বুধবার, ২৭ নভেম্বর, ২০২৪  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ২১ ডিসেম্বর ২০২১, ০০:০০

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী! কাজটি খুব বড় নয়

মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী! কাজটি খুব বড় নয়
অনলাইন ডেস্ক

ফরিদগঞ্জে কর্মরত চাঁদপুর কণ্ঠের ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি এমরান হোসেন লিটন একটি মাদ্রাসাকে নিয়ে সরেজমিনে প্রতিবেদন পরিবেশন করেছেন। এর শিরোনাম পাঠকদের কাছে স্পর্শকাতর বলে মনে হয়েছে। শিরোনামটি হলো ‘৭৫ বছরে একটি পাকা ভবন দেখেনি ফরিদগঞ্জের লক্ষ্মীপুর কাসেমীয়া আলিম মাদ্রাসা’। এ মাদ্রাসাটি ফরিদগঞ্জ উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নে অবস্থিত।

প্রতিবেদনের সূচনায় লিখা হয়েছে, নড়বড়ে টিনের ঘর। জং ধরে গেছে টিনের চালায়। নেই দরজা। ঘুণে ধরা জানালা খুলে পড়ার উপক্রম। টয়লেটের অবস্থাও করুণ। গরমে হাঁসফাঁস করে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সামান্য বৃষ্টিতেই শ্রেণিকক্ষে পানি পড়ে। কাদাপানিতে একাকার হয়ে যায় শ্রেণিকক্ষের মেঝে। এমনই চিত্র ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৩নং সুবিদপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীপুর কাসেমীয়া আলিম মাদ্রাসার। ১৬ বছর আগে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে সেখানে একটি একতলা বিশিষ্ট নতুন ভবনের অনুমোদন হয়। কিন্তু অজ্ঞাত জটিলতায় অদ্যাবধি মাদ্রাসাটিতে সেই ভবন নির্মাণ হয়নি। শিক্ষার পরিবেশ না পেয়ে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ও পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থী চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন।

মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল খায়ের মোহাম্মদ রুহুল আমিন বলেন, ১৯৯৬ থেকে অদ্যাবধি পঁচিশ বছর আমার দায়িত্ব পালনকালে অনেক টেবিলে একটি ভবন করে দেয়ার জন্যে চিঠি লেনদেন করেছি। পর্যাপ্ত শিক্ষার্থী থাকা সত্ত্বেও কেনো ভবন হচ্ছে না সেটা মোটেও বোধগম্য নয়। মাদ্রাসার অবস্থা খুবই শোচনীয়। নারী শিক্ষার্থী বেশি হওয়ার কারণে সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করেছে। বিদ্যমান টিনের ঘরগুলো একেবারেই জরাজীর্ণ হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এখানে পড়ালেখা করতে চাইছে না, অন্য মাদ্রাসায় চলে যাচ্ছে। এলাকার একাধিক ব্যক্তি বলেছেন, আমরা বাংলাদেশের অনেক জেলার অনেক স্থানে ঘুরেছি, কোথাও কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এমন জরাজীর্ণ ভবন দেখিনি। তারা অত্যন্ত আস্থার সাথে বলেন, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ি আমাদের প্রিয় চাঁদপুর জেলায়। তিনি একজন সফল শিক্ষামন্ত্রী। মাদ্রাসাটির করুণ পরিস্থিতি উপলব্ধি করে তিনি তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবেন বলে আমাদের বিশ^াস।

আমরাও এমনটা বিশ^াস করি। এজন্যে লক্ষ্মীপুর কাসেমীয়া আলিম মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি ও অধ্যক্ষসহ সংশ্লিষ্ট অন্য সকলের অবশ্যই শিক্ষামন্ত্রীর শরণাপন্ন হতে হবে। এটা কষ্টসাধ্য কাজ নয়। ঢাকায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়, শিক্ষামন্ত্রীর বাসভবনে যাওয়া কষ্টকর মনে হলে চাঁদপুর সফরকালে শিক্ষামন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করতে তেমন বেগ পাওয়ার কথা নয়। আমরা মাদ্রাসাটির পক্ষে বলতে চাই, মাননীয় শিক্ষামন্ত্রী! আপনার পক্ষে এমন একটি পুরানো মাদ্রাসার জন্যে একতলা কেনো, বহুতল ভবন নির্মাণ করার নির্দেশ দেয়া খুব বড় কাজ নয়। আশা করি আপনি সেটি করবেন এবং আপনার প্রতি অগাধ আস্থার মূল্যায়ন করবেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়