শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড়ে 'আল্লাহু চত্বর'
  •   চাঁদপুর কণ্ঠৈর কলামিস্ট এএসএম শফিকুর রহমানের ইন্তেকাল
  •   নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পেল সেনাবাহিনী
  •   জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনে’ প্রধান উপদেষ্টার ১০০ কোটি টাকার অনুদান
  •   মেঘনায় নিখোঁজ দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশ : ৩০ জুন ২০২২, ০০:০০

সেতুটির কাজ যথাসময়ে শেষ হোক

সেতুটির কাজ যথাসময়ে শেষ হোক
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর জেলায় ডাকাতিয়া নদীর ওপর তেরটি বড় ধরনের সেতু চালু অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে ৯টি হাজীগঞ্জ ও শাহরাস্তি উপজেলায়, দুটি ফরিদগঞ্জ উপজেলায় এবং ২টি চাঁদপুর সদর উপজেলায়। আর নির্মাণাধীন অবস্থায় রয়েছে আরো দুটি সেতু। এর মধ্যে একটি হাজীগঞ্জে, যেটি টোরাগড় ও বড়কুলের মধ্যে এবং আরেকটি চাঁদপুর সদর উপজেলায়, যেটি দুটি উপজেলার মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন করবে। হাজীগঞ্জের টোরাগড়-বড়কুল সেতুটির কাজ প্রায় আশি শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। এটি চালু হলে এটি হবে ডাকাতিয়ার ওপর হাজীগঞ্জ-শাহরাস্তি নির্বাচনী এলাকার দশম সেতু। এছাড়া একই এলাকায় একাদশ বা এগারোতম সেতু হিসেবে উটতলী সেতুর সমীক্ষা শেষ হয়েছে। যেটি কয়েক বছরের মধ্যে নির্মিত হয়ে হাজীগঞ্জের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সাথে ফরিদগঞ্জ উপজেলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সহজ যোগাযোগ নিশ্চিত করবে।

চাঁদপুর জেলার দুটি উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের জন্যে ডাকাতিয়া নদীর ওপর যে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ অত্যন্ত আলোচিত, সেটি হচ্ছে ভাষাবীর এম.এ. ওয়াদুদ সেতু। ২০১৭ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের চর রণবলিয়া গ্রাম ও চাঁদপুর সদর উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ছোটসুন্দর গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত বগার গুগাড়া এলাকায় এ সেতুটির নির্মাণ কাজ শুরু করা হয়। মূল সেতুটির দৈর্ঘ্য ২৭৭ মিটার। দুই সংসদীয় আসনের এমপি, বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি ও ড. মোহাম্মদ শামছুল হক ভূঁইয়া যৌথভাবে সেতুটির নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। চাঁদপুর-হাইমচর আসনের সংসদ সদস্য ডাঃ দীপু মনির পিতা ভাষা সৈনিক মরহুম এম. এ. ওয়াদুদের নামে সেতুটির নামকরণ করা হয়।

বলা দরকার, চাঁদপুর জেলায় ডাকাতিয়া ও ধনাগোদা নদীর ওপর বিদ্যমান সেতুগুলোর মধ্যে যে সেতুটির নাম দেশের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তির নামে হয়েছে, সেটিই হচ্ছে ভাষাবীর এম.এ.ওয়াদুদ সেতু। চাঁদপুর শহরের পালবাজার এলাকায় নূতনবাজার-পুরাণবাজারের মধ্যে নির্মিত সেতুটির নাম এম.এ. আউয়াল সেতু হিসেবে প্রথমাবস্থায় জানা গেলেও সেতুটি যে কোনো কারণেই হোক চালু হবার পর এই নামে পরিচিতি লাভ করতে পারেনি। কিন্তু ভাষাবীর এম.এ ওয়াদুদ সেতুটি উদ্বোধনের পূর্বেই স্বীয় নাম ছড়িয়ে দিয়েছে জেলার সর্বত্র। এর অন্য কারণও রয়েছে। সেটি হচ্ছে : নির্মাণের প্রক্রিয়ায় সেতুটি এক নজরেই দৃষ্টিনন্দন।

গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় শীর্ষ সংবাদ হিসেবে যেটি ব্যানার হেডিংয়ে ছাপা হয়েছে, সেটি ভাষাবীর এম.এ ওয়াদুদ সেতুকে নিয়েই। প্রবীর চক্রবর্তী ও মামুনুর রশিদ পাঠান পরিবেশিত সংবাদটির হেডিং হয়েছে ‘দৃষ্টিনন্দন ভাষাবীর এম.এ. ওয়াদুদ সেতুর উদ্বোধনের অপেক্ষায় দুপাড়ের লাখো মানুষ ॥ এলাকাবাসীর দাবি, নির্মাণ কাজে ধীরগতি ॥ এলজিইডির দাবি, সময়ের আগেই কাজ শেষ হবে’। এ সংবাদের শেষদিকে এলজিইডি চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইউনুস হোসেন বিশ্বাসকে উদ্ধৃত করা হয়েছে। তিনি বলেছেন, ভাষাবীর এম. এ. ওয়াদুদ সেতুর দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজের মেয়াদ ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়। পরবর্তীতে মেয়াদ আগামী ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে কথা হয়েছে, চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে তারা কাজ শেষ করতে পারবে বলে আশা করছি। অবশ্যই নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই আমরা সেতুটি যান চলাচলের জন্যে উন্মুক্ত করতে পারবো।

আমরা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীর বক্তব্যে দৃঢ়তার আভাস খুঁজে পাচ্ছি। আমরা তাঁর প্রত্যাশিত সময়েই সেতুটির উদ্বোধন হোক-সে দাবি রাখছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়