সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ১৩ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

খালের ওপর ব্রিজ নির্মাণে কতো সময় লাগে?
অনলাইন ডেস্ক

কোনো ধরনের জটিলতা না থাকলে নদীর ওপর মেঘা প্রজেক্টের বা বহুমুখী প্রকল্পের আওতাধীন সেতু ছাড়া অন্য কোনো সেতু নির্মাণে সর্বোচ্চ ২-৩ বছর সময় লাগে। কিন্তু কোনো খালের ওপর সেতু নির্মাণে সাধারণত কয়েক মাস, বড় জোর এক/দেড় বছর সময় লাগতে পারে। আর অস্বাভাবিক কিছু ঘটলে সে সময় না হয় সামান্য বাড়তে পারে। তাই বলে চার বছর সময় লেগে যাবে, সেটা তো হতে পারে না। অথচ সেটাই হয়েছে কচুয়ায়। সেজন্যে চাঁদপুর কণ্ঠে গত বৃহস্পতিবার সংবাদ শিরোনাম হয়েছে ‘কচুয়ায় চার বছরেও ব্রিজ নির্মাণ কাজ শেষ হয়নি। ২৫ হাজার মানুষের চরম দুর্ভোগ’।

এ সংবাদে যা লিখা হয়েছে, তার সারসংক্ষেপ হচ্ছে : কচুয়া উপজেলাধীন কাদিরখিল-প্রসন্নকাপ গ্রামের মধ্যস্থলে অবস্থিত সুন্দরী খালের ওপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের জিসিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়সাপেক্ষ এ ব্রিজটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন চাঁদপুর-১ (কচুয়া) আসনের এমপি, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর। কাজ শুরুর পর ৪টি বছর পেরিয়ে গেছে, এখনও ৪০ ভাগ কাজ বাকি রয়েছে। ব্রিজটি দীর্ঘদিনেও নির্মিত না হওয়ায় ১০ গ্রামের ২৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অগত্যা ব্রিজের স্থানটি দিয়ে খেয়া পারাপার হতে হচ্ছে। বেশি দুর্ভোগের শিকার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদেরকে প্রতিদিন এই খেয়া পার হতে ১০ টাকা গুণতে হচ্ছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ব্রিজটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছিলো। বর্তমানে কী কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে তা আমার জানা নেই। তবে ব্রিজের বাকি কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে উপজেলা প্রকৌশলী ও সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি। ঠিকাদার ব্রিজের কাজ সম্পন্ন করতে বিলম্বের কারণ হিসেবে করোনা ও মালামালের দাম দ্বিগুণ হওয়াটাকে অজুহাত হিসেবে দাঁড় করিয়েছেন। উপজেলা প্রকৌশলীও এ অজুহাতের কথা স্বীকার করে বলেছেন, ঠিকাদারের সাথে কথা বলে ব্রিজ নির্মাণের কাজ পুনরায় আরম্ভ করার ব্যবস্থা করবো।

আমরা কচুয়ার কাদিরখিল ও প্রসন্নকাপ গ্রামের মধ্যে সংযোগ রক্ষায় সুন্দরী খালের ওপর নির্মিতব্য ব্রিজটি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই চালু হোক-১০টি গ্রামের ভুক্তভোগী ২৫ হাজার মানুষের মতোই প্রত্যাশা করছি। ঠিকাদার নিতান্তই ব্যবসায়িক মনোভাব থেকে বেরিয়ে এসে জনস্বার্থকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে ব্রিজটির অসম্পন্ন কাজ দ্রুত সম্পন্ন করার জন্যে সর্বাত্মক প্রয়াস চালাবেন বলে বিশ্বাস রাখি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়