শনিবার, ৩০ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২২, ০০:০০

গতানুগতিক নয়, উপভোগ্য অনুষ্ঠান চাই
অনলাইন ডেস্ক

মৃত্যুদিবস/মৃত্যুবার্ষিকী ছাড়া জন্মদিন, বিবাহবার্ষিকীসহ নানা উপলক্ষে আজকাল কেক কাটা হয়। এটা যেনো গতানুগতিকতায় পরিণত হয়েছে। আবার অনুষ্ঠানের অতিথিকে উপহার প্রদানের ক্ষেত্রে ক্রেস্ট প্রদান করাটাও শুধু গতানুগতিকতা নয়, সস্তা বিষয়ে পরিণত হয়েছে। সস্তা বললাম এজন্যে যে, খুব কম মূল্যে স্বল্প আয়াসে দ্রুত এই ক্রেস্ট বানানো যায়। অনুষ্ঠান শুরুর পর যদি আয়োজক দেখেন যে, আমন্ত্রিত অতিথির পরও বাড়তি অতিথি এসেছে, তাহলে অনুষ্ঠান চলাকালীন নিকটবর্তী প্রতিষ্ঠানে অর্ডার দিয়ে ক্রেস্ট বানিয়ে সেই বাড়তি অতিথির হাতে সেটি তুলে দেয়া যায়। যারা নানা কারণে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে যেতে হয় কিংবা যেতে বাধ্য হন, তারা ক্রেস্ট পেতে পেতে ঘরে/কর্মস্থলে ক্রেস্ট রাখার জায়গা আর খুঁজে পাচ্ছেন না। যদি অনুষ্ঠানের অতিথির উপহার হয় বই, তাহলে সে বই যে কোনো লাইব্রেরীতে রাখা যায় কিংবা আগ্রহী যে কাউকে পড়তে দেয়া যায়। আর অতিথিকে বই না দিয়ে মানপত্র দিলেও সেটি টানিয়ে রেখে ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা যায়। এক সময় অনুষ্ঠানের অতিথির জন্যে উপহার স্বরূপ বই ও মানপত্র গতানুগতিক থাকলেও এখন সেটি বিরল। কথা হলো, ক্রেস্ট সংরক্ষণের জটিলতাহেতু মানুষ পুরানো সেই গতানুগতিকতায় ফিরে যায় কি না।

এক সময় বিয়ের অনুষ্ঠানসহ নানা অনুষ্ঠানে উপহার বলতে ছিলো নানা উপকরণ। এই উপকরণ পরিবহন করাটা এবং যিনি উপহার দিবেন তিনি সেটি ক্রয় করাটা অবশ্যই ঝামেলাপূর্ণ। যান্ত্রিক জীবনে অভ্যস্ত অনেক মানুষ এখন নগদ টাকা উপহার দেয়াটাকেই সহজ হিসেবে মনে করছেন। এই টাকায় আয়োজক তার অনুষ্ঠানের ব্যয় মিটাতেও সক্ষম হন কিংবা টাকাটাকে নানা কাজে লাগাতে পারেন। সমাজে যান্ত্রিক মানুষের সংখ্যা বাড়ছে বলে এখন নানা অনুষ্ঠানে দৃশ্যমান উপহারের সংখ্যাও কমছে। এতে আয়োজকরা স্বস্তিবোধ করছেন বলেই মনে হচ্ছে।

গতানুগতিকতা ও স্বস্তিতে মানুষ ঝামেলামুক্ত থাকার প্রয়াস চালালেও প্রত্যেক ক্রিয়ার যে সমান প্রতিক্রিয়া আছে, সেটি কিন্তু ভুলে যায়। এর ফলে অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক নানা কৃত্রিমতাও দৃশ্যমান হচ্ছে। অধিকাংশ অতিথিই অনুষ্ঠানগুলোতে যায় কিছু পাওয়ার জন্যে, খাওয়ার জন্যে কিংবা কিছু দেখার জন্যে। এর বাইরে যে কিছু শেখার আছে সেটি নিয়ে ভাবে না।

যে কোনো অনুষ্ঠান পূর্ব ঘোষিত সময়ে শুরু না করাটাই আমাদের দেশের সাধারণ রেওয়াজ বা গতানুগতিকতায় পরিণত হয়েছে। বরং যথাসময়ে অনুষ্ঠান শুরু করাটাই বিরল ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

আমরা মনে করি, অনুষ্ঠানকেন্দ্রিক গতানুগতিকতা ক্রমশ বিরক্তির বিষয়ে পরিণত হচ্ছে। এর ফলে অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। এজন্যে আয়োজকদের পক্ষ থেকে যে কোনো অনুষ্ঠানকে গতানুগতিক নয়, উপভোগ্য ও শিক্ষণীয় করার কথা ভাবতে হবে। কেননা মানুষের রুচি ও পছন্দ দ্রুত পাল্টাচ্ছে। এটি অনুধাবনের সক্ষমতা আয়োজকরা ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেতের ন্যায় অর্জন করতে না পারলে যে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানই অংশগ্রহণকারী সঙ্কটে আক্রান্ত হবে বলে আমাদের ধারণা।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়