শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২২, ০০:০০

তাঁর এমন অধিষ্ঠান অনেক সম্মানজনক

তাঁর এমন অধিষ্ঠান অনেক সম্মানজনক
অনলাইন ডেস্ক

ভারতের গুজরাটের পোরবন্দরে ১৮৬৯ সালের ২ অক্টোবর জন্মগ্রহণকারী মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী (মহাত্মা গান্ধী) ছিলেন ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিদের অন্যতম, প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা এবং ভারতের জাতির পিতা। তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা, যার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণ তাদের অভিমত প্রকাশ করে। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের ওপর ভিত্তি করে। এ আন্দোলনই ছিলো ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার আদায়ের আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা। ১৯৪৮ সালেল ৩০ জানুয়ারি ৭৮ বছর বয়সে মহাত্মা গান্ধী যখন দিল্লিতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন, তখন জওহরলাল নেহরু রেডিওতে জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে বলেছেন, “বন্ধু ও সহযোদ্ধারা, আমাদের জীবন থেকে আলো হারিয়ে গেছে এবং সেখানে শুধুই অন্ধকার এবং আমি ঠিক জানি না আপনাদের কী বলব। আমাদের প্রেমময় নেতা যাঁকে আমরা বাপু বলে থাকি, আমাদের জাতির পিতা আর নেই। হয়ত এভাবে বলায় আমার ভুল হচ্ছে, তবে আমরা আর তাঁকে দেখতে পাব না, যাঁকে আমরা বহুদিন ধরে দেখেছি, আমরা আর উপদেশ কিংবা সান্ত¡নার জন্য তাঁর কাছে ছুটে যাব না এবং এটি এক ভয়াবহ আঘাত, শুধু আমার জন্যই নয়, এই দেশের লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্য।”

ভারতের এমন জগদ্বিখ্যাত নেতা মহাত্মা গান্ধী তাঁর হত্যাকাণ্ডের এক বছর আগে ১৯৪৭ সালের ২৯ জানুয়ারি নোয়াখালী জেলার বর্তমান সোনাইমুড়ি (সাবেক বেগমগঞ্জ) উপজেলার জয়াগ বাজার পরিদর্শনে আসেন। তিনি ১৯৪৬ সালে জাতিগত সংঘাতের পর নোয়াখালী জেলা ও বেগমগঞ্জ উপজেলা সফরের অংশ হিসেবে ১৯৪৭ সালে জয়াগে আসেন। এ সময় জয়াগের তৎকালীন জমিদার ব্যারিস্টার হেমন্ত কুমার ঘোষ তাঁর সকল সম্পত্তি মহাত্মা গান্ধীর আদর্শ প্রচার ও স্মৃতি সংরক্ষণে একটি ট্রাস্টের মাধ্যমে দান করেন এবং গান্ধী আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। দীর্ঘ ৭৪ বছর পর উক্ত ট্রাস্ট সংক্রান্ত পুরানো আইন বাতিলক্রমে জাতীয় সংসদে গেল বছর ‘গান্ধী আশ্রম (ট্রাস্টি বোর্ড) বিল ২০২১’ পাস হয়। এ বিলে বলা হয়েছে, গান্ধী ট্রাস্ট একটি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত হবে। এটি একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা হবে। আশ্রমের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন ও হস্তান্তর বোর্ডের কাছে থাকবে। বোর্ডের চেয়ারম্যান ও ছয়জন ট্রাস্টিকে সরকার মনোনয়ন দেবে। এই বোর্ড জনসাধারণকে শান্তি ও সম্প্রীতিতে জীবনযাপনসহ স্বাবলম্বীকরণ সংক্রান্ত কাজ করবে। বোর্ড সুতা কাটা, বুনন, মৎস্য চাষ, কুটির শিল্প প্রতিষ্ঠান, বিধবা-এতিম-দুঃস্থদের জন্য বাসস্থান নির্মাণ-এসব কাজ করবে। বোর্ডের একটি তহবিল থাকবে, সরকারসহ অন্যান্য উৎস থেকে তারা তহবিল সংগ্রহ করবে।

গত ১ জুন এই গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন চাঁদপুরের কৃতী সন্তান, হাইমচরে জন্মগ্রহণকারী বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর জেনারেল (অবঃ) জীবন কানাই দাস। তিনি ইংল্যান্ডের দাতব্য প্রতিষ্ঠান স্যার উইলিয়াম বেভারিজ ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি ডিরেক্টর ও বারিধারা ডিওএইচএস পরিষদের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। এছাড়া তিনি বহু সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত রয়েছেন। আমরা মনে করি, বর্তমান ও সাবেক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠানের চেয়ে গান্ধী আশ্রম ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে জীবন কানাই দাসের অধিষ্ঠান অনেক বেশি সম্মানজনক। আমরা এ পদে তাঁর সর্বাত্মক সাফল্য কামনা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়