প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২২, ০০:০০
চাঁদপুর জেলার অন্য কোনো উপজেলায় এমন কোনো আন্দোলনের খবর জানা না গেলেও মতলব উত্তরে সংঘটিত সে আন্দোলনের খবর জানা গেছে। এ আন্দোলনটি হচ্ছে, এমএইচভি কর্মীদের বেতনের দাবিতে আন্দোলন। এ আন্দোলন নিয়ে গতকাল শুক্রবার চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়, মতলব উত্তর উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৫টি ইউনিয়নের ৩২টি কমিউনিটি ক্লিনিকের জন্যে ২৫২ জন মাল্টিপারপাস হেলথ ভলান্টিয়ার (এমএইচভি) নিয়োগ দেয়া হয় ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী তাদের মাসিক বেতন ৩ হাজার ৬০০ টাকা দেয়ার কথা রয়েছে। ২০২১ সালের জুন মাসে অন্য উপজেলায় ছয় মাসের বেতন দেয়া হলেও মতলব উত্তর উপজেলায় দেয়া হয়েছে তিন মাসের বেতন। বাকি তিন মাসের টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে এমএইচভি কর্মীরা। বর্তমানে তাদের বেতন বাকি আছে ১৫ মাসের। অন্য উপজেলায় ১০ মাসের বেতন দেয়া হলেও মতলব উত্তর উপজেলায় সে বেতন দেয়া হয়নি। ২ জুন বৃহস্পতিবার ২৫২ জনকে ১০ মাসের বেতন দেয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ২ মাসের বেতন দিতে চাইলে প্রতিবাদ করে ওই কর্মীরা। তারা দুপুরে হাসপাতালের গেটে অবস্থান নিয়ে হট্টগোল করে। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশাদুজ্জামান জুয়েল এসে আগামী বৃহস্পতিবার বেতন দেবেন বলে আশ্বাস দেন। এতে এমএইচভি কর্মীরা শান্ত হন।
জানা যায়, এ কর্মীরা মাথাপিছু মাসিক ৩ হাজার ৬০০ টাকা করে ১০ মাসে পাওনা ৩৬ হাজার টাকা। সে হিসেবে ২৫২ জনের ১০ মাসের বকেয়া বেতনের পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৯৩ লাখ টাকা। ১০ মাস বেতন না পাওয়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে তারা। সে বকেয়া বেতনের জন্যে তারা মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে যখন জানতে পারে ২ মাসের বেতন দেয়া হবে, তখনই তারা খেপে যায়। তারা গণমাধ্যকর্মীদের বলেছেন, আগামী বৃহস্পতিবার যদি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমাদের ১০ মাসের বেতন একত্রে দেয়া না হয় বা কম দেয়া হয়, তাহলে মেনে নেয়া হবে না, কঠোর আন্দোলন হবে।
আমরা মনে করি, মতলব উত্তরে এমএইচভি কর্মীদের বকেয়া বেতন প্রদান নিয়ে কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে। এ অনিয়মের সাথে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার কোনো সংশ্লিষ্টতা রয়েছে কিনা সেটা ভাববার যথেষ্ট অবকাশ তৈরি হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের কর্ণধার হিসেবে সিভিল সার্জনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।