প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সক্রিয়তা!
চাঁদপুরে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর অত্যন্ত সক্রিয় বলে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতীয়মান হচ্ছে। এতে সাধারণ ও নিরীহ ভোক্তারা উজ্জীবিত হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। চাঁদপুরে কর্মরত উক্ত অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা ও জরিমানা আদায়ের পাশাপাশি তাঁর কার্যালয়ে দায়েরকৃত ভোক্তাদের অভিযোগ বিষয়ে বাদী ও বিবাদীকে ডেকে এনে তাদের বক্তব্য শুনেন এবং সে আলোকে জরিমানার মাধ্যমে অভিযোগের নিষ্পত্তি সাধন করেন। শুধু তা-ই নয়, আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ বাদীকে নগদ প্রদান করেন। এমনটি নিশ্চয়ই সারাদেশে কমণ্ডবেশি হচ্ছে, তবে চাঁদপুরে অধিক সংখ্যক মিডিয়া ও মিডিয়াকর্মীদের কল্যাণে সেটির প্রচার বেশি হওয়ায় সাধারণ্যে ব্যাপক জানাজানি হচ্ছে। এর সুফলস্বরূপ বিভিন্ন পর্যায়ের ভোক্তারা যে ভীষণ উজ্জীবিত হচ্ছে সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না।
|আরো খবর
সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুরে যতোগুলো অভিযোগের নিষ্পত্তি করেছে, তন্মধ্যে ২৫ জুলাই সোমবার নিষ্পত্তিকৃত অভিযোগটি ছিলো আলোড়ন সৃষ্টিকারী। এটি নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদের শিরোনাম হয়েছে ‘১ টাকা কম রিচার্জ করায় ৫ হাজার টাকা জরিমানা!’ এ সংবাদে লিখা হয়েছে, মতলব দক্ষিণ উপজেলার আব্দুল মান্নান নামের জনৈক ভোক্তা গত ২০ জুলাই বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৫৮ মিনিটে মায়ের দোয়া ভ্যারাইটিজ স্টোরে ইজিলোড করতে যান। তিনি দোকানদার আল-আমিনকে ৫০ টাকা দিয়ে তা রিচার্জ করতে বলেন। কিন্তু দোকানদার ৪৯ টাকা রিচার্জ করেন। এতে দোকানদারের সাথে আঃ মান্নানের বাক বিতণ্ডা হয়। এ সময় দোকানদার আঃ মান্নানকে হুমকি প্রদান করেন এবং মানসিক ও সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করেন। পরদিন ২১ জুলাই বৃহস্পতিবার সংক্ষুব্ধ ভোক্তা আঃ মান্নান জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ে সরাসরি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। আর যায় কোথায় ?
আঃ মান্নানের অভিযোগের আলোকে ২৫ জুলাই সোমবার উক্ত অধিদপ্তরের চাঁদপুর কার্যালয়ে বিবাদী আল-আমিনকে ডেকে আনা হয়। তিনি দোষ স্বীকার করেন। এমতাবস্থায় ভোক্তা আঃ মান্নানের অর্থ ও উদ্দেশ্য ক্ষতিগ্রস্ত করায় এবং প্রতিশ্রুত সেবা যথাযথভাবে প্রদান না করায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক নূর হোসেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ মোতাবেক অভিযুক্ত ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ করেন। আদায়কৃত জরিমানার ২৫ শতাংশ অর্থাৎ ১২৫০ টাকা তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগকারী/বাদী আঃ মান্নানকে প্রদান করেন।
২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন পাস হয়। কিন্তু এ আইনের সুফল সাধারণ্যে দৃশ্যমান হচ্ছে না শুধুমাত্র প্রায়োগিক হার কম হবার কারণে। অপরদিকে ২০০৯ সালে অর্থাৎ একই সালে পাসকৃত ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনের সুফল ক্রমশ বেশি দৃশ্যমান হচ্ছে এর প্রয়োগ বৃদ্ধি পাবার কারণে। বস্তুত আইনের বিদ্যমানতায় নয়, আইনের যথার্থ প্রয়োগেই যে ব্যাপক সাড়া জাগে এবং প্রচার ঘটে সেটি ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রয়োগের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার আন্তরিকতাতে চাঁদপুরে বার বার প্রমাণিত হচ্ছে বলে আমাদের পর্যবেক্ষণে ধরা পড়েছে।