প্রকাশ : ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২২, ০০:০০
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ানো দরকার
চাঁদপুর সদর উপজেলাধীন কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের রুহুল আমিন তালুকদার পরিবারের ভরণ পোষণ তথা স্বীয় জীবিকার্জনের প্রয়োজনে তার বাড়ির নিকটে দোতলা পোল্ট্রি ফার্ম গড়ে তোলেন। তার স্বপ্নের সমান্তরালে ভালোই চলছিলো এই ফার্ম। কিন্তু ২০১৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি এই ফার্মে অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটে। তখন মুরগিসহ ফার্মটি পুড়ে যায়। এরপর তিনি পুনরায় ফার্মটি গড়ে তোলেন। ভালো চলছিলো তার এই ফার্ম। কিন্তু বিধি বাম। ২০২১ সালের ২১ মে তিনি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান। তার পরিবারের সদস্যরা পোল্ট্রিফার্মটি চালাতে পারছিলো না বলে ভাড়া দিয়ে দেন। ২ বছরের চুক্তিতে ফার্মটি ভাড়া নেন জনৈক রতন ভূঁইয়া। ভাড়া নেয়ার পর একবার মুরগির বাচ্চা উঠিয়ে ভালোয় ভালোয় লালন পালন করে বাজারে বিক্রি করেন। ৪-৫ দিন পূর্বে তিনি এই ফার্মে ২ হাজার মুরগির বাচ্চা তোলেন। এরই মধ্যে গত ১১ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৪টায় আগুন লাগলে মুরগির সকল বাচ্চাসহ পুড়ে যায় পুরো পোল্ট্রি ফার্ম। এতে ফার্মের মালিক এবং খামারি রতন ভূঁইয়ার ১০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
|আরো খবর
মরহুম রুহুল আমিন তালুকদারের ছেলে হৃদমি তালুকদার অভিযোগ করে বলেন, আমাদের এলাকায় আরো পোল্ট্রিফার্ম রয়েছে। কিন্তু পাঁচ বছরের ব্যবধানে দুবার আমাদের ফার্মে কেন আগুনের ঘটনা ঘটলো তা স্থানীয় প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। হৃদমির চাচা নুরুল আমিন তালুকদার জানান, আমার ভাইয়ের পোল্ট্রিফার্মে দুবার আগুন লাগা ছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যুর চারদিন পর তার দু লাখ টাকা দামের একটি গরু চুরি হয়ে যায়। এ পরিবারটির ওপর কেনো এমন ঘটনা ঘটছে তা স্থানীয় প্রশাসনের খতিয়ে দেখা এবং অসহায় পরিবারটিকে সহযোগিতা করা দরকার। হৃদমির ফুফু সাজেদা বেগমও তার ভাইয়ের পোল্ট্রিফার্মে দুবার আগুন লাগার ঘটনাটি নাশকতামূলক কিনা সেটি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তদন্ত করার প্রয়োজনীয়তা ব্যক্ত করে সরকারের পক্ষ থেকে তার ভাইয়ের পরিবার ও ক্ষতিগ্রস্ত খামারিকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছেন। কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি পাটওয়ারী পোল্ট্রিফার্মে দুবার আগুন লাগার ঘটনাকে মর্মান্তিক বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহণ করতে চাইলে পরিবারটিকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ^াস দিয়েছেন।
আমরা কল্যান্দীর রুহুল আমিন তালুকদারের পোল্ট্রিফার্মে বার বার আগুন লাগা, তার অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়া এবং তার গরু চুরি হবার ঘটনায় সংবেদনশীলতার সাথে আন্তরিক সহানুভূতি প্রকাশ করছি। আমরা তার শোকাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর জন্যে মাননীয় জেলা প্রশাসক, ইউএনওসহ সামর্থ্যবান ব্যক্তিবর্গের প্রতি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানাচ্ছি। সাথে সাথে পোল্ট্রি ফার্মটিকে বার বার আগুন লাগার কারণ খুঁজে বের করতে স্থানীয় পুলিশ প্রশাসন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবে বলে প্রত্যাশা করছি। আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে উক্ত কারণ খুঁজে বের করা পুলিশের জন্যে খুব কঠিন কাজ বলে আমরা মনে করি না।