প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২২, ০০:০০
শেখ মুজিবুর রহমান নামে এক জ্যোতির্ময় শিশুর জন্ম হয়েছিলো ১৯২০ সালের ১৭ মার্চ। বাংলাদেশের বৃহত্তর ফরিদপুর ও গোপালগঞ্জ জেলার একেবারে অজপাড়াগাঁয়ে জন্ম হয় এই শিশুর। গ্রামটির নাম টুঙ্গিপাড়া। এ গ্রাম থেকেই নানা প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান হয়েছেন ছাত্রনেতা, ভাষা আন্দোলনের অদম্য উদ্যোক্তা, পরাধীন জাতির মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা, অভিহিত হন বঙ্গবন্ধু, হয়ে যান ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থানের মুখ্য নায়ক, আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতা, ঊনিশশ’ সত্তরের নির্বাচনে সর্বাত্মক বিজয়ের মূল কা-ারী, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক, দেশের প্রথম রাষ্ট্রপতি, জাতির পিতা ও সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি। নিঃসন্দেহে ১৭ মার্চ এমন মহামানবের জন্ম-সার্থকতায় ভাস্বর একটি দিন। সেজন্যে সরকার এ দিনটিকে শুধু বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন বা জন্মবার্ষিকী হিসেবে নয়, জাতীয় শিশু দিবস হিসেবেও পালন করছে।
এ দিবসটিতে জাতীয় শিশু দিবস পালিত হয় বলেই শিশুদের মধ্যে জ্যোতির্ময় শিশু শেখ মুজিবকে নিয়ে জানার কৌতূহল ও তাগিদ তৈরি হয়। তাঁকে কীভাবে জানতে হবে সেটা নিয়ে আশরাফুল আলম পিন্টুর ‘জানতে হলে তাকে’ শিরোনামের শিশুতোষ ছড়াটিতে রয়েছে সরল দিক-নির্দেশনা। তিনি লিখেছেন, শেখ মুজিবকে জানতে হলে জানতে হবে দেশকে/জানতে হবে শুরু থেকে শেষকে/ছয় দফাকে জানতে হবে/জানতে হবে হামলাকে/আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলাকে/জানতে হবে তার স্বাধিকার আন্দোলনের মর্মকে/জেল-জুলুমের আগলভাঙ্গা কর্মকে/বঙ্গবন্ধু উপাধি আর জানতে হবে ভোটকে/সত্তর সালে পাকিয়েছিল ঘোঁটকে/জানতে হবে সাত মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণকে/পাকিস্তানের স্বৈরাচারী শাসককে/পঁচিশে মার্চকে জানতে হবে/স্বাধীনতার লড়াইকে/জানতে হবে মুক্তিযুদ্ধ/ডিসেম্বরের ষোলকে/এ বিজয়ে স্বজনহারা হলো কে।/জানতে হবে আগস্টের কালো রাতকে/জানতে হবে রাজাকারের জাতকে/জানতে হবে সব ইতিহাস/জানতে তোমার নিজেকে/বুকে ফোটাও জাতির পিতার বীজকে।
বর্তমানে যারা শিশু কিংবা শিক্ষার্থী তাদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি দেশপ্রেমের মৌল চেতনায় দীক্ষিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ভালোভাবে জানার কোনো বিকল্প নেই। এজন্যে প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস যথাযোগ্য মর্যাদায় পালনের অনিবার্যতা রয়েছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের শুধু চিঠি নয়, মনিটরিং বা পর্যবেক্ষণের প্রয়োজনীয়তাও রয়েছে। বাস্তবতা হচ্ছে, নামকাওয়াস্তে পর্যবেক্ষণ হয়, নিবিড় পর্যবেক্ষণ হয় না। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিকতা প্রত্যাশা করছি।