প্রকাশ : ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
বেহাল সড়কগুলোর জরুরি মেরামত প্রয়োজন
চাঁদপুর কণ্ঠের প্রথম পৃষ্ঠায় গত সোমবার চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের দৃষ্টি আকর্ষণ করে একটি সচিত্র সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। এ সংবাদটির শিরোনাম হয়েছে ‘পুরাণবাজার-দোকানঘর সড়কের বেহাল দশা ॥ নারীর প্রসব ব্যথা উঠে যায় চলাচলে’। এটি শীর্ষ সংবাদের মর্যাদা পেয়েছে। এ সংবাদে মিজানুর রহমান যে ছবি সংযুক্ত করেছেন, সেটি দেখলে পাঠকের অনুমান করতে মোটেও কষ্ট হয় না যে, আসলেই সড়কটি কতোটা বেহাল দশায় আছে।
|আরো খবর
চাঁদপুর শহরের সাথে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলার সংযোগ রক্ষাকারী যে ক’টি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক রয়েছে, সেগুলোর অন্যতম পুরাণবাজার-দোকানঘর সড়ক। এ সড়কটি দিয়ে চাঁদপুর পৌরসভা তথা শহরের ৩নং ওয়ার্ড, চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণাঞ্চল ও হাইমচর উপজেলার হাজার হাজার লোক প্রতিদিন শুধু যাতায়াত করে না, চাঁদপুর শহর থেকে সংক্ষিপ্তভাবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাতায়াতের প্রধান অবলম্বন চাঁদপুর-শরীয়তপুর ফেরি সার্ভিসের হরিণা ঘাটেও যানবাহনসমূহকে যাতায়াত করতে হয়। প্রায় দু বছর আগে সড়কটি সংস্কার করা হলেও কাজের মান ছিলো প্রশ্নবিদ্ধ। উপর্যুপরি অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে সড়কটি এতোটা ক্ষতিগ্রস্ত হয় যে, প্রায় এক কিলোমিটার সড়ক ভেঙ্গে গিয়ে তাতে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
পুরাণবাজার-দোকানঘর সড়কটির একটি উল্লেখযোগ্য অংশ ডাকাতিয়া নদীর সাথে সংযোগ রক্ষাকারী নাপিত বাড়ি খালের পাড়ে অবস্থিত হওয়ায় জোয়ারের উপচানো পানিতে সড়কটি ডুবে যায় এবং অতিবৃষ্টিহেতু জলাবদ্ধতায় সড়কের নানা অংশে পানি জমে থাকে। এতে পিচ ঢালাই সড়কটিতে খুব সহজেই গর্ত তৈরি হয়ে যায়। এ গর্ত ইটের টুকরো (খোয়া) ও কংক্রিট দিয়ে জরুরি বা সাময়িক মেরামত করে দিলে গর্ত অনেক বড় হয় না। এতে সড়ক পুরোপুরি মসৃণ না হলেও চলাচলরত যানবাহনের তেমন ক্ষতি হয় না। কিন্তু গর্ত মেরামত বা না সারলে এ গর্ত অনেক বড় হয়ে যায় এবং সেটি যানবাহনের বড় ধরনের ক্ষতি ও দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বস্তুত এমন অবস্থাতেই রয়েছে পুরাণবাজার-দোকানঘর সড়ক। এ সড়কটির দুরবস্থা বর্ণনা করতে গিয়ে দোকানঘর এলাকার বাসিন্দা, প্রবাসী ব্যবসায়ী আলহাজ¦ মোঃ জিন্নাহ পাটোয়ারী জানান, এই ভাঙ্গা রাস্তায় চলতে গিয়ে যানবাহনের ব্যাপক ঝাঁকুনিতে ছয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা এক নারীর প্রসব ব্যথা পর্যন্ত উঠে যায়।
আশার কথা হলো, চাঁদপুর পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামসুদ্দোহা জানিয়েছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এ সড়কের মেরামত কাজ করা হবে। এ কাজের প্রয়োজনে পাথর সংগ্রহ করা হয়েছে। উন্নতমানের বিটুমিন আসলেই মেরামত কাজ শুরু হবে।
আমরা পুরাণবাজার-দোকানঘর সড়কটির যে এক কিলোমিটার অংশ বন্যা বা জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় এবং অতিবৃষ্টিহেতু জলাবদ্ধতায় আক্রান্ত হয়, সে অংশটিতে পিচ ঢালাইয়ের পরিবর্তে আরসিসি করা যায় কি-না সেটি গভীরভাবে ভেবে দেখবার অনুরোধ জানাতে চাই। সাথে সাথে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লার ভাঙ্গা সড়কগুলো, বিশেষ করে আঃ করিম পাটোয়ারী সড়ক থেকে লঞ্চঘাটে বিকল্প উপায়ে যাতায়াতের সড়কগুলো মেরামত করার দাবি উত্থাপন করতে চাই। এ অনুরোধ/দাবি রক্ষা করলে যাতায়াতকালীন জনদুর্ভোগ অনেক হ্রাস পাবে বলে আমাদের বিশ^াস।