সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০৯ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

আহা তানহা! আহা তানহা!!

আহা তানহা! আহা তানহা!!
অনলাইন ডেস্ক

তানহা আক্তার নাদিয়া। বয়স ৮ বছর। প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী। শাহরাস্তি উপজেলার কাদরা গ্রামের মিয়া বাড়ির প্রবাসী শাহাদাত হোসেনের ছোট মেয়ে। সে পড়তো কাদরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। গত ৬ নভেম্বর রোববার মধ্যাহ্নে সে উক্ত বিদ্যালয় থেকে বাড়ি ফিরে। তারপর খেয়েদেয়ে পড়তে যায় বাড়ির সম্মুখস্থ ব্র্যাক স্কুলে। বিকেলে স্কুল থেকে বাড়িতে এসে খেলতে বের হয়। কিন্তু সন্ধ্যায় আর বাড়ি ফিরেনি। শুরু হয় খোঁজাখুঁজি। এক পর্যায়ে রাতে বাড়ির বাগানের পাশের ডোবা থেকে তানহাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। সংবাদ পেয়ে শাহরাস্তি থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং গভীর রাতে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে মানিক হোসেন নামে এক ছিঁচকে চোরকে আটক করে, যার বাড়ি খেড়িহর গ্রামে। সে এই গ্রামের জনৈক আঃ কাদেরের কুলাঙ্গার পুত্র।

পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মানিক হোসেন তানহাকে খুনের কথা স্বীকার করেছে। সে জানায়, তানহা তাকে দেখলেই চোর বলে ডাকতো। এজন্যে সে ক্ষুব্ধ ছিলো এবং প্রতিশোধ নেয়ার জন্যে ওঁৎ পেতে ছিলো। শনিবার সন্ধ্যায় খেলাশেষে বাড়ি ফেরার পথে মানিক তানহাকে তাদের বাড়ির বাগানে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। এ সময় তানহা চিৎকার দিলে মানিক তার মুখ জোরে চেপে ধরে। এতে সে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তাকে ধর্ষক মানিক ঐ বাগানের পাশর্^বর্তী ডোবায় ফেলে দেয়।

শাহরাস্তি থানার পুলিশ তানহার মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনাটিকে খুবই গুরুত্বের সাথে আমলে নেয়। সেজন্যে মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ভোরের আলো ফোটার আগেই তানহার খুনি মানিককে সন্দেহজনকভাবে আটক করতে এবং জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকারোক্তির মাধ্যমে খুনি হিসেবে শনাক্ত করতে সফল হয়। তারপর সোমবার মানিককে আদালতে পাঠানো হয়েছে। সে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি প্রদান করলেই তানহা হত্যা মামলার অনেক অগ্রগতি সাধিত হবে। যার ফলে এই পাষ- খুনিকে মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করার সুযোগ সৃষ্টি হবে।

আমাদের বিশ্বাস, নিষ্পাপ শিশু তানহা হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দ্রুত দাখিল হলে এবং তারপর বিচারিক প্রক্রিয়া সুষ্ঠুভাবে অগ্রসর হলে খুনি মানিক হোসেনের সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদণ্ডের রায়ই আদালতের সদাশয় বিচারক প্রদান করবেন। তারপরও অপেক্ষার প্রহর গুণতেই হবে। ততক্ষণে শোকার্ত মা-বাবাসহ সংবেদনশীল প্রতিটি হৃদয়ে তানহার জন্যে রক্তক্ষরণ হবে এবং স্ফুট/অস্ফুট স্বরে অসংখ্যবার উচ্চারিত হবে-আহা তানহা! আহা তানহা!!

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়