সোমবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয় অন্যান্য
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইউসুফ গাজী গ্রেফতার

প্রকাশ : ০২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

এতো সাহস ওরা পায় কোত্থেকে?
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুরে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি), পুলিশের ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি), থানার পুলিশ, রেল পুলিশ, র‌্যাব, নৌ-পুলিশ, এমনকি কোস্টগার্ডও প্রায়শই মাদকবিরোধী অভিযান চালায়। এরা প্রধানত মাদক পাচারকারীদের গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কমণ্ডবেশি মাদকের চালানসহ আটক করে। কিন্তু চাঁদপুর শহরের কিছু স্থানসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে খুচরা ও পাইকারি মাদক বিক্রি ও সেবন নির্বিঘ্নে চললেও সেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা নজরদারি না থাকায় এবং অনিয়মিত অভিযান চালায় ওইসব স্থানের মাদক বিক্রেতা ও মাদকসেবীরা নিজেদের নিরাপদ ও শক্তিধর (!) ভাবতে শুরু করে। সত্য হোক বা মিথ্যা হোক, তারা কিংবা তাদের পক্ষে এমন কথা প্রচার করা হয় যে, তারা আইন-শৃঙ্খলা সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বাহিনী ও ডিএনসিকে ম্যানেজ করেই মাদকের ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালাচ্ছে। এই ম্যানেজের পেছনে রাজনৈতিক প্রভাব ও টাকার ভাগ-বাঁটোয়ারার বিষয়টি ওপেন সিক্রেট বলে ওয়াকিবহাল মহল দাবি করে।

নির্বিঘ্নে মাদক ব্যবসা ও সেবন করে শক্তি (!) সঞ্চয়কারীরা মাঝে মধ্যে নানা ছলছুতোয় নিজ এলাকায় শোডাউন করে। এক সময় তাদের শোডাউনের আলোচিত স্থান ছিলো চাঁদপুর শহরের ৭নং ওয়ার্ডে অবস্থিত রেলওয়ে কাচ্চা কলোনী। সুধী সজ্জন মানুষ এবং কমিউনিটি পুলিশিং নেতৃবৃন্দ এদেরকে প্রতিহত করতে গিয়ে হুমকি-ধমকি এবং হামলার শিকার হয়েছেন। কমিউনিটি পুলিশিংয়ের সাথে সংশ্লিষ্ট কাচ্চা কলোনীর বাসিন্দা মিজানুর রহমানের শরীরে সেই হামলার চিহ্ন এবং মনে দুঃসহ স্মৃতি এখনও জাগরুক রয়েছে। কাচ্চা কলোনীতে মাদক ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য আপাতদৃষ্টিতে কম মনে হলেও জেটিসি কলোনী ও কুলিবাগান এলাকায় ঠিকই তাদের দীর্ঘদিনের দৌরাত্ম্য বহাল রয়ে গেছে। যার প্রমাণ পাওয়া গেলো গত ২৮ অক্টোবর বিকেলে।

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে ‘ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় মাদক ব্যবসায়ীর নেতৃত্বে দোকানপাট ও বসতঘরে হামলা ॥ থানায় অভিযোগ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায় জেটিসি কলোনী ও কুলিবাগান এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও সেবনকারীদের দৌরাত্ম্য এখন কোন্ পর্যায়ে। এখানকার ভূঁইয়া বাড়ির মিশু, সাগর ও মন্টুসহ সাদ্দাম ও শুক্কুর গং সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত মাদক, ইভটিজিং, চুরিসহ নানা অপকর্মে নিয়োজিত থাকে। এদের ইভটিজিংয়ের শিকার এক কলেজ ছাত্রী গত ২৭ অক্টোবর চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এ খবর পেয়ে পরদিন বিকেলে এরা সংঘবদ্ধ হয়ে জেটিসি কলোনীতে উক্ত ছাত্রীর বাবার দোকান, স্বজনদের বাসা-বাড়িসহ ৮-১০ স্থানে দেশীয় অস্ত্রসহ হামলা, ভাংচুর ও লুটপাট চালায় প্রায় এক ঘণ্টা পর্যন্ত। এতে ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। প্রত্যক্ষদর্শীরা ঘটনাটি চাঁদপুর মডেল থানার ওসিকে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণ করায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে, তবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। জনমনে প্রশ্ন, হামলাকারীরা এতো সাহস পায় কোত্থেকে।

জানা যায়, হামলকারীরা চাঁদপুর মডেল থানায় বেশ ক’টি মাদক মামলার আসামী। এদেরকে আটকও করা হয়। কিন্তু জামিনে এসে এরা পূর্বের ন্যায় অপকর্মে লিপ্ত হয়। এদেরকে দমাতে জেটিসি কলোনী ও কুলি বাগানে ডিএনসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বার বার অভিযান চালাতে হবে, যাতে তাদের মাদক আস্তানা ধ্বংস হয় কিংবা গুঁড়িয়ে যায়। অন্যথায় অদূর ভবিষ্যতে এদের দ্বারা অনেক বড় ধরনের অঘটন ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়