প্রকাশ : ৩০ মার্চ ২০২২, ০০:০০
মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে সরকারি পর্যায়ে অনেক বড় বড় কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়, যেগুলোর কোনো কোনোটি উক্ত দিবসের সামগ্রিক কর্মসূচিতে সেরা বলে গণ্য হয়। কিন্তু বেসরকারি পর্যায়ে রাজধানী, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা সদরসহ বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় কর্মসূচি পালিত হয়। এসব কর্মসূচির মধ্যে গতানুগতিকতাই বেশি দেখা যায়। কেবল ফটোসেশন করার জন্যেও কেউ কেউ নামকাওয়াস্তে কর্মসূচি পালন করে। এবার চাঁদপুর জেলার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে বেসরকারিভাবে যেসব কর্মসূচি পালিত হয়, তার মধ্যে মতলব উত্তরে অনুষ্ঠিত একটি কর্মসূচি অনেকের নজর কেড়েছে। আর সেটি হচ্ছে আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশন কর্তৃক প্রায় ১০ হাজার মানুষকে চিকিৎসা সেবা প্রদান। এজন্যে নিশ্চিন্তপুর গ্রামে মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়, যাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়সহ অন্যান্য মেডিকেল কলেজের ৪০ জন ডাক্তার সকাল ৯টা থেকে দিনব্যাপী প্রায় দশ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ প্রদান করেন।
এ মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজক ডাঃ শামীম আহমেদ বলেন, মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে আমার বাবার নামে একটি ফাউন্ডেশন চালু করলাম আজ। মতলব তথা চাঁদপুরের যে কেউ আমার কাছে আসলে আমি চিকিৎসা দেয়ার চেষ্টা করবো। আগামী দিনে এলাকার মানুষের সেবা করার জন্যে একটি হাসপাতাল করারও পরিকল্পনা রয়েছে আমার। সবাই আমার জন্যে দোয়া করবেন।
ডাঃ শামীম আহমেদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক এবং তাঁর পিতার নামে প্রতিষ্ঠিত আমির হোসেন মিয়াজী মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি। তিনি মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে উক্ত ফাউন্ডেশনের ব্যানারে প্রায় ১০ হাজার মানুষকে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবার যে কর্মসূচি হাতে নেন, সেটি স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্য থেকে কাউকে দিয়ে উদ্বোধন করার চেয়ে উদ্বোধনকালে নিশ্চিন্তপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকবৃন্দসহ বর্তমান শিক্ষকদের উপস্থিতিকে প্রাধান্য দিয়েছেন বলে মনে হচ্ছে। এসব শিক্ষকের মধ্যে কেউ হয়তো সরাসরি তাঁর শিক্ষকও থাকতে পারেন। এবার স্বাধীনতা দিবস পালনে চাঁদপুর জেলার বেসরকারি কর্মসূচিগুলোর যতো সংবাদ চাঁদপুর কণ্ঠে ছাপা হয়েছে, সেগুলো পাঠ করে নিঃসন্দেহে ডাঃ শামীম আহমেদের মেডিকেল ক্যাম্পটিকে অন্যতম সেরা কর্মসূচি হিসেবে অভিহিত করা যায়। তাঁর এ কর্মসূচি যদি নিতান্তই স্বার্থের ঊর্ধ্বে হয় তথা কোনো স্থূল বা সূক্ষ্ম উদ্দেশ্য সাধনের জন্যে না হয়, তাহলে এমন বড় কর্মসূচি পালনের উদ্যোগ গ্রহণের জন্যে তাঁকে ধন্যবাদ জানাতেই হয়। আমরা তাঁর এমন মেডিকেল ক্যাম্পের ধারাবাহিকতা প্রত্যাশা করছি।