প্রতিশ্রুতিশীলতা ও অঙ্গীকারের আলোকে দৃঢ় পদক্ষেপে কেবলই এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের বিশ্বাস, সর্বশেষ র্যাংকিংয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয়টি দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে পঞ্চম ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে তৃতীয় স্থান ডিঙ্গিয়ে শীর্ষস্থান অর্জনের পথে বলিষ্ঠভাবেই এগিয়ে যাবে। এখন দেখার অপেক্ষা, এজন্যে তারা সময় কতটা নেয়।