প্রকাশ : ২৩ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
করোনায় জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন ব্যক্তি ও সংগঠন খুব বেশি মাঠে আছে বলে মনে হচ্ছে না। অথচ করোনা সংক্রমণ লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। চাঁদপুর জেলায় করোনার তৃতীয় ঢেউ আঘাত হেনেছে। সারাদেশে শনাক্তের হার তিরিশ শতাংশ না পেরুলেও চাঁদপুরে গত ক’দিন ধরে তিরিশ শতাংশের বেশি শনাক্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় যারা সংবাদ পরিবেশনে ব্যস্ত থাকার কথা, চাঁদপুরে সাংবাদিকদের শীর্ষস্থানীয় সংগঠন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যরা করোনায় সচেতনতা সৃষ্টিতে মাঠে নেমেছে। গত শুক্রবার ও গতকাল শনিবার সকাল ১১টা থেকে এ সংগঠনের পক্ষ থেকে চাঁদপুর শহরের পাঁচ রাস্তার মোড় ‘শপথ চত্বরে’ সচেতনতামূলক কর্মসূচি হিসেবে মাস্ক বিতরণ করা হয়। শুক্রবারের মাস্ক বিতরণে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ, বিপিএম (বার)। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, করোনা প্রতিরোধে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এমন কার্যক্রম প্রশংসার দাবি রাখে। আমরা অতীতেও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের এমন কার্যক্রম দেখেছি, যা এখনও অব্যাহত আছে। এর আগে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবেলায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। গণমাধ্যমে প্রচার-প্রচারণার মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করেছে। শুধু তা-ই নয়, প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আমি নিজেও সেসব কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছি। বর্তমানে করোনার তৃতীয় ঢেউ চলাকালে প্রেসক্লাবের পক্ষ থেকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করায় আমি প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। শনিবার একই স্থানে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের মাস্ক বিতরণ অনুষ্ঠানে চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহবুবুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ সাজেদা পলিন ও চাঁদপুর জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডাঃ মাহমুদুন নবী মাসুম উপস্থিত ছিলেন। তাঁরাও করোনায় প্রেসক্লাবের সচেতনতামূলক কার্যক্রমের প্রশংসা করে বলেন, ঠিকমত মাস্ক পরলে করোনা সংক্রমণকে নব্বই ভাগ মোকাবেলা করা যায়।
শুক্রবার জুমার নামাজের পর চাঁদপুর শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের দক্ষিণ পাশে ডাকাতিয়া নদীর তীরস্থ আল-আমিন এতিম খানা কমপ্লেক্সে এতিম ছাত্রদের মাঝে চাঁদপুর হিলশা সিটি রোটারী ক্লাব মাস্ক বিতরণ করে।
চাঁদপুর প্রেসক্লাব ও চাঁদপুর হিলশা সিটি রোটারী ক্লাব মাস্ক বিতরণের যে কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে, সেটিকে অনেকে ক্ষুদ্র উদ্যোগ বলতে পারেন। কথা হলো, এমন সচেতনতামূলক কর্মসূচিও তো ভুরি ভুরি হচ্ছে না। যারা অতীতে এমন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে তাদের অনেককে করোনার দুটি ঢেউয়ের পর তৃতীয় ঢেউ চলাকালে কিছুটা পরিশ্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। এমতাবস্থায় সচেতন ও সামর্থ্যবান ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে করোনায় সচেতনতা সৃষ্টিতে এগিয়ে আসতে হবে জরুরিভাবে এবং এ কাজ করতে হবে জোরদার। জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মোবাইল কোর্টে জরিমানা করে মাস্কসহ স্বাস্থ্যবিধি মানতে যেমন ভয় দেখাতে হবে, তার পাশাপাশি সচেতনতা সৃষ্টিতে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে বলে আমরা মনে করি।