বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২৯ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

চাঁদপুরের ফুটবলের সেই ঐতিহ্য কোথায়?
অনলাইন ডেস্ক

বাস্কেট বল, ফুটবল ও সাঁতারে চাঁদপুরে রয়েছে সোনালী অতীত। এ তিনটি ইভেন্টে চাঁদপুরের খেলোয়াড়রা তাদের অসাধারণ কৃতিত্বে যে ঐতিহ্য নির্মাণ করেছে, আজ তার অবশিষ্ট কিছু আছে বলে মনে হয় না। চাঁদপুর কলেজে ১৯৬৮ সালে যে বাস্কেটবল গ্রাউন্ড তৈরি হয়, ওই সময়ে এমন গ্রাউন্ড সব বিভাগীয় শহরেও ছিলো না। এরপর বাস্কেটবল টুর্নামেন্ট, লীগ এবং আন্তঃকলেজ টুর্নামেন্টেসহ বিভিন্ন টুর্নামেন্ট এ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কৃতিত্ব না থাকলেও জাতীয় পর্যায়ে চাঁদপুরের বাস্কেটবল খেলোয়াড়দের অনেক কৃতিত্ব রয়েছে। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা হানিফ পাটোয়ারী, ভবতোষ, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, ফিরোজ আহমেদ প্রমুখ। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বাস্কেটবলে চাঁদপুরের কৃতিত্ব লক্ষ্যণীয় নয় বলে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে একটি বাস্কেটবল গ্রাউন্ড এবং চাঁদপুর সরকারি কলেজের বাস্কেটবল গ্রাউন্ডকে জাতীয় মান রক্ষা করে সম্পূর্ণ নূতনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে।

সাঁতারে চাঁদপুরের অতীত ঐতিহ্য অন্য সকল ক্রীড়া-ঐতিহ্যকে ছাড়িয়ে। চ্যানেল বিজয়ী সাঁতারু আঃ মালেক ও অবিরাম সাঁতারে বিশ^ রেকর্ডধারী সাঁতারু অরুণ নন্দীর জন্যে চাঁদপুরের খ্যাতি ছিলো বিশ^ব্যাপী। সে কারণেই চাঁদপুরে ২০০২ সালে কোনো কোনো বিভাগীয় শহরের আগেই বিরাট সুইমিংপুল নির্মিত হয়, যেটির নামকরণ করা হয়েছে অরুণ নন্দীর নামে। কিন্তু জেলা ক্রীড়া সংস্থার দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও চাহিদামাফিক পৃষ্ঠপোষকতার অভাবে, বিশেষ করে ঔদাসীন্য ও অবহেলার কারণে চাঁদপুরের সাঁতার এখন নিতান্তই সোনালী অতীত এবং কষ্টকর বর্তমান।

চাঁদপুরের ফুটবলের গৌরবোজ্জ্বল অতীত প্রতিটি চাঁদপুরবাসীর জন্যে আত্মশ্লাঘার বিষয়। ক্রীড়াঙ্গনের ইতিহাস খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, স্বাধীনতাপূর্ব ও স্বাধীনতোত্তরকালে চাঁদপুরের ক’জন কৃতী ফুটবল খেলোয়াড় আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পর্যায়ে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তাঁদের মধ্যে চাঁদপুরের রমেশ দত্ত ওরফে মনা দত্ত ১৯২২ সালে অর্থাৎ প্রায় একশ’ বছর পূর্বে অবিভক্ত ভারতের বিখ্যাত ইস্ট বেঙ্গল ফুটবল টিমের খেলোয়াড় হিসেবে যথেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছিলেন। তাঁর ছোট ভাই কালী দত্ত বা কে. দত্ত ১৯৩৮ সালে ভারতীয় বাছাই দলের খেলোয়াড় হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে গিয়েছিলেন এবং অসাধারণ ফুটবল নৈপুণ্য দেখিয়েছেন। স্বাধীনতোত্তরকালে আবুল ও মুকুল বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলোয়াড় হিসেব দীর্ঘদিন দেশে-বিদেশে খেলে দেশের জন্যে অনেক সুনাম বয়ে আনেন। এঁদের মতো আরো অনেক খেলোয়াড় জন্ম দিয়েছে চাঁদপুর। কিন্তু সাম্প্রতিক বছরগুলোতে চাঁদপুরের ফুটবল খেলোয়াড়রা অতীতের সুনাম, ঐতিহ্য ও গৌরবের আলোকে জ¦লে উঠতে পারেননি।

চলতি ডিসেম্বর মাসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় ফুটবল চ্যাম্পিয়নশীপে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এবং চাঁদপুর স্টেডিয়ামে চাঁদপুর জেলা ফুটবল দলের উপর্যুপরি পরাজয় দেখে সকলকে ভীষণ হতাশ হতে হয়েছে। এমন হতাশার নেপথ্য কারণ অনুসন্ধানের প্রেক্ষাপটও তৈরি হয়েছে। ভালো মানের কোচ ও দল নির্বাচনে সমন্বয়ের অভাবেই ফুটবলে একের পর এক চাঁদপুরের হার ঘটছে, না অন্য কোনো কারণ রয়েছে সেটা জানা যেনো অনিবার্য বিষয়ে পরিণত হয়েছে বলে আমাদের অভিমত।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়